২০০৮ সালের ঘটনা। তখন সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমল। সারা দেশে মোটা চালের মূল্য ২৬-৩০ টাকা। গরীবের নাভিশ্বাস। বিডিয়ার পরিচালিত খোলা বাজারে ওএমএস প্রোগ্রামের আওতায় ২১ টাকায় পাঁচ কেজি চাল কিনতে সাধারণ মানুষের দীর্ঘ লাইন। এমনি একটি লাইনে পাঁচ টাকা দামের নতুন ব্যাগ হাতে বর্তমান সরকারের কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরি কয়েকজন সঙ্গী সাথী নিয়ে উপস্থিত। সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলেন আপনি কেন এ লাইনে? জবাবে তিনি যা বলেছিলেন তার ভাব অর্থ হচ্ছে-'জনগন এত টাকা দিয়ে চাল কিনতে লাইন দিয়েছে। সব বিছুর দাম এত বেড়েছে যে আমিও লাইনে দাড়িয়ে চাল কিনতে বাধ্য হচ্ছি।
আজ মতিয়া চৌধুরিরা ক্ষমতায়। মোটা চালের কেজি ৩৮-৪০ টাকা। এত টাকা দিয়ে চাল কেনার সামর্থ গরিবের না থাকায় তারা ২৪ টাকায় ওএমএসের চাল কিনতে দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়েও চাল পাচ্ছে না (আজকের জনকন্ঠ)। আজকের জনকন্ঠ পত্রিকার একটি নিউজ এরকম "ওএমএস নির্ভর নিম্নআয়ের মানুষ, ঢাকায় দীর্ঘ লাইন" । আর ইত্তেফাকের প্রথম পাতার দ্বিতীয় হেডিংটি আরও ভয়াবহ "ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়েও মিলছে না চাল: ওএমএসএ চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম"।
ঐ সময়ের চেয়ে সবকিছুর দাম আজ আকাশ ছোয়া। কিন্তু গরিবের আয় সে তুলনায় মোটেও বাড়েনি।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে-----
১. মতিয়া চৌধুরি দের কি এখন অনেক টাকা হয়েছে? যার ফলে এখন আর লাইনে দাড়াতে হয় না?
২. তখন তিনি তার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য জনগণের সামনে বড় ধরণের প্রতারণা কেন করেছিলেন।
৩. ১০ টাকা চাল খাওয়ানোর কথা বলে আজ ৪০ টাকায় চাল খাওয়াচ্ছে তার পরও তাদের মধ্যে কেন অনুশোচনা নেই।
৪. ক্ষমতায় গেলে সব কিছুর দাম কমিয়ে জনগণের নাগালে আনার যে ওয়াদা তারা করেছিল তা কি শুধু গোয়েবলসের অনুসারী হিসেবে?
৫. তত্ত্বাবধায়ক সরকার লুটপাটে ব্যস্ত ছিল এবং ভারত থেকে চাল আমদানি করতে পারেনি বিধায় মোটা চালের দাম তখন ২৮-৩০ টাকা হয়েছিল। তাহলে এখন মোটা চালের দাম ৪০ টাকা কেন?
৬. তাহলে কি এটা প্রমাণিত হয় না যে আওয়ামীলীগ আরও বড় ধরণের লুটপাট করছে?
৭. এত উদ্দোগ নেয়ার ভান করেও ব্যর্থতার উদ্দেশ্য কি আখের গোছানো নয়?
প্রশ্ন করলে আরও অনেক করা যাবে। তবে আজ আর নয়।
নিচের লিঙ্ক গু
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:২৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




