somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রোবোটিক প্রজন্মের দিকে

১২ ই মে, ২০২৩ রাত ১০:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম-প্রজন্মান্তরে একটা রোবোটিক কৃত্রিম ভয়াবহ জীবন কাটাবে । আবেগ অনুভব করার মতো ক্ষমতা হারিয়ে ফেলার ঢের আশঙ্কা আছে ।

আমরা যাঁরা শৈশব-কৈশোরে নানাবাড়ি, দাদাবাড়ির সেই মাটির তৈরির একতলা, দোতলা বাড়িতে সময় কাটিয়েছি । ওঁরা তা পাবেনা । কারণ সবখানেই কংক্রিটের ছোঁয়া! গ্রামগুলোতে এখন শহরের ছোঁয়া লেগেছে । অচিরেই এটি আরও বৃদ্ধি পাবে ।

নানাবাড়িতে মাটির উনুনে মাটির হাঁড়িতে রান্না করা ভাত, মাটির তৈরি কড়াইয়ের তরকারি ওসব ধীরে ধীরে বিলুপ্তির পথে হাঁটছে । এমনকি পানির পাত্র হিসেবে পিতলের জগ, গ্লাস ওসবও হারাতে বসেছে ।

হারাতে বসেছে বাড়ির চারিদিকে লাগানো নানা প্রজাতির ঔষধি ও ফলজ গাছও ।

এছাড়াও বাঁশ ও কাঠ দিয়ে ঘরের কাঠামো, আসবাবপত্র ওসও হারিয়ে যাচ্ছে ।

ভোরে পাখির ডাকে আমাদের ঘুম ভাঙতো । সন্ধ্যাবেলায় পাখির কিচিরমিচির শব্দ শুনে মনে হতো এইতো বাড়ি ফেরার সময় হয়েছে । কোথাও তেমন আর পাখিদের গুঞ্জন শোনা যায়না । চারিদিকে অবকাঠামো আর অবকাঠামো ।

নদীতে মামাতো, চাচাতো ভাইয়েরা কত গোসল করেছি । যখন বৃষ্টিতে ধানী জমিগুলো ভরে যেত তখন কলাগাছ দিয়ে ভেলা বানিয়ে আমরা বিকেলে সেই ভেলায় চড়ে ঘুরতাম ।

বাংলা মাস অনুযায়ী বিভিন্ন সিজনে বিভিন্নরকম খেলা হতো । হাডুডু, গোল্লাছুট, চোর-পুলিশ, পিট্টুপিট্টু, মার্বেল, লাকিমুষ্ঠি, রুটিচোর, গাদল ছাড়াও ক্রিকেট ও ফুটবল তো খেলতাম ই । শেষের দু'টো ছাড়া বাকি খেলাগুলো বর্তমানে বিলুপ্ত ।

সময়ের সাথে সাথে এসব খুব তড়িঘড়ি করেই কিন্তু এসব বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে । আধুনিকতার ছোঁয়া, প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় এত দ্রুত সময় বদলে যাচ্ছে যা সত্যিই ভয়াবহ রূপ নেবে একসময় ।

এই ইন্টারনেটের যুগে, প্রযুক্তির যুগে মানুষ সাময়িক আনন্দ খুঁজলেও একসময় এসে ঠিকই বিরক্ত হয়ে উঠবে । আপনকিছু খুঁজবে, যা নিয়ে ভাবা যায়, লালন করা যায় এমনকিছু । যেমনটা বিভিন্ন উদাহরণ টেনে আমি বললাম ওসব কিন্তু লালন করে আসা বিষয়, জীবনের সাথে যা ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে ।

সাব্বির আহমেদ সাকিল
২৯ বৈশাখ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, গ্রীষ্মকাল | শুক্রবার | ১২ মে ২০২৩ ইং | কৃষ্ণ সপ্তমী | আপন নীড়, বগুড়া
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই মে, ২০২৩ রাত ১০:২০
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তুই পাগল তোর বাপে পাগল

লিখেছেন আজব লিংকন, ১১ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



রাতে অর্ধেক কাউয়া ক্যাচাল দেইখ্যা হুর বইল্যা— মোবাইল ফোনের পাওয়ার বাটনে একটা চাপ দিয়া, স্ক্রিন লক কইরা, বিছানার কর্নারে মোবাইলটারে ছুইড়া রাখলাম।

ল্যাপটপের লিড তুইল্যা সার্ভারে প্রবেশ। বৃহস্পতিবারের রাইত... ...বাকিটুকু পড়ুন

যত দোষ নন্দ ঘোষ...

লিখেছেন জুল ভার্ন, ১১ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:০১

"যত দোষ নন্দ ঘোষ"....

বাংলায় প্রচলিত প্রবাদগুলোর মধ্যে অন্যতম ‘যত দোষ নন্দ ঘোষ’। যে যত দোষ করুক না কেন, সব নন্দ ঘোষের ঘাড়েই যায়! এ প্রবাদের সহজ অর্থ হচ্ছে, দুর্বল মানুষের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, আমাদের বাহাস আর লালনের গান

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১১ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৮:৪১


দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে হৈচৈ হচ্ছে, হৈচৈ হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে। একটা পক্ষ আগের সরকারের সময়ে হৈচৈ করত কিন্তু বর্তমানে চুপ। আরেকটা পক্ষ আগে চুপ ছিল এখন সরব। তৃতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেউ থাকে না কেউ থেকে যায়

লিখেছেন বরুণা, ১১ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৯:০৩


চমকে গেলাম হঠাৎ দেখে
বহুদিনের পরে,
নীল জানালার বদ্ধ কপাট
উঠলো হঠাৎ নড়ে।

খুঁজিস না তুই আর খুঁজিনা
আমিও তোকে আজ,
আমরা দু'জন দুই মেরুতে
নিয়ে হাজার কাজ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আরও একটি কবর খোঁড়া

লিখেছেন সেলিম আনোয়ার, ১১ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১০:০৪

গোরস্থানে গিয়ে দেখি
আরও একটি কবর খোঁড়া
নতুন কেউ আজ মরেছে
এমন করে বাড়ছে শুধু
কবরবাসী, পৃথিবী ছেড়ে যাবে সবাই
মালাকুল মওত ব্যস্ত সদাই
কখন যে আসে ঘরে
মৃত্যুর যে নেই ক্যালেন্ডার
যে কোন বয়সে আসতে পারে
মৃত্যুর ডাক,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×