
১৪ বছরের এই আমি, গণিতের সুত্র কেটে
কিম্বা ব্যাকরণের জটিল নিয়মের তোয়াক্কা না করে
বইয়ের খাঁজে লিখেছিলাম
আমি + তুমি = আমরা !
মায়ের চোখে পড়তেই দু'চার ঘা নিশ্চিত
নিদেন পক্ষে বেণীতে হ্যাঁচকা টান পড়তোই
লেখাগুলো গভীর রাতে ঘুম ভাঙ্গাতো
যোগ চিন্হ তার পাশে কখন যে দস্যি ছেলেটার নাম বসিয়েছে
চিলেকোঠার সিঁড়িতে দুঃসাহসী মুহূর্ত
আবির বাড়িয়েছে সুত্রে ;
আমি + তুমি = আমরা !
রঙিন ফিতের মতো দিনগুলো বাতাসে বেড়ে উঠতো
সেই ফাঁকে চিঠির বুকে শুয়ে থাকা শুকনো ঘাস ফুল
সুড়সুড়ি দিয়ে কেড়ে নিতো কতো রাত !
স্বপ্নে দু'জন থেকে তিনজন !
আমি + তুমি = আমরা !
আমার অবুঝ বালিকা বেলা !
মায়ের বকুনি এখন জরাজীর্ণ বৃদ্ধ
নেই ব্যাকরণের দাম্ভিক নিষেধাজ্ঞা
এখন চাইলেই চিৎকার করে বলতে পারি
এই যে তুমি , শুনছো ?
আমি আর তুমি মিলে আমরা হই ! বুঝলে ?
ছোট্ট একটা হিসেবের মিল
তাহলেই বাতাসের গায়ে ছড়িয়ে দেবো বহুবচন হবার সমীকরণ
হারিয়ে যাওয়া তুমি একবার ফিরে এসো হিসেবে!
বোকা প্রশ্ন মগজে টোকা দেয় বারবার
তাঁর সুত্র কি ভিন্ন ছিলো ?
বেহিসেবের খিড়কিতে মাঝে মাঝে জ্বলে ওঠে
চমৎকার সেই যোগ এর সমীকরণ
হয়তো বাজারের ফর্দ কিম্বা ধোপাখানার সাদামাটা শাড়ির রশিদে
তার অস্থায়ী বসবাস !
চালশে পড়া চোখে তা দেখতে কিন্তু মন্দ লাগে না আজও!
০৪০২১২