একদলের উদ্দেশ্য ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে আন্দলনে নেমেছে, আরেক দল ভাস্কর্য বিরোধিদের বিরুদ্ধে শাহবাগে বসে পড়ছে। এজন্য একদল ধর্ম রক্ষার কথা বলে মানুষকে জড়ো করছে, অন্যদল বিরিয়ানির প্যাকেট বিলিয়ে মানুষ জড়ো করছে। উভয় ক্ষেত্রেই বোকা মানুষ গুলোই ব্যাবহৃত হচ্ছে। একদলের পুঁজি ধর্ম অন্য দলের পুঁজি মুক্তিযুদ্ধ।
ভাস্কর্য কতটা জায়েজ বা নাজায়েজ এ ব্যাপারে বিতর্কে যাচ্ছিনা। তবে যেখানে মানুষের জীবনযাপনেই নাজায়েজিতে ভরা; ব্যবসায় নাজায়েজি, চাকরিতে নাজায়েজি, রিজিকে নাজায়েজি। সেদিন পাশের বাড়িতে বিয়ে হচ্ছিল, আনুষ্ঠানিকতার নামে যা যা হচ্ছিল সেসবও নাজায়েজি (ইয়ে মানে দেশের মেক্সিমাম বিয়েই এভাবে হয়)। ইভেন, মৃত্যুর পড়েও দেখছি নাজায়েজি।
অর্থাৎ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নাজায়েজিতেই পূর্ন, সেখানে এক ভাস্কর্য স্থাপন রুখে দিয়ে তারা কিভাবে ইসলামকে কিভাবে রক্ষা করবে আমার মাথায় আসে না!
অপরদিকে যে শহরে রাস্তায় মানুষ ঘুমায়, সেই শহরের নর্দমা খ্যাত বুড়িগঙ্গাকে পরিশুদ্ধ না করে ভাস্কর্যের পেছনে অর্থ অপচয় করে, যানজটের রাজধানী পুরান ঢাকাকে কতটা দৃষ্টিনন্দন করা যাবে। কিংবা যেখানে টাকার অভাবে বিনা চিকিৎসায় মুক্তিযোদ্ধা মারা যায়, সেখানে ভাস্কর্য দিয়ে মুক্তি যুদ্ধের চেতনা কতটা বাস্তবায়ন হবে তাও আমার মাথায় আসো না।
রাষ্ট্রের কত ক্রাইসিস, এসব ক্রাইসিসের মধ্যে আন্দলন করার জন্য ভাস্কর্য ক্রাইসিস কতটা গুরুত্ব হতে পারে?