somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মাদ্রাসার ছাত্ররা কেন মন্দির পাহারা দেবে?

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ছবি দেখে বুঝলেন তো, কেন মাদ্রাসার ছাত্ররা মন্দির পাহারা দিতে হয়, এবং কেন একদল হি,ন্দু মন্দির পাহারার বিরুদ্ধে ভাষন দেয়? আফটার অল ভাঙার দায় তো সেই মাদ্রাসার ঘারেই চাপানো হয়। এছাড়াও আওয়ামিলীগ তার রাজনৈতিক স্বার্থে মন্দির ভেঙে এই মাদ্রাসার ছাত্রদের উপরই দায় চাপায়। তাই নিজেদের রক্ষায় মাদ্রাসার ছাত্রদেরকেই মন্দির পাহারা দিতে হচ্ছে, ক্লিয়ার? না এটা আমার মনগড়া কথা নয়, রেফারেন্স ছাড়া কথা বলি না।

১৯৯২ সালে ঢাকায় সার্ক শীর্ষ সম্মেলন পন্ড করতে শেকাছিনা তার একান্ত সহকারী মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান রেন্টুকে ডেকে বললো, সারা দেশে হিন্দু-মুসলিম রায়ট লাগিয়ে দাও। মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান রেন্টু বলে, এটা ঠিক হবে না। শেকাছিনা বলে, ঠিক-বেঠিক তোমার ভাবতে হবে না, রায়ট লাগাতে বলেছি, তুমি লাগাও। মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান রেন্টু বলে, আপনি এটা বলেন কি? আমি আরো রাত-দিন পরিশ্রম করে পাড়ায়-মহল্লায় যুবকদের সতর্ক করে রেখেছি যাতে করে হিন্দুদের উপর কোনো প্রকার আক্রমণ না হয়। আর আপনি বলছেন রায়ট লাগিয়ে দিতে! হাসিনা বলে, হ্যাঁ, আমি বলছি, তুমি রায়ট লাগাও। মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান রেন্টু বলে, না নেত্রী, এটা নীতিবিরুদ্ধ কাজ। হাসিনা রাগান্বিত হয়ে বলে, রাখ তোমার নীতি-ফিতি। আমি যা বলছি তাই করো। আমি তোমার নেত্রী না তুমি আমার নেতা? আমাকে যদি নেত্রী মানো তাহলে আমি যা বলবো তাই করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান রেন্টু বলে, আপনিই তো আমাদের নেত্রী, আপনি যা বলবেন তাই তো শিরোধার্য। তবে হিন্দুদের উপর আক্রমণ করলে হিন্দুরা আর এদেশে থাকবে না। সবাই চলে যাবে। আর এই হিন্দুরা তো আমাদেরই লোক। আমাদেরই রিজার্ভ ভোটার। হাসিনা বলে, রাখ, যাবে কোথায়? যাবার জায়গা নেই। তুমি রায়ট লাগাও। আরে বোকা সার্ক সম্মেলন পন্ড করতে হবে না! কয়েক দিন পরেই সার্ক সম্মেলন। খালেদা জিয়া সার্ক সম্মেলন উদ্বোধন করবে। ইন্ডিয়ার প্রাইম মিনিস্টার নরসীমা রাও এখনো আসে নাই। এই–ই সুযোগ, এখনই রায়ট লাগিয়ে দিলে সার্ক সম্মেলন পন্ড হয়ে যাবে। তাছাড়া জাহানারা ইমাম যেভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে তাকেও তো সাইজ করতে হবে। জাহানারা ইমাম আমার নেতৃত্বের প্রতি হুমকি। যেভাবে সে দিনকে দিন মুুক্তিযুদ্ধের ধারক-বাহক হয়ে যাচ্ছে তা ভয়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাঁকে (জাহানারা ইমাম) আর ছাড় দেয়া যায় না, এই সুযোগ। এই সুযোগেই জাহানারা ইমামকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে হবে। এক ঢিলে দুই পাখি। সার্ক সম্মেলন পন্ড, জাহানারা ইমাম সাইজ। তুমি রায়ট লাগাও। হিন্দুদের উপর হামলা কর। এদেশের সকল হিন্দুরাই এখন জাহানারা ইমামের পিছনে চলে গেছে।

হাসিনার পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান রেন্টু দ্রুত গতিতে হিন্দু–মুসলমান রায়ট লাগানোর জন্য সারা ঢাকা শহরের গুন্ডা বদমাইশ এবং সন্ত্রাসীর হাতে নগদ পাঁচ লক্ষ টাকা তুলে দিলো। হাসিনার কর্মসূচী বাস্তবায়িত করার জন্য প্রথমেই যাওয়া হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের পূর্ব পাশে অবস্থিত শিববাড়ি মন্দিরে। লুটেরা সুযোগ সন্ধানীদের হাতে সঙ্গোপনে একাধিক একশত টাকার কড়কড়ে নোট গুঁজে দিয়েই বলা হলো ভারতে মুসলমানদের খুন করা হচ্ছে, মুসলমান নারীদের ইজ্জত আর ধন-সম্পদ লুট করে নেয়া হচ্ছে। আর আমরা বাংলাদেশের মুসলমানরা চুপচাপ চেয়ে চেয়ে দেখছি, শুনছি! যান শুরু করেন, নেন, লুট করে নেন। বলার সঙ্গে সঙ্গেই সুযোগ সন্ধানী লুটেরা হই হই করে মহা উৎসবে শিববাড়ি মন্দিরে লুটপাট শুরু করে দিলো। সেখান থেকে চলে আসা হলো ঢাকেশ্বরী মন্দিরে। এখানেও নগদ টাকা আর একই কায়দায় বক্তৃতা এবং ঢাকেশ্বরী মন্দির লুট। এরপর এলো রামকৃষ্ণ মিশন। নগদ অর্থ আর বক্তৃতায় কাজ হলো। রামকৃষ্ণ মিশনে লুটপাট শুরু হলো। তারপর যাওয়া হলো পুরান ঢাকার তাতিবাজার, শাখারিপট্টি, বাংলাবাজার, মালাকাটোলা, মিলব্যারাক, গুশাইবাড়ি, নারিন্দা, টিকাটুলী, ইসলামপুর ইত্যাদি জায়গায়। কিন্তু না, এটা পুরোনো ঢাকা, এখানে সবাই পরিচিত। তাই এখানে বক্তৃতা না করে শুধু টাকার উপর দিয়ে কাজ করানো হয়। মস্তান, সন্ত্রাসী ও নেশাখোর গ্রুপকে যে টাকা দেয়া হয়েছিল, সেই টাকায় কথা বলল। পুরাতন ঢাকার হিন্দুদের মোকাম ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বাড়িঘরে লুটপাট হলো।

ঘন্টা তিন-চারেক পরে ধানমন্ডি বত্রিশ নম্বরে বিরোধী দলীয় নেত্রী হাসিনাকে সারা শহরে হিন্দু–মুসলিম সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগিয়ে দেয়ার সফল সংবাদ দিলে সে বেজায় খুশিতে আপ্লুত হয়ে বললো, এই তো কাজের ছেলে। তুমি না হলে কি হয়? তাই তো আমি তোমাকে খুঁজি। সামনের নির্বাচনে তোমাকে আমি মোসেদপুর থেকে (গোপালগঞ্জের মোকসেদপুর-কাশিয়ানি আসন) এমপি বানাব। যদিও পরে হাসিনা সে কথা রাখেনি। সারা দেশে হিন্দু মুসলমান রায়ট শুরু হলো। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরসীমা রাও ঢাকা এলেন না। সার্ক সম্মেলন পন্ড হলো। এই কথাগুলো মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান রেন্টু নিজেই তার আমার ফাঁসি চাই গ্রন্থে উল্লেখ করে গেছেস। নিশ্চয়ই বুঝছেন বইয়ের নাম কেন আমার ফাঁসি চাই রাখা হয়েছে।

সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:২৬
১৩টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ্‌ সাহেবের ডায়রি ।। অন্য দেশে চলে যাচ্ছে গার্মেন্টসের অর্ডার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:২০




এবার বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের অর্ডারের একটি অংশ প্রতিবেশী ভারত, পাকিস্তানসহ অন্য দেশের বাজারে চলে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। রাজনৈতিক অস্থিরতা, সরকার পতন এবং শ্রমিক অসন্তোষের কারণে দেশের সবচেয়ে বড়... ...বাকিটুকু পড়ুন

অ্যাকশন মুভি সিরিজ - ডাই হার্ড ফ্র্যাঞ্চাইজি

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩০




আমার পছন্দের অভিনেতাদের একজন হচ্ছেন ব্রুস উইলিস। তার অভিনীত অসংখ্য সিনেমার মধ্যে আমি অল্প কিছু দেখেছি। সেগুলির মধ্যে ডাই হার্ড ফ্র্যাঞ্চাইজিটি আমার বেশ পছন্দের। বিশেষ করে ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রথম কয়েকটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন ভারতের উদ্বেগ!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩


ভালোভাবেই শেষ হলো সনাতনীদের বৃহৎ উৎসব দুর্গাপূজা কিন্তু দুর্গাপূজা ভালো ভাবে শেষ হওয়ায় অনেকেই বড্ড হতাশ হয়েছে; পূজা নিয়ে তারা ট্রামকার্ড খেলতে চেয়েছিল কিন্তু ট্রামকার্ড খেলার পরও সফল হতে পারেনি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সংস্কৃতি সংকরায়ন

লিখেছেন বিষাদ সময়, ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৪:১৬

কোথায় চলছে আমাদের সংস্কৃতি!! একদিকে পাড়ায় পাড়ায় মাদ্রাসা, অপরদিকে মহল্লায় মহল্লায় ক্লাবে মদ্যপান, জুয়ার আড্ডা। হজ, হিজাবের উত্থানের সাথে দুর্নীতি, অবৈধ প্রণয়ের মহোৎসব। ভারত খেদাওদের মুখে হিন্দি গান, লুঙ্গি ড্যান্স... ...বাকিটুকু পড়ুন

"গার্মেন্টস ইন্ডাষ্ট্রি" ব্যতিত জাতির বাঁচার পথ নেই।

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৫



"নতুন স্বাধীনতা" আসার সময় বাইপ্রোডাক্ট হিসেবে এনার্খী এসেছে সমাজে, প্রশাসনে, রাজনীতিতে ও ব্যবসায়; তাতে গার্মেন্টস'এর সাপ্লাইচেইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা, এবং হয়েছে; উহাকে রিকোভার করার দায়িত্ব কার? দায়িত্ব ড:... ...বাকিটুকু পড়ুন

×