ফ্রান্সে আসার পর টিভিতে একটা অনুষ্ঠান খুব মজা নিয়ে দেখতাম। সময়ের স্রোতে অনুষ্ঠানটির নাম ভুলে গিয়েছি। অনুষ্ঠানে দুজন প্রতিযোগীকে ১০০০ ইউরো দিয়ে স্থানীয় খোলা বাজারে ছেড়ে দেওয়া হতো। তারা সেখান থেকে বিভিন্ন পন্য কিনে সেটাকে প্রয়োজনমতো পালিশ/টালিশ করে বিক্রি করতো। যে বেশি আয় করতে পারবে সেই হবে জয়ী। তো একবার একজন প্রতিযোগী খোলা বাজারে ঘুরতে ঘুরতে এক বোতল পুরোনো ওয়াইন পেলো। অনেকেই জানে ওয়াইন যতো পুরোনো হয় তার টেস্ট আর দাম দুটোই বারে। সেই থিওরীতে সে অন্যান্য সামগ্রীর সাথে সেই পুরোনো ওয়াইনের বোতল ৮০ ইউরোতে কিনে নিলো। পরবর্তীতে যখন সে ওয়াইন মিউজিয়ামে সেই ওয়াইন বিক্রি করতে গেলো তখন সেখানকার বিশেষজ্ঞ তাকে ৫ ইউরোর বেশি দিতে রাজী হলো না। কারণ ওয়াইন শুধু পুরোনো হলেই হয় না তার ব্র্যান্ড ও স্বাদ যেন নষ্ট না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হয়। বিশেষজ্ঞ ঐ প্রতিযোগীকে ওয়াইন টেস্ট করতে দিলে সে সাথে সাথেই মুখ থেকে ফেলে দেয়।
এইবার আরো কয়েকটি ঘটনার অবতারনা করা যাক। আমাদের অনেকেই বাংলা ছবির প্রেমে পরে সকল বাংলা ছবিই হলে দেখতে যান আর ছবি যদি হয় স্বঘোষিত সতজিৎ রায়ের তাহলে তো কথাই নেই। তবে সকল সতজিৎ রায়ের ছবিই যে সতজিৎ রায়ের ওয়াইনের মতো ও দুঃখিত ছবির মতো হবে সেটা ভাবা ঠিক নয়।
ই ঈ ও ঔ খ্যাত লেখিকা বলেছেন, হারুকী নিজেকে নারীবাদী মনে করেন কিন্তু তার ছবি "খুব" এ নারীবাদী এর "ক" ও নাকি পাননি। হারুকীর ছবি "বার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার" এ দিশার পরিবর্তে যদি ভানো মিত্র থাকতো তবে বশারফ করিমকে পুতুল নিয়ে কচলাকচলি করতে হতো না। এরপরও ই ঈ ও ঔ খ্যাত লেখিকা কী বুঝতে পারেননি হারুকীর নারীবাদী তার বধু দিশা পর্যন্তই সীমিত(!)।
নিন্দুকেরা বলে বিখ্যাত আলালা একবার মেয়েদের জিন্স পড়া নিয়ে মন্তব্য করেছিল। তারপর তার হৈতীষীরা (!) তাকে জিন্স পড়ে তারপর কমেন্ট করতে বলে। পরে সেই আলালা জিন্স পড়ে ক্যাম্পাসে গেলে তার সহপাঠীরা তার ছবি তুলে মিয়া বলিফা বলে সামাজিক মাধ্যম ভাইরাল করে ফেলে।
এবারও হারুকী হৈতীষীরা (!) তার মতো ছবি বানিয়ে মন্তব্য করতে বললে বাঙ্গালিরা হারুকীর ছবিকে "বুব অফ রোজ" বানিয়ে ছেড়েছে।
অতএব আর যাই হোক ওয়াইন পুরাতন (স্বঘোষিত সতজিৎ রায়) হলেই যে খেতে স্বাদ হবে সেটা ভাবা ঠিক নয়।
সতর্কীকরণঃ অ্যালকোহল স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ ভোর ৪:২৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




