somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফুটবল বলতেই আমি বুঝি ম্যারাডোনা

২৬ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ম্যারাডোনা৷ প্রিয় ম্যারাডোনা৷ চলে গেলেন তিনিও৷ আমার শৈশবের হিরো৷ এই ম্যারাডোনার কারণেই আমি বা অন্যরা আর্জেন্টিনার সমর্থক৷ তাকে নিয়ে, তার দল নিয়ে ২০১৮ সালে ''আমি কেন ফুটবলে আর্জেন্টিনার সমর্থক হলাম'' শিরোণামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম৷ পোস্টটি ভাইরাল হয়েছিলো৷ ইন্টারনেট ছাড়িয়ে বিভিন্ন পত্রিকাও প্রকাশ করেছিলো৷ আজ ম্যারাডোনার স্মৃতির সম্মানে তার অংশটুকু এখানে তুলে ধরছি৷ লেখাটা পড়লেই তার শ্রেষ্ঠত্ব অনুধাবন করা যাবে৷
---------- ------------ ------------------ ------------ ---------
১৯৭৮ সালে আর্জেন্টিনায় জনদাবি উঠেছিল ১৭ বছরের একজন খেলোয়ারকে বিশ্বকাপ ফুটবল দলে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। কারণ সে বোকা জুনিয়র্স ক্লাবে খেলে সবার মন জয় করে নিয়েছে৷ কিন্তু কোচ রাজি হননি। কারণ একটাই। আর্জেন্টিনার খেলোয়ারদের পায়ে মারা হতো। অনেকের পেশাগত জীবন শেষ হয়ে গিয়েছিল। কোচ টিনেজ খেলোয়ারের জীবনকে হুমকীর মুখে ফেলতে চাননি। কোচের কঠিন সিদ্ধান্ত সেই কিশোর খেলোয়ারের ক্যারিয়ার পোক্ত করে। আর আর্জেন্টিনা তার ইতিহাসের সেরা বীরের সন্ধান পায়। সেই কিশোর ফুটবলারের নাম ম্যারাডোনা। যাকে আর্জেন্টাইনরা ভালোবেসে ডাকে ডিয়েগো৷
ম্যারাডোনার কাছে আসার আগে আরেকটি বিষয় বলে নিতে হবে। আর্জেন্টিনার সাথে রাজনৈতিক শত্রুতা ছিলো বৃটেনের। সেটা ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে। এই ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ ইংল্যান্ডের মাটি থেকে ৮ হাজার ৭৮ মাইল দূরে। আর আর্জেন্টিনা থেকে মাত্র ৩ শ মাইল দূরে। অথচ বৃটেন উপনিবেশিক আমল থেকে তা দখল করে রেখেছে। এ নিয়ে চূড়ান্ত যুদ্ধ হওয়ার আগে দুপক্ষে অনেকদিন ঠান্ডা যুদ্ধ ছিলো। ফলে আর্জেন্টিনা ফুটবলে যখনি ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছে, খেলা ছাপিয়ে ফকল্যান্ড গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতো।
S. Kuzrets নামের একজন বিশ্বখ্যাত অর্থনীতিবিদ বলেছিলেন, পৃথিবীতে চার ধরণের দেশ রয়েছে৷ একটি হলো ডেভেলপড বা উন্নত৷ এরা সব সময়ই উন্নত ছিল৷ অন্যটি হলো জাপান, যারা দরিদ্র থেকে উন্নত হয়েছে৷ অন্যটি ডেভেলপিং বা উন্নয়নশীল, যারা ধীরে ধীরে উন্নত হচ্ছে৷ চতুর্থ ক্যাটাগরির দেশটি হলো আর্জেন্টিনা৷ এটি একসময় ধনী ছিল৷ পরবর্তীতে দরিদ্র হয়েছে৷ যাই হোক শক্তির বিচারে দারিদ্রতায় ক্লিষ্ট আর্জেন্টিনা ইংল্যান্ডের ধারে কাছেও ছিলোনা। ফলে আর্জেন্টিনা ফুটবলকেই যুদ্ধ হিসেবে নিতো। কিন্তু রেফারিদের ভুমিকায় বারবার হারতে হয়েছে আর্জেন্টিনাকে। সেটা ইংল্যান্ড- আর্জেন্টিনার মধ্যকার ১৯৫৩ সালের প্রথম ম্যাচে বা ১৯৬২ সালের চিলি বিশ্বকাপে। তবে চূড়ান্ত বিবাদ হয় ১৯৬৬ সালে। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে দেশ দুটি মুখোমুখি হয়। এ ম্যাচটাকে আর্জেন্টিনায় এল রোবো দেল সিগলো বা ‘শতাব্দীর সেরা চুরি’ নাম দেয়া হয়েছে। কি হয়েছিল সেদিন! ১৯৫৪ সাল থেকে বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়। ফলে বিশ্বের কোটি কোটি দর্শকরা বিশ্বকাপের খেলা দেখার সুযোগ পায়।
১৯৬৬ সালের আর্জেন্টিনা আর ইংল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচটি বিশ্ববাসি দেখছিলো। আয়োজক দেশ ইংল্যান্ডের প্রতি রেফারির পক্ষপাতিত্বের চাক্ষুষ সাক্ষী দর্শকরা। তখনো আর্জেন্টিনার নাম মানুষ ভালোভাবে জানতোনা। এমন একটা অবিচার দেখে মানুষ আর্জেন্টিনার প্রতি দূর্বল হয়ে যায়। আর্জেন্টিনার অধিনায়ক রাতিন এন্টিওনিওকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দিয়ে বের করে দেয়া হয়। জার্মান রেফারি অভিযোগ করেছিলো- তার সাথে রাতিন খারাপ কথা বলছেন। অথচ জার্মান রেফারি স্পানিশ জানতেন না। আর রাতিনও জার্মান জানতেন না। যাই হোক রাতিন মাঠ ত্যাগে অস্বীকৃতি জানান ৷ তিনি সঙ্গত কারণেই কী খারাপ বলেছেন তা জানতে চান। রেফারি তা না জানিয়ে পুলিশ ডাকেন। পুলিশ যখন ম্যাচের বেস্ট খেলোয়ারকে মাঠ থেকে বের করে নিয়ে যায়, শুধু আর্জেন্টিনার দর্শকরা নয়, পুরো বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ আর্জেন্টিনার সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে। যে দলটি তখনো কোন বিশ্বকাপ জিতেনি, অথচ অন্যায়ের প্রতিবাদ করে বিশ্বমঞ্চের মতো একটি জায়গায় মাঠ ত্যাগে অস্বীকার করে তারাই তো প্রকৃত ফুটবল যোদ্ধা। পরে পরিস্কার অফসাইড থেকে ইংল্যান্ড দলের জিওফ হার্স্ট গোল করেছিলেন। আর্জেন্টিনার খেলোয়ারদের কথা কানেই নেননি রেফারি। আর্জেন্টিনা ওই ম্যাচে হেরে গেলেও বিশ্বব্যাপী সমর্থক তৈরি করে।
আর্জেন্টিনায় বিষয়টিকে রাজনৈতিক রংয়ে রাঙিয়ে দেয় দেশটির সেনা শাসক। মানুষ ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ক্ষেপে উঠে। সেনা শাসক মনে করেন, ক্ষমতায় থাকতে এটাইতো বড় সুযোগ। তারা ফকল্যান্ডের মালিকানা দাবি করেন। ইংল্যান্ড ধাপে ধাপে মালিকানা দিতে রাজি হয়। প্রথমে থাকবে দ্বৈত শাসন। অর্থাৎ প্রশাসন পরিচালনা করবে ইংল্যান্ড। আওতাধীন থাকবে আর্জেন্টিনার। আড়ালে মার্গারেট থ্যাচার অন্য কৌশল নেন। ভোটের আয়োজন করা হয় ফকল্যান্ড দ্বীপে। অধিবাসীরা উন্নত জীবনের অাশায় ইংল্যান্ডের সাথে থাকার জন্য রায় দেয়। নিজেদের ভূমি পাওয়ার সুযোগ শেষ দেখে আর্জেন্টিনা ফকল্যান্ড আক্রমণ করে। অল্প কয়েকজন বৃটিশ সৈনিককে পরাজিত করে ফকল্যান্ড দখল করে নেয়। আর্জেন্টিনাবাসী সবাই রাষ্ট্রপতির বাসভবনের সামনে গিয়ে সমবেত হয়ে একাত্মতা ঘোষণা করে। অন্যদিকে আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে বৃটেন। বৃটেন সেনা পাঠায়। ১৯৮২ সালের ২রা এপ্রিল থেকে ১৪ই জুন পর্যন্ত চলা যুদ্ধে বৃটেন জয়লাভ করে। আর্জেন্টিনার ৬৪৯ জন নিহত হন। পুরো বিশ্বের মানুষের মৌন সমর্থন আর্জেন্টিনার পক্ষেই ছিল। কারণ দ্বীপটি তাদের কাছাকাছি। আর অধিবাসীরাও স্পানিশ ভাষাভাষি। একটি অন্যায় যুদ্ধে আর্জেন্টিনা পরাজিত হলেও মানুষের মন জয় করে নেয় আর্জেন্টিনা।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অস্ত্রের যুদ্ধে জয়লাভ করতে পারেনি আর্জেন্টিনা। কিন্তু ফুটবল দিয়ে ঠিকই জয়লাভ করেছিলো তারা। ফকল্যান্ড যুদ্ধে ইংল্যান্ডের ২৫৮ জন নিহত হওয়ার পর যে ক্ষত হয়েছিল তা জয়ের পর সেরে গিয়েছিলো। কিন্তু ১৯৮৬ সালে মেক্সিকোতে ইংল্যান্ডকে যে আঘাত করেছিলো ফুটবল টর্নেডো, গত শতাব্দী পার হয়ে এ শতাব্দীতেও তার জ্বলুনি একটুও কমেনি।
১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনাল। ইতোমধ্যে সাদাকালো টেলিভিশন বিশ্বের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌছেঁ গেছে। পুরো বিশ্ব কাঁপছে ফুটবল জ্বরে। একজন খেলোয়ার ইতোমধ্যেই সবার দৃষ্টি কেড়েছেন। তার নাম ম্যারাডোনা। এর আগে মানুষ ব্রাজিলের একজন খেলোয়ারের নাম জানতেন। কালো মানিক। পেলে। কিন্তু শুনেই খালাস। ঘরে ঘরে টেলিভিশন ছিলনা বলে তার খেলা সবার দেখার সৌভাগ্য হয়নি। ম্যারাডোনার খেলা মানুষ দেখছে। কি ড্রিবলিং! কি কৌশল! একাই শাসন করেন ফুটবল মাঠ। ফুটবলের রাজাকে মানুষ পেয়ে গেছে তখন। টিমকে একা টেনে নিয়ে গেছেন। গোল দিয়েছেন। গোল করিয়েছেন। বিশ্বের মানুষ শ্বাসরুদ্ধ হয়ে তার খেলা দেখছে। প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড। শক্তিশালি ইংল্যান্ড। আর বিপরীতে মানুষের ভালোবাসার বলে বলিয়ান আর্জেন্টিনা। ফকল্যান্ড যুদ্ধের ঘা তখনো শুকায়নি। আর বুকে স্মৃতি হয়ে আছে ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপ।
খেলার আগে আর্জেন্টিনার টিম এক হলো। ম্যারাডোনা বললেন, আমাদের বুকে স্বজন হারানোর দগদগে ঘা এখনো শুকায়নি। জানি এরা ফুটবল প্লেয়ার। এদের কোন দোষ নেই। তবে এরাই আমাদের মাটি দখল করে রেখেছে। আমাদের অর্থ নেই। অস্ত্র শস্ত্র নেই। আছে দারিদ্রতা। আর ফুটবল। দারিদ্রতার কারণেই ফুটবলে লাথি মারা জাতি আমরা। এটাই আমাদের প্রতিশোধ নেয়ার স্থান। খেলা শুরু হলো। ম্যারাডোনা খেলছেন। ম্যারাডোনার ইচ্ছা, এমন কিছু করবেন, যাতে ইংল্যান্ড পুড়তে থাকবে। আজীবন। অবশেষে সবার চোখ ফাকিঁ দিয়ে গোল করলেন। তাও আবার হাত দিয়ে। ইংল্যান্ডের গোল কিপার দেখলেন। দেখলেন আর্জেন্টিনার কয়েকজন সতীর্থও। শুধু দেখেননি তিনজন রেফারি। আর অগণিত দর্শক। ম্যারাডোনা তখন দৌড়ে মাঝ মাঠের দিকে যাচ্ছেন। সতীর্থদের বলছেন, আমাকে জড়িয়ে ধরে উল্লাস করো। সতীর্থ একজন বলছেন, হাতে গোল। এটা উদযাপন করা কী ভালো হবে! তিনি বললেন, এটা ঈশ্বরের হাত। সতীর্থ তখন না বুঝেই উল্লাস করেছিলেন। পরে দেখেছিলেন, আর্জেন্টিনার প্রান্ত থেকে বল নিয়ে একাই প্রতিপক্ষের সকল প্লেয়ারকে কাটিয়ে নিয়ে গোল দিলেন। তখন বুঝেছিলেন, এই ঈশ্বর কোন ঈশ্বর। শুধু তিনি না। বিশ্বের অগণিত দর্শকরাও খুজেঁ পেয়েছিল ঈশ্বর। ফুটবলের ঈশ্বর। ফুটবল বোদ্ধারা আর বলতে পারেন না, এরকম গোল দেয়ার ক্ষমতা নিয়ে আর কোন ফুটবলারের জন্ম হবে কিনা! কারণ এরকম একটা গোল আগেও কখনো দেখেনি মানুষ। ভবিষ্যতেও দেখা যাবে কিনা সন্দেহ। ফুটবল ঈশ্বর ওই বছর বিশ্বকাপকে নিজের করে নিয়েছিলেন। আর সাবেক উপনিবেশ দেশগুলো ম্যারাডোনার পায়ের লাথিতে খুঁজে পেয়েছিল আনন্দ। সাবেক শোষককে হারানোর আনন্দ। বাংলাদেশের মানুষও এই আনন্দে শামিল হয়েছিল।
আমি তখন ছোট। ক্লাস টু বা থ্রিতে পড়ি। বিশ্ব নিয়ে আমার কি! গ্রামে থাকি৷ পাশের গ্রামটাই আমার কাছে বিস্ময়। সেখানে কোথায় আর্জেন্টিনা। তবে ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল খেলাটা দেখেছিলাম। আমাদের বাড়ির সামনে একটা স্কুল আছে। সেখানে জেনারেটরের মাধ্যমে ফুটবল খেলা দেখার আয়োজন করেছিল কয়েকজন। তখন চিনলাম ম্যারাডোনাকে। মাথায় চুল। নায়কের মতো দেখতে। পেছনেও জুলফি। তখন ফুটবল মানে ম্যারাডোনা। এই ম্যারাডোনাকে ১৯৯০ সালেও ফাইনালে দেখেছি। জার্মানি কিভাবে তাকে আঘাতের পর আঘাত করে কাপটা ছিনিয়ে নিয়েছে। ম্যাচ শেষে সেদিন তার কান্না আমাকেও ছুঁয়েছিলো৷ কেদেছিলাম আমিও৷ তারপর ম্যারাডোনা খেলা ছাড়লেও ফুটবল ছাড়েন নি৷ হতাশায় মাদক ধরেছিলেন৷ এটা তার প্রতি অবিচারের প্রতিফলন বটে৷ এজন্য হয়ত নশ্বর পৃথিবী থেকে ম্যারাডোনা চলে যাবেন৷ তবে থেকে যাবেন আমার মতো অগণিত মানুষের হৃদয়ে৷ যারা ফুটবল বলতেই বুঝেন ম্যারাডোনা৷

(ছবিটি ১৯৮২ বিশ্বকাপ ফুটবলে বেলজিয়ামের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার ম্যাচের। ম্যারাযোনাকে রুখতে ৬ জন খেলোয়ারকে মোতায়েন করা হয়েছিল। ছবিটি গার্ডিয়ান থেকে নেয়া হয়েছে)
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪৫
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×