িষযে সমস্ত প্রচারণায় জনতা বিডিআর এর উচ্ছৃঙ্খলতার সহমর্মি হয়েছিল এবং যে সব অর্ধ সত্য তথ্যের উপর দাঁড়িয়ে জল স্বভাবের বুদ্ধিজীবি আর খ্যাতিলোভী মিডিয়া কর্মীরা সেনা বাহিনীর বিপক্ষে জনতাকে ক্ষেপিয়ে তুলেছিল তা হচ্ছেঃ
১. সেনা বাহিনীর অফিসাররা আমাদের রেশন খেয়ে ফেলে
২. আমাদের টাকা দিয়ে তারা গাড়ি ,বাড়ি বানায়
৩. আমরা নির্যাতিত,তারা আমাদের Rank খুলে ফেলে
৪. ৪০ টাকা লিটার তেল কিনে ডাল ভাত কর্ম সূচীতে তারা ১১৫টাকায় বিক্রি করেছে, আমাদের লাভের টাকা দেয়নি।
৫. আমরা সেনাবাহিনী দ্বারা নির্যাতিত
৬. আমরা জাতি সংঘ মিশনে যেতে পারি না।
এদেশে আগুনে ঘি ঢালার লোকের অভাব নেই। আর শহুরে বুদ্ধিজীবি, বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছাত্র -শিক্ষক, সুযোগ সন্ধানী রাজনীতিকরা তো সেনাবাহিনীর প্রয়োজনীয়তার কথাই স্বীকার করেন না। কাজেই এ সুযোগ তারা ছাড়বেন কেন? সেনাবাহিনীর বিপক্ষে জনমত গঠনে নেমে পড়লেন।
এখন দেখা যাক দাবি দাওয়ার যৌক্তিকতাঃ
১. সেনা বাহিনীর অফিসাররা বিডিআর থেকে রেশন নেন না।তাই রেশন খেয়ে ফেলার প্রশ্ন অবান্তর।
২. সেনাবাহিনী থেকে প্রেষণে যে সব অফিসার বিডিআরে যান তাদের কয়জনের নিজস্ব বাড়ি আছে তাদের আয়ের উৎস যাঁচাই করা আদৌ কঠিন নয়। কারণ আয়কর রিটার্ণ ছাড়াও প্রতিবছর সেনাসদরে তারা সম্পদের হিসাব দাখিল করে থাকে। একই সাথে বিডিআর সদস্যদের সম্পদের হিসাবও নেওয়া উচিত।
৩. আইন শৃংখলা ভঙ্গের কারণে পদাবনমন (rank খুলে ফেলা)
পৃথিবীর সকল সুশৃংল বাহিনীর মধ্যেই প্রচলিত।
৪. বিশ্ব মন্দার কারণে ডালভাত কর্মসূচীর সময় এত কম দামে তেল কেনার কথা ডাহা মিথ্যা। তা ছাড়া এর লভ্যাংশ প্রতিষ্ঠানের সার্বিক কল্যাণে ব্যয় হবার কথা। বিডিআর সদস্যদের ভাগবাটোরার জন্যে নয়।
৫. নির্যাতিত হবার বিষয়টি স্পষ্ট নয়। কি ভাবে নির্যাতিত?
৬.জাতি সংঘ মিশনে যাবার বিষয় টি নির্ভর করে জাতি সংঘ কোন ধরণের ট্রুপস চায় তার উপরে।ডিএডি তৌহিদ নিজেও জাতি সংঘ মিশনে গিয়েছিলেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মার্চ, ২০০৯ রাত ১০:০৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



