সালাউদ্দিন শাহরিয়া
জনপ্রিয় পরিচালক! মুভি তৈরীতে পুরস্কার পেয়েছেন,
এখনো হলে চলে উনার মুভি ধামাকা।
দেশের স্বার্থ, রাজনীতি, অন্যায়-অত্যাচার তুলে ধরেন,
বাস্তবতা কি উনি দেখিয়ে দেনমুভিতে।
অন্যায়ের প্রতিবাদ করেন সিনেমা জগতে।
আহ! কষ্ট লাগে এরকম জনপ্রিয় পরিচালকের কথা শুনে।
কষ্ট লাগবেই বা না কেনো?
বাস্তবে নির্বাচন নিয়ে হাজার হাজার মানুষ মরছে,
জেল-জুলুম, নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছে।
আর উনি জনপ্রিয় পরিচালক ঘুমে আছেন।
কোন প্রতিবাদ নেই কোন শান্তনা নেই।
কারণ উনি আলোচনা সমালোচনা করলে
কোন এক পক্ষের শত্রু হয়ে যাবেন।
যার ফলে সিনেমাতে অনেক পচন ধরবে।
সত্য বলতে গেলে সিনেমায় একদিকের দর্শক
কমে যাবেই যাবে।
তাই নিশ্চুপ।
প্রতিবাদী লেখক, কবি।
কাব্যগন্থে আর উপন্যাসে প্রতিবাদে ভরপুর।
কতো মানুষ সত্যমিথ্যা জেনে সঠিকে পথে আসছে।
জনপ্রিয় লেখক জনপ্রিয় কবি।
আর উনি সদ্যঘটিত ধর্ষণের কোন প্রতিবাদ করছেন না।
নির্বাচন নিয়ে কিছু বলছেন না।
মুখ একেবারেই বন্ধ।
নির্বাচনও একটা জনগণের কর্তব্য।
দেশের স্বার্থ, জাতির স্বার্থ।
তিনি একদম চুপ।
কথা বললে পাঠ প্রিয়তা হারাবেন।
এভাবে হাজার হাজার সুশীল,
হাজার হাজার কবি,
হাজার হাজার লেখক,
হাজার হাজার গবেষক
নিশ্চুপ
একেবারেই নিশ্চুপ।
তাহলে কি সব কিছু অভিনয় ছিলো?
অর্থ উপার্জন ছিলো?
জনপ্রিয়তার জন্য ছিলো ?
হ্যাঁ আমি মনে করি এগুলোর জন্যই ছিলো।
হয়তো আমি নতুন।
কবিতা লিখতে শুরু করেছি মাত্র।
আমার জনপ্রিয়তা নেই।
আমার টাকা পয়সা নেই।
তবে আমি লিখছি।
কষ্ট হয়, যাদের দেখে শিখবো
তারা দেখি শুধু স্বার্থপর।
প্রতিবাদ শুধু বইয়ে, গলেপ, উপন্যাসে, কবিতায়।
কিন্তু এগুলো বাস্তবে না।
উপস্থিত সময়ে না।
কেবল অতীতে ঘটে যাওয়া ঘটনা
বা কাল্পনিক লিখে
পাঠকপ্রিয় জনপ্রিয়তা আর অর্থ উপার্জন মাত্র।
কষ্টে আমার বুকের শহর খালি হয়েগেছে।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:২৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




