মানুষগুলা দেখতে দেখতে অন্য রকম হয়ে যায় সবার চোখের সামনে থাকতে থাকতেই বদলে যায় চেহারার আদল, এরা সন্ধ্যার আধ মরা কাশফুলের মতন দূর দুরান্ত পর্যন্ত একে অপরের পাশাপাশি দাঁড়িয়েই থাকে অথচ বিস্তর দূরত্ব মনের। দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে এরা ভেবেই নেয় মানব সমাজে কারো সাথে মেশা যাবে নাহ, জীবনের দুঃখ দুর্দশা সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা যেহেতু বোকামি অনেক, ধ্বংস হয়ে গেলেও মুখ খোলা যাবে না, যারা মুখ খোলে তারা কি ভালো আছে? সুইসাইড করতেছে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে, সমালোচনায় টেকা যায় নাকি! এদিক সেদিক একটু হলেই কৈফিয়ত দিতে হয় ট্রাফিক পুলিশের কাছে সিগন্যাল অমান্য না করেই।
সবুজ মাঠের ঘাস গুলার মতন; ল্যামপোষ্টের সারি সারি রঙিন আলোর মতন, শরতের নীল সাদা আকাশের মতন,মানুষের বাড়ি ফেরার মতন, হাসপাতালের ডিসচার্জ পেপারের মতন জীবন কিছুটা ভালো বোধ মাঝে মাঝে মনে হলেও খারাপ আবহাওয়ার সমস্যা নিয়ে কেউ বিলাসিতা করতে পারেনা বলেই মানুষ নিজের মধ্যে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে ভেতরে ভেতরে অর্ধেক মরে থাকে নতুন নতুন প্রত্যেক দিনে।
কারো সাথে কথা বলাই পাপ মনে মনে নিজে থেকে ভেবে নিতেছে একেকজন।
এই যে আমি নিজেকে এত বড় মনের মানুষ ভেবে বসে থাকি প্রায় আর সবার মতন অন্তর থেকে, অথচ আমি জানি মেয়েটির টেলিফোনে বিয়ে হয়েছে যদিও, তার স্বামী আর দেশে আসার নাম নাই বিলকুল হাওয়া হয়ে গেছে বিদেশের আবহাওয়ার সাথে,তবু তারে বলি জামাইর কি খবর আসবে কবে? আমার মতন এই সকল দোষের মানুষের জন্যই মানুষের মন ভেতরে ভেতরে মরা কাঠের মতন শুকিয়ে যেতে যেতে মানুষের সমাজে আসতে ভয় পায়, অসামাজিক হয় স্বার্থপর হয়, কিন্তু প্রশ্ন হলো কীভাবে কথা বলা সমীচীন, কীভাবে সাহায্য করা যায় নিজেকে অন্যকে ??
ছবিঃ অফিসের ডেস্কের পাশে দাঁড়িয়ে তোলা
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩০