somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হ্যাঁ হ্যাঁ হ্যাঁ ! এখন থেকে সিনেমা দেখা যায়েজ হয়ে গেলো! সউদীতে জায়েয হলো তো.............

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

(কপি-পেস্ট)
চলতি বছরের ভেনিস চলচ্চিত্র উত্সবে প্রদর্শিত হচ্ছে সৌদি আরবের প্রথম নারী চিত্রনির্মাতা হাইফা আল মনসুর পরিচালিত পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ওয়াজদা’। এটিই সৌদি আরবের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। দেশটিতে জনসমক্ষে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী নিষিদ্ধ হওয়ায় ‘ওয়াজদা’ নির্মাণের প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন বাধার মুখে পড়তে হয়েছে বলে জানান এর পরিচালক।

সৌদি আরবের প্রেক্ষাপটে গড়ে উঠেছে ৯৮ মিনিটের ‘ওয়াজদা’ ছবির কাহিনি। দেশটির নানা প্রথা আর ঐতিহ্যের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া একজন মেয়ের অভিজ্ঞতার চিত্র ফুটে উঠেছে এ ছবিতে। এর কাহিনিতে দেখা যাবে, রক্ষণশীল সমাজে বাস করেও ১০ বছর বয়সী একটি মেয়ে পশ্চিমা সংগীত ও ফ্যাশনের প্রতি দুর্বলতা প্রকাশ করায় নানা সমস্যায় জড়িয়ে পড়ে। সম্প্রতি এক খবরে এমনটিই জানিয়েছে দ্য টেলিগ্রাফ।

‘ওয়াজদা’ ছবির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ওয়াদ মোহাম্মেদ, রিম আবদুল্লাহ, আবদুল রহমান আল গোহানি, সুলতান আল আসাফ প্রমুখ।

ছবিটি নির্মাণের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে পরিচালক হাইফা আল মনসুর বলেন, ‘আমি এই ছবির মাধ্যমে আধুনিকতা ও ঐতিহ্যের মধ্যকার টানাপোড়েন তুলে ধরতে চেয়েছি। ছবিটি নির্মাণের জন্য শুরুতেই প্রযোজক খুঁজে পেতে বেগ পেতে হয় আমাকে। কারণ, যে দেশে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী নিষিদ্ধ, সেখানে চলচ্চিত্রে লগ্নি করার ঝুঁকি কেউ নিতে চায় না।’
হাইফা বলেন, ‘ছবির শুটিং করতে গিয়েও আমাকে নানা ঝক্কি পোহাতে হয়েছে। পুরুষ অভিনেতা ও ক্রুদের সঙ্গে জনসমক্ষে কাজ করতে পারিনি। একটি ভ্যানের ভেতর থেকে ওয়াকিটকি দিয়ে সব নির্দেশনা দিতে হয়েছে। কয়েকটি এলাকায় তো রীতিমতো হট্টগোল পাকিয়ে গিয়েছিল। ওই সব এলাকার বাসিন্দারা চিত্কার-চেঁচামেচি করে শুটিং বন্ধ করে দিয়েছিল।’

ছবিটির পরিচালক আরও বলন, ‘কেবল ডিভিডি বা টেলিভিশনেই “ওয়াজদা” দেখার সুযোগ পাবে সৌদি আরবের দর্শক। কারণ, এখানে জনসমক্ষে চলচ্চিত্র প্রদর্শন অবৈধ। চলচ্চিত্র নির্মাণসংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত নই আমরা। কখনোই ছবির সেটে যাওয়ার সুযোগ আমি পাইনি। এমনকি চলচ্চিত্র তৈরির ওপর কোনো প্রশিক্ষণও আমার নেই। সব মিলিয়ে ছবিটি তৈরি করতে অনেক কঠিন পথ পাড়ি দিতে হয়েছে আমাকে।’

১৯৭৪ সালে সৌদি আরবের ছোট্ট একটি শহরে জন্মগ্রহণ করেন হাইফা আল মনসুর। ১২ ভাই-বোনের সবাই বেড়ে উঠেছেন সেখানেই। মূলত পরিবারের সহায়তার কারণেই চলচ্চিত্র নির্মাণকে পেশা হিসেবে নিতে পেরেছেন হাইফা। এ প্রসঙ্গে তাঁর ভাষ্য, ‘বরাবরই ছবি নির্মাণে আমাকে উত্সাহ জুগিয়েছেন আমার পরিবারের সদস্যরা। অবশ্য শুরু থেকেই আমার আত্মীয়স্বজন আমাদের বারবার বোঝাতে চেয়েছেন যে চলচ্চিত্র নির্মাণ মোটেও সম্মানজনক পেশা নয়। ঐতিহ্যবাহী সৌদি পরিবার হলেও সৃষ্টিশীল কাজে কখনোই আমাকে বাধা দেননি আমার পরিবারের সদস্যরা। সব মেয়ের ক্ষেত্রে এমনটা ঘটে না। এদিক দিয়ে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি আমি।’

মিসরের আমেরিকান ইউনিভার্সিটি ইন কায়রো থেকে সাহিত্যে এবং অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব সিডনি থেকে চলচ্চিত্র বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন হাইফা আল মনসুর। আরবের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র পরিচালনার আগে তিনি তিনটি স্বল্পদৈর্ঘ্য ও একটি প্রামাণ্যচিত্র পরিচালনা করেছিলেন। এর মধ্যে ‘উইমেন উইদাউট শ্যাডোস’ প্রামাণ্যচিত্রটি পুরস্কৃতও হয়েছে।

‘ওয়াজদা’ ছবিটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে জার্মানির রেজার ফিল্ম ও সৌদি আরবের একাধিক কোম্পানি। এর মধ্যে রোটানা স্টুডিওস নামের একটি কোম্পানিও আছে, যার সঙ্গে সম্পৃক্ততা রয়েছে সৌদি রাজপরিবারের। এর মধ্যে ফ্রান্স, জার্মানি ও সুইজারল্যান্ডে ছবিটির স্বত্ব বিক্রি হয়ে গেছে চলতি বছরের ভেনিস চলচ্চিত্র উত্সবে প্রদর্শিত হচ্ছে সৌদি আরবের প্রথম নারী চিত্রনির্মাতা হাইফা আল মনসুর পরিচালিত পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ওয়াজদা’। এটিই সৌদি আরবের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। দেশটিতে জনসমক্ষে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী নিষিদ্ধ হওয়ায় ‘ওয়াজদা’ নির্মাণের প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন বাধার মুখে পড়তে হয়েছে বলে জানান এর পরিচালক।

সৌদি আরবের প্রেক্ষাপটে গড়ে উঠেছে ৯৮ মিনিটের ‘ওয়াজদা’ ছবির কাহিনি। দেশটির নানা প্রথা আর ঐতিহ্যের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া একজন মেয়ের অভিজ্ঞতার চিত্র ফুটে উঠেছে এ ছবিতে। এর কাহিনিতে দেখা যাবে, রক্ষণশীল সমাজে বাস করেও ১০ বছর বয়সী একটি মেয়ে পশ্চিমা সংগীত ও ফ্যাশনের প্রতি দুর্বলতা প্রকাশ করায় নানা সমস্যায় জড়িয়ে পড়ে। সম্প্রতি এক খবরে এমনটিই জানিয়েছে দ্য টেলিগ্রাফ।

‘ওয়াজদা’ ছবির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ওয়াদ মোহাম্মেদ, রিম আবদুল্লাহ, আবদুল রহমান আল গোহানি, সুলতান আল আসাফ প্রমুখ।

ছবিটি নির্মাণের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে পরিচালক হাইফা আল মনসুর বলেন, ‘আমি এই ছবির মাধ্যমে আধুনিকতা ও ঐতিহ্যের মধ্যকার টানাপোড়েন তুলে ধরতে চেয়েছি। ছবিটি নির্মাণের জন্য শুরুতেই প্রযোজক খুঁজে পেতে বেগ পেতে হয় আমাকে। কারণ, যে দেশে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী নিষিদ্ধ, সেখানে চলচ্চিত্রে লগ্নি করার ঝুঁকি কেউ নিতে চায় না।’
হাইফা বলেন, ‘ছবির শুটিং করতে গিয়েও আমাকে নানা ঝক্কি পোহাতে হয়েছে। পুরুষ অভিনেতা ও ক্রুদের সঙ্গে জনসমক্ষে কাজ করতে পারিনি। একটি ভ্যানের ভেতর থেকে ওয়াকিটকি দিয়ে সব নির্দেশনা দিতে হয়েছে। কয়েকটি এলাকায় তো রীতিমতো হট্টগোল পাকিয়ে গিয়েছিল। ওই সব এলাকার বাসিন্দারা চিত্কার-চেঁচামেচি করে শুটিং বন্ধ করে দিয়েছিল।’

ছবিটির পরিচালক আরও বলন, ‘কেবল ডিভিডি বা টেলিভিশনেই “ওয়াজদা” দেখার সুযোগ পাবে সৌদি আরবের দর্শক। কারণ, এখানে জনসমক্ষে চলচ্চিত্র প্রদর্শন অবৈধ। চলচ্চিত্র নির্মাণসংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত নই আমরা। কখনোই ছবির সেটে যাওয়ার সুযোগ আমি পাইনি। এমনকি চলচ্চিত্র তৈরির ওপর কোনো প্রশিক্ষণও আমার নেই। সব মিলিয়ে ছবিটি তৈরি করতে অনেক কঠিন পথ পাড়ি দিতে হয়েছে আমাকে।’

১৯৭৪ সালে সৌদি আরবের ছোট্ট একটি শহরে জন্মগ্রহণ করেন হাইফা আল মনসুর। ১২ ভাই-বোনের সবাই বেড়ে উঠেছেন সেখানেই। মূলত পরিবারের সহায়তার কারণেই চলচ্চিত্র নির্মাণকে পেশা হিসেবে নিতে পেরেছেন হাইফা। এ প্রসঙ্গে তাঁর ভাষ্য, ‘বরাবরই ছবি নির্মাণে আমাকে উত্সাহ জুগিয়েছেন আমার পরিবারের সদস্যরা। অবশ্য শুরু থেকেই আমার আত্মীয়স্বজন আমাদের বারবার বোঝাতে চেয়েছেন যে চলচ্চিত্র নির্মাণ মোটেও সম্মানজনক পেশা নয়। ঐতিহ্যবাহী সৌদি পরিবার হলেও সৃষ্টিশীল কাজে কখনোই আমাকে বাধা দেননি আমার পরিবারের সদস্যরা। সব মেয়ের ক্ষেত্রে এমনটা ঘটে না। এদিক দিয়ে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি আমি।’

মিসরের আমেরিকান ইউনিভার্সিটি ইন কায়রো থেকে সাহিত্যে এবং অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব সিডনি থেকে চলচ্চিত্র বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন হাইফা আল মনসুর। আরবের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র পরিচালনার আগে তিনি তিনটি স্বল্পদৈর্ঘ্য ও একটি প্রামাণ্যচিত্র পরিচালনা করেছিলেন। এর মধ্যে ‘উইমেন উইদাউট শ্যাডোস’ প্রামাণ্যচিত্রটি পুরস্কৃতও হয়েছে।

‘ওয়াজদা’ ছবিটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে জার্মানির রেজার ফিল্ম ও সৌদি আরবের একাধিক কোম্পানি। এর মধ্যে রোটানা স্টুডিওস নামের একটি কোম্পানিও আছে, যার সঙ্গে সম্পৃক্ততা রয়েছে সৌদি রাজপরিবারের। এর মধ্যে ফ্রান্স, জার্মানি ও সুইজারল্যান্ডে ছবিটির স্বত্ব বিক্রি হয়ে গেছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:১৬
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×