(কপি-পেস্ট)
চলতি বছরের ভেনিস চলচ্চিত্র উত্সবে প্রদর্শিত হচ্ছে সৌদি আরবের প্রথম নারী চিত্রনির্মাতা হাইফা আল মনসুর পরিচালিত পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ওয়াজদা’। এটিই সৌদি আরবের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। দেশটিতে জনসমক্ষে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী নিষিদ্ধ হওয়ায় ‘ওয়াজদা’ নির্মাণের প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন বাধার মুখে পড়তে হয়েছে বলে জানান এর পরিচালক।
সৌদি আরবের প্রেক্ষাপটে গড়ে উঠেছে ৯৮ মিনিটের ‘ওয়াজদা’ ছবির কাহিনি। দেশটির নানা প্রথা আর ঐতিহ্যের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া একজন মেয়ের অভিজ্ঞতার চিত্র ফুটে উঠেছে এ ছবিতে। এর কাহিনিতে দেখা যাবে, রক্ষণশীল সমাজে বাস করেও ১০ বছর বয়সী একটি মেয়ে পশ্চিমা সংগীত ও ফ্যাশনের প্রতি দুর্বলতা প্রকাশ করায় নানা সমস্যায় জড়িয়ে পড়ে। সম্প্রতি এক খবরে এমনটিই জানিয়েছে দ্য টেলিগ্রাফ।
‘ওয়াজদা’ ছবির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ওয়াদ মোহাম্মেদ, রিম আবদুল্লাহ, আবদুল রহমান আল গোহানি, সুলতান আল আসাফ প্রমুখ।
ছবিটি নির্মাণের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে পরিচালক হাইফা আল মনসুর বলেন, ‘আমি এই ছবির মাধ্যমে আধুনিকতা ও ঐতিহ্যের মধ্যকার টানাপোড়েন তুলে ধরতে চেয়েছি। ছবিটি নির্মাণের জন্য শুরুতেই প্রযোজক খুঁজে পেতে বেগ পেতে হয় আমাকে। কারণ, যে দেশে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী নিষিদ্ধ, সেখানে চলচ্চিত্রে লগ্নি করার ঝুঁকি কেউ নিতে চায় না।’
হাইফা বলেন, ‘ছবির শুটিং করতে গিয়েও আমাকে নানা ঝক্কি পোহাতে হয়েছে। পুরুষ অভিনেতা ও ক্রুদের সঙ্গে জনসমক্ষে কাজ করতে পারিনি। একটি ভ্যানের ভেতর থেকে ওয়াকিটকি দিয়ে সব নির্দেশনা দিতে হয়েছে। কয়েকটি এলাকায় তো রীতিমতো হট্টগোল পাকিয়ে গিয়েছিল। ওই সব এলাকার বাসিন্দারা চিত্কার-চেঁচামেচি করে শুটিং বন্ধ করে দিয়েছিল।’
ছবিটির পরিচালক আরও বলন, ‘কেবল ডিভিডি বা টেলিভিশনেই “ওয়াজদা” দেখার সুযোগ পাবে সৌদি আরবের দর্শক। কারণ, এখানে জনসমক্ষে চলচ্চিত্র প্রদর্শন অবৈধ। চলচ্চিত্র নির্মাণসংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত নই আমরা। কখনোই ছবির সেটে যাওয়ার সুযোগ আমি পাইনি। এমনকি চলচ্চিত্র তৈরির ওপর কোনো প্রশিক্ষণও আমার নেই। সব মিলিয়ে ছবিটি তৈরি করতে অনেক কঠিন পথ পাড়ি দিতে হয়েছে আমাকে।’
১৯৭৪ সালে সৌদি আরবের ছোট্ট একটি শহরে জন্মগ্রহণ করেন হাইফা আল মনসুর। ১২ ভাই-বোনের সবাই বেড়ে উঠেছেন সেখানেই। মূলত পরিবারের সহায়তার কারণেই চলচ্চিত্র নির্মাণকে পেশা হিসেবে নিতে পেরেছেন হাইফা। এ প্রসঙ্গে তাঁর ভাষ্য, ‘বরাবরই ছবি নির্মাণে আমাকে উত্সাহ জুগিয়েছেন আমার পরিবারের সদস্যরা। অবশ্য শুরু থেকেই আমার আত্মীয়স্বজন আমাদের বারবার বোঝাতে চেয়েছেন যে চলচ্চিত্র নির্মাণ মোটেও সম্মানজনক পেশা নয়। ঐতিহ্যবাহী সৌদি পরিবার হলেও সৃষ্টিশীল কাজে কখনোই আমাকে বাধা দেননি আমার পরিবারের সদস্যরা। সব মেয়ের ক্ষেত্রে এমনটা ঘটে না। এদিক দিয়ে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি আমি।’
মিসরের আমেরিকান ইউনিভার্সিটি ইন কায়রো থেকে সাহিত্যে এবং অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব সিডনি থেকে চলচ্চিত্র বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন হাইফা আল মনসুর। আরবের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র পরিচালনার আগে তিনি তিনটি স্বল্পদৈর্ঘ্য ও একটি প্রামাণ্যচিত্র পরিচালনা করেছিলেন। এর মধ্যে ‘উইমেন উইদাউট শ্যাডোস’ প্রামাণ্যচিত্রটি পুরস্কৃতও হয়েছে।
‘ওয়াজদা’ ছবিটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে জার্মানির রেজার ফিল্ম ও সৌদি আরবের একাধিক কোম্পানি। এর মধ্যে রোটানা স্টুডিওস নামের একটি কোম্পানিও আছে, যার সঙ্গে সম্পৃক্ততা রয়েছে সৌদি রাজপরিবারের। এর মধ্যে ফ্রান্স, জার্মানি ও সুইজারল্যান্ডে ছবিটির স্বত্ব বিক্রি হয়ে গেছে চলতি বছরের ভেনিস চলচ্চিত্র উত্সবে প্রদর্শিত হচ্ছে সৌদি আরবের প্রথম নারী চিত্রনির্মাতা হাইফা আল মনসুর পরিচালিত পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ওয়াজদা’। এটিই সৌদি আরবের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। দেশটিতে জনসমক্ষে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী নিষিদ্ধ হওয়ায় ‘ওয়াজদা’ নির্মাণের প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন বাধার মুখে পড়তে হয়েছে বলে জানান এর পরিচালক।
সৌদি আরবের প্রেক্ষাপটে গড়ে উঠেছে ৯৮ মিনিটের ‘ওয়াজদা’ ছবির কাহিনি। দেশটির নানা প্রথা আর ঐতিহ্যের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া একজন মেয়ের অভিজ্ঞতার চিত্র ফুটে উঠেছে এ ছবিতে। এর কাহিনিতে দেখা যাবে, রক্ষণশীল সমাজে বাস করেও ১০ বছর বয়সী একটি মেয়ে পশ্চিমা সংগীত ও ফ্যাশনের প্রতি দুর্বলতা প্রকাশ করায় নানা সমস্যায় জড়িয়ে পড়ে। সম্প্রতি এক খবরে এমনটিই জানিয়েছে দ্য টেলিগ্রাফ।
‘ওয়াজদা’ ছবির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ওয়াদ মোহাম্মেদ, রিম আবদুল্লাহ, আবদুল রহমান আল গোহানি, সুলতান আল আসাফ প্রমুখ।
ছবিটি নির্মাণের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে পরিচালক হাইফা আল মনসুর বলেন, ‘আমি এই ছবির মাধ্যমে আধুনিকতা ও ঐতিহ্যের মধ্যকার টানাপোড়েন তুলে ধরতে চেয়েছি। ছবিটি নির্মাণের জন্য শুরুতেই প্রযোজক খুঁজে পেতে বেগ পেতে হয় আমাকে। কারণ, যে দেশে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী নিষিদ্ধ, সেখানে চলচ্চিত্রে লগ্নি করার ঝুঁকি কেউ নিতে চায় না।’
হাইফা বলেন, ‘ছবির শুটিং করতে গিয়েও আমাকে নানা ঝক্কি পোহাতে হয়েছে। পুরুষ অভিনেতা ও ক্রুদের সঙ্গে জনসমক্ষে কাজ করতে পারিনি। একটি ভ্যানের ভেতর থেকে ওয়াকিটকি দিয়ে সব নির্দেশনা দিতে হয়েছে। কয়েকটি এলাকায় তো রীতিমতো হট্টগোল পাকিয়ে গিয়েছিল। ওই সব এলাকার বাসিন্দারা চিত্কার-চেঁচামেচি করে শুটিং বন্ধ করে দিয়েছিল।’
ছবিটির পরিচালক আরও বলন, ‘কেবল ডিভিডি বা টেলিভিশনেই “ওয়াজদা” দেখার সুযোগ পাবে সৌদি আরবের দর্শক। কারণ, এখানে জনসমক্ষে চলচ্চিত্র প্রদর্শন অবৈধ। চলচ্চিত্র নির্মাণসংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত নই আমরা। কখনোই ছবির সেটে যাওয়ার সুযোগ আমি পাইনি। এমনকি চলচ্চিত্র তৈরির ওপর কোনো প্রশিক্ষণও আমার নেই। সব মিলিয়ে ছবিটি তৈরি করতে অনেক কঠিন পথ পাড়ি দিতে হয়েছে আমাকে।’
১৯৭৪ সালে সৌদি আরবের ছোট্ট একটি শহরে জন্মগ্রহণ করেন হাইফা আল মনসুর। ১২ ভাই-বোনের সবাই বেড়ে উঠেছেন সেখানেই। মূলত পরিবারের সহায়তার কারণেই চলচ্চিত্র নির্মাণকে পেশা হিসেবে নিতে পেরেছেন হাইফা। এ প্রসঙ্গে তাঁর ভাষ্য, ‘বরাবরই ছবি নির্মাণে আমাকে উত্সাহ জুগিয়েছেন আমার পরিবারের সদস্যরা। অবশ্য শুরু থেকেই আমার আত্মীয়স্বজন আমাদের বারবার বোঝাতে চেয়েছেন যে চলচ্চিত্র নির্মাণ মোটেও সম্মানজনক পেশা নয়। ঐতিহ্যবাহী সৌদি পরিবার হলেও সৃষ্টিশীল কাজে কখনোই আমাকে বাধা দেননি আমার পরিবারের সদস্যরা। সব মেয়ের ক্ষেত্রে এমনটা ঘটে না। এদিক দিয়ে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি আমি।’
মিসরের আমেরিকান ইউনিভার্সিটি ইন কায়রো থেকে সাহিত্যে এবং অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব সিডনি থেকে চলচ্চিত্র বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন হাইফা আল মনসুর। আরবের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র পরিচালনার আগে তিনি তিনটি স্বল্পদৈর্ঘ্য ও একটি প্রামাণ্যচিত্র পরিচালনা করেছিলেন। এর মধ্যে ‘উইমেন উইদাউট শ্যাডোস’ প্রামাণ্যচিত্রটি পুরস্কৃতও হয়েছে।
‘ওয়াজদা’ ছবিটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে জার্মানির রেজার ফিল্ম ও সৌদি আরবের একাধিক কোম্পানি। এর মধ্যে রোটানা স্টুডিওস নামের একটি কোম্পানিও আছে, যার সঙ্গে সম্পৃক্ততা রয়েছে সৌদি রাজপরিবারের। এর মধ্যে ফ্রান্স, জার্মানি ও সুইজারল্যান্ডে ছবিটির স্বত্ব বিক্রি হয়ে গেছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:১৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




