কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলায় মীলাদ শরীফ ও ক্বিয়াম শরীফ-এর মুহব্বতকারীদের উদ্যোগে ২৫ সদস্যবিশিষ্ট এক ‘মীলাদ শরীফ ও ক্বিয়াম শরীফ বাস্তবায়ন’ কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং এ সপ্তাহেই আরো ২৫০ জন সদস্য স্বতস্ফূর্তভাবে এ কমিটিতে যোগদান করবেন বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, দেওবন্দী ওহাবী ফিরক্বাভুক্ত চিলমারী হাফিজিয়া মাদরাসার বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক হাফিয মুকুট সে মুসলিম সমাজে বিভ্রান্তি ছড়াতে ফতওয়া দিয়েছিলো, ‘মীলাদ শরীফ ও ক্বিয়াম শরীফ পড়া বিদয়াত ও নাজায়িয’।
এর প্রেক্ষিতে এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা অর্থাৎ সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহব্বতকারীগণ সেই ব-ক্বলম হাফিযকে তার প্রদত্ত ফতওয়ার স্বপক্ষে দলীল দিতে বললে, সে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে ধোঁকা দিয়ে দুই দিনের সময় নিয়ে দলীল দেয়ার কথা বলে। কিন্তু দুই দিন পেরিয়ে গেলেও সে দলীল না দেয়ায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ শক্তভাবে তাকে দলীল পেশ করার কথা বলে। সে আবারো দলীল না দিয়ে টালবাহানা শুরু করে। এক পর্যায়ে সে ব-ক্বলম হাফিয বলে যে, ‘আমার কাছে কোনো দলীল নেই। আপনাদের যা করার ইচ্ছা আমাকে করতে পারেন’ ইত্যাদি ইত্যাদি।
মীলাদ শরীফ ও ক্বিয়াম শরীফ বাস্তবায়ন কমিটির অন্যতম সদস্য আল্লামা মুহম্মদ নূরুল আমীন বলেন, খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, ‘হে মানবজাতি! অবশ্যই তোমাদের মধ্যে মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে এসেছেন মহান নছীহতকারী, তোমাদের অন্তরের সকল ব্যাধিসমূহ দূরকারী, কুল-কায়িনাতের মহান হিদায়েত দানকারী ও ঈমানদারদের জন্য মহান রহমতস্বরূপ (হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি)। হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলে দিন, তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার দয়া, ইহসান ও রহমত (হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পেয়ে) উনার জন্য ঈদ উদযাপন তথা খুশি প্রকাশ করো। (তোমরা যতো কিছুই করোনা কেনো) তিনিই হচ্ছেন সমগ্র কায়িনাতের জন্য সবচেয়ে বড় ও সর্বোত্তম নিয়ামত।’ (সূরা ইউনুস: আয়াত শরীফ ৫৫-৫৮)
খালিক্ব মালিক রব মহান মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ করেন, ‘নিশ্চয় মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ছলাত পাঠ করেন। হে ঈমানদারগণ! তোমরাও উনার প্রতি ছলাত পাঠ করো এবং সালাম দেয়ার মতো সালাম দাও অর্থাৎ যথাযথ আদব সহকারে তথা ক্বিয়াম বা দাঁড়িয়ে সালাম পেশ করো।’ (সূরা আহযাব: আয়াত শরীফ ৫৬)
আল্লামা মুহম্মদ নূরুল আমীন আরো বলেন, মীলাদ শরীফ ও ক্বিয়াম শরীফ-এর বিরোধিতা করা মূলত মহান আল্লাহ পাক উনার বিরোধিতা করা। যা কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত অর্থাৎ ঈমান নষ্ট হয়ে জাহান্নামী হওয়ার কারণ।
মীলাদ শরীফ ও ক্বিয়াম শরীফ বাস্তবায়ন কমিটির অন্যতম সদস্য মুহম্মদ ফরমান আলী ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণের পক্ষে ঘোষণা দিয়েছেন, চিলমারী থেকে আমাদের কার্যক্রম শুরু হলো। আস্তে আস্তে আমরা সারাবিশ্বে ঘরে ঘরে মীলাদ শরীফ ও ক্বিয়াম শরীফ পৌঁছি দিব ইনশাআল্লাহ!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




