লিখব লিখব করে লেখা হচ্ছে না। ঠিক করলাম অল্প অল্প করে লিখি, তাতে আমারও সুবিধা, যারা পড়বেন তাদেরও সুবিধা...
একটা রিয়েল লাইফ গল্প শুরু করেছিলাম। ভালোবাসার গল্প। ঢোল পেটানো নয়, ডায়েরী হিসেবে কষ্টবাষ্প গুলো জমা করে রাখার প্রয়াস মাত্র।
আগের পোস্ট
(১) ..:: ভালাবাসার চারাগাছ - কেবলই সূচনা ::..
*******************************************************
(২)
.........তার দেয়া কথামত ছেলেটি এর পরেও কয়েকবার মেয়েটির বাসায় যায়। কিন্তু কোনবারই সে তার ভালবাসার কথা মেয়েটিকে জানাতে পারেনি। কোন কারণে মেয়েটি যদি তাকে প্রত্যাখ্যান করে তবে তার কি হবে তা সে ভাবতে চায়না। মেয়েটিকে তো চিরদিনের জন্য হারাবেই উপরন্তু মেয়েটির পরিবারের সকলের ভালবাসা ও স্বহৃদ্যতা হারাবে। তাই সাহস করে বলা হয়নি।
শেষমেষ নিজের সাথে বোঝাপড়া করে ছেলেটি ঠিক করল হ্যা বলবে, কিন্তু এখন নয়। কারণ মেয়েটির সামনে তখন SSC পরীক্ষা। যা বলার পরীক্ষার রেজাল্ট বের হবার পরই বলবে। মেয়েটির ওপর তখন কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণের চাপ তৈরী করা ঠিক হবেনা।
এক এক করে দিন গুনতে থাকে ছেলেটি। প্রতীক্ষার প্রহর গড়ায়। অবশেষে মেয়েটির পরীক্ষা শুরু হয়। এসময় ছেলেটি খোদার কাছে মেয়েটির জন্য দোয়া করে, যেন সে ভালো থাকে, পরীক্ষায় ভালো করে।
পরীক্ষা শেষ হয়। ঘনিয়ে এসেছে চরম মুহূর্ত। আশংকায় বুক কাঁপে ছেলেটির। এ সময গুলোতে সে নিয়মিত খোঁজ খবর নিয়ে এসেছে মেয়েটির, তার ভাইয়ার মাধ্যমে। সময় নেয়। কিন্তু ওদের বাসায় যাওয়ার উপযুক্ত অজুহাত মেলেনা। ওর ভাইয়াও নাকি ভিষন ব্যন্ত নিজের ক্যারীয়ার নিয়ে। বাসায় থাকেনা বেশির ভাগ সময়। কার অজুহাতে যাবে সে। অারও অপেক্ষা করে।
এমনি করে মাধ্যমিক পরীক্ষার রেজাল্ট বের হওয়ার দিন ঘনিয়ে আসে। রেজাল্ট এর দিন মেয়েটির ভাইয়ার কাছ থেকে ওর রোল নম্বর নিয়ে সারাদিন কম্পিউটারের সামনে বসে থাকে ইন্টারনেটে রেজাল্ট দেখবে বলে। এবং দুপুরের মাঝেই রেজাল্ট পেয়েও যায়। ওর নামের নিচে এ+ লেখাটা দেখে আনন্দে বুকটা ভরে যায় ছেলেটির। তৎক্ষনাত মেয়েটির ভাইয়াকে ফোনে জানিয়ে দেয় খবর টি, মেয়েটি তখন রেজাল্ট সংগ্রহের জন্য স্কুলে যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছিল।
******************************
(৩) পরের পর্ব - ভালবাসার চারাগাছ - না বলা কথাগুলো (২)
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ২:১৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



