রান্না করে খেতে কার কার ভালো লাগে আমার জানা নেই, আমার মোটেও ভালো লাগেনা।
পা এর উপর পা দুলিয়ে খেতেও বেশ একটা ভালো লাগে, তাও না।
খাওয়ার সঙ্গী থাকলে, যেমন কোনো সঙ্গী বা বান্ধুবী খাবে, খেয়ে মজা পাবে, বা তার খাওয়ার ধরন দেখলেই বোঝা যাবে খাওয়াটা বেশ মজা হয়েছে(মুখে বলার দরকার নেই) এমন একজনের সাথে খেতে হলে আমি নির্দিধায় রান্না করে আনন্দ পাই।
একা একা রান্না করো, খাও, ভালো লাগেনা।
আরো খারাপ লাগে রান্না করে খাওয়ানো টা যখন একজনের রুটিন কাজ হয়।
আমি বেশ বিরক্ত ছিলাম নিজের উপর এতোদিন।
একা থেকে নিজের জন্যে রান্না করে খাওয়া।
কিন্তু যেখানে একটা মেয়ের জন্যে বাধ্যতা মূলক রান্না করা, মানে চাকরিও করো, রাধোও।
মাঝে মাঝে বাজারও করো। হাজার কষ্ট বা ক্লান্তি থাক্লেও একদিন ও বর যদি হেল্প না করে, অথবা উত্তর টা এমন রান্না ঘরে যাওয়া আমার কাজ না, বা ছোটবেলা থেকে আমি রান্না ঘরে যাইনা.।
কেমন লাগবে সেই বাধা ধরা রান্না টা?
তার চেয়ে একাই ভালো
যাহোক, বলছিলাম রান্না ঝামেলার কথা, ইদানিং আমি নতুন এক বুদ্ধি করি, একসাথে অনেক পেঁয়াজ ,রসুন কেটে বক্স এ করে ফ্রীজ এ রেখে দি-ই।
২দিন সেটা দিয়ে রান্না করি।
আলু ভাজলে একটু আধা ভাজা রাখি, হাফটুকু রুটি বা ভাতের সাথে খেলেও পরের হাফ নুডুলস বা কোনো ভাজা ঝাল পিঠা বানাতে কাজে লাগাই বিকেলের নাস্তায়
চোরের চোরা বুদ্ধি।
বেল বা তরমুজ একা মানুষের বেশি-ই হয়ে যাই, হাফ খেয়ে হাফ জুস বানিয়ে বোতলে করে ফ্রীজে রাখি।
টক দই থাকলে প্রায় প্রতিদিন আমার লাচ্চি বানিয়ে খাওয়া টা অভ্যাস।
নয়তো ভাতের পরে খাই।
এখন ২দিন ধরে জ্বরে ভুগছি, কোনো কিছুই ভালো লাগছে, কিন্তু খুব ক্ষুধা লাগে ।
স্যুপ খেলে ভালো লাগবে চিন্তা করে খেয়ে আসলাম, তাও ভালো লাগছেনা, এই মাঝরাতে মরিচের ভর্তা, আলু ভর্তা, বেগুন ভর্তা দিয়ে গরম ভাত খেতে মন চাইছে ।
সহজ রান্না বান্নার কোনো টিপস কারো জানা আছে আর?