somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

শেখ এম উদ্‌দীন
আমার ব্লগ আমার বাসার ড্রয়িং রুমের মত, আমি এখানে যেকোনো কিছু দিয়ে সাজাতে পারি আপনার পছন্দ না হলে বলতে পারেন আমার কোন আসবাবটির অবস্থান বা ডিজাইন আপনার পছন্দ হয় নি এবং কেন হয় নি। তবে তা অবশ্যই ভদ্র ভাষাতে। ভাষার ব্যবহার করতে জানা অনেক বড় একটি গুন

শিক্ষা এবং শিক্ষক ও একটি জাতির গল্প (৩)

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রথমআলো দূরপ্রবাসে পাতাতে প্রকাশিত (Click This Link)

২০০০ সালে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র, স্কুলে বনভোজন হবে বহু বছর পরে। সিনিয়র শিক্ষার্থী হিসেবে খুব আগ্রহ নিয়ে ক্লাস থেকে অর্থ উত্তোলন করলাম। কিন্তু আমাদের হতাশ করে দিয়ে, শিক্ষক রাজনিতির যাঁতাকল আমাদের এই স্বপ্নকে পিষ্ট করে দিলেন কয়েকজন শিক্ষক। এমন অবস্থাতে আমরা ৩০ জনের মত ছাত্র মিলে নিজেদের মত করে একটি বনভোজনের আয়োজন করলাম। লক্ষ্য একটাই ছিল, আর তা হল যেহেতু এই বছরই স্কুল জীবনের সমাপ্তি হবে সেহেতু অন্তত স্কুল জিবনে একটা পিকনিকে গিয়েছি বলতে পারা। দুঃখজনকভাবে মুষ্টিমেয় কিছু শিক্ষক এ ঘটনাটিকে ওনাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন আখ্যা দিয়ে আমাদের মেরেই ক্ষান্ত হলেন না, অভিশাপ দিলেন আমরা এই তিরশ জন এস এস সি পরীক্ষাতে ফেল করব। ছোট্ট বয়সে এমন অভিশাপের ফলাফল আশঙ্কা করে খুব মন খারাপ হল। এমন সময় ক্লাসে আসলেন আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষক মোফাজ্জল স্যার। উনি দেখেই বুঝলেন আমরা সবাই বিষয়টি নিয়ে খুব আতঙ্কিত। স্যার বললেন “আরে পাগল তোদের কিছুই হবে না, আমরা বেশিরভাগ শিক্ষকই তোদের এই কাজের প্রশংসা করি আর তোদের জন্য দোয়া করি। কলেজে ভর্তি হলে আদর্শ গ্যাস এবং বাস্তব গ্যাস নামক একটি বিষয় পড়বি। এই আদর্শ এবং বাস্তব গ্যাসের মতই বাংলাদেশে দুই ধরণের শিক্ষক আছে। এক আদর্শ শিক্ষক, যে শিক্ষকের অভিশাপ মানে তোর জীবন আসলেই ধ্বংস। দুই, বাস্তব শিক্ষক, যারা আসলে আমাদের নষ্ট নিয়মনীতির এবং দুর্নীতির সুযোগ নিয়ে শিক্ষক হয়ে বসেন কিন্তু আচরণে এরা বড়জোর অন্যকোন চাকুরীজীবী হতে পারে কিন্তু এদের শিক্ষকতা পেশার অংশ না ভাবাই জ্ঞানীর কাজ। এদের অভিশাপ নিয়ে তোদের চিন্তার কোন কারন নেই”। এর পরে স্যার আদর্শ শিক্ষকের অভিশাপ কত ভয়াবহ তা বুঝানোর জন্য একটি বাস্তব উদাহরণ প্রদান করেন যা লেখার সংক্ষেপণের জন্য উল্লেখ করলাম না। তবে এইটুকুন বলে রাখি ২০০১ সালের এস এস সি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে আমাদের স্কুল জেলাতে ফার্স্ট হয় এবং এই ভালো ফলাফল করা প্রত্যেকেই ঐ ৩০ জনের দলের অন্তর্ভুক্ত ছিল! এই আলোচনা হতে এইটুকুন স্পষ্ট যে সমাজে দুই ধরণের শিক্ষক বিদ্যমান আর তা হল আদর্শ এবং বাস্তব, তবে এই আদর্শ শিক্ষক আদর্শ গ্যাসের মত অলীক বস্তু নয় বরং তাঁরা আমাদের মাঝেই বিদ্যমান! যাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই জাতি আজও মেরুদণ্ডকে হাজার প্রতিকূলতা সত্ত্বেও সোজা করে রেখেছে। কিন্তু সকল ক্ষেত্রে স্থিতিস্থিপকতা দিতে পারছে কিনা তা সমাজ বিজ্ঞানীদের গবেষণার বিষয়।

ফিরে আসি আমাদের সেই আমে, যাকে প্রাথিমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ একটি নির্দিষ্ট আঁকার দিয়ে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের হাতে তুলে দিয়েছেন। এখানে সেই আমটি অন্তত ৫.৫ বছর অতিবাহিত করবে এবং এই সময়ে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণের দায়িত্ব হল তার গঠনে, আকারে কিংবা উপাদানে কোন ঘাটতি থাকলে তা পূরণ করত অতি যত্ন সহকারে পুড়িয়ে কলেজে পাঠানোর জন্য তৈরি করা। কারন একবার পুড়ানো হয়ে গেলে কলেজের শিক্ষকগণের পক্ষে কাঁঠাল কে আম বানানো অসম্ভব। উপরন্তু কলেজের শিক্ষকগণ সময় পান মাত্র ২ বছর যা এমন বেসিক কাজ করার জন্য একেবারেই অপ্রতুল। একই সাথে সিস্টেমের করা বিভিন্ন অপরিণামদর্শী নিয়মও এই দুই স্তরের শিক্ষা এবং শিক্ষকতাকে সরাসরি বাঁধাগ্রস্ত করে। এ কথার স্বপক্ষে দুটি উদাহরণ দিব, একটি আমার শিক্ষার্থী থাকাকালীন আরেকটি আমি শিক্ষক থাকাকালীন সময়ের। শুধু একটি ফ্যাক্টর বলি, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তে ফলাফল না ভেবেই হঠাৎ করেই কোন নিয়ম চাপিয়ে দেয়া। যেমন গ্রেডিং পদ্ধতিতে ফল প্রকাশ এবং এর চেয়ে ভয়াবহ হল সৃজনশীল নামক গোঁদের উপর বিষফোঁড়া বসানো। প্রথমোক্তটির স্বীকার আমরা আর দ্বিতীয়টির স্বীকার আমার ছাত্র-ছাত্রিরা।
গ্রেডিং পদ্ধতি চালু হয় ২০০১ সালে, আমরা এস এস সি এর ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা দেবার পরে জানতে পারি যে আমাদের ফলাফল গ্রেডিং পদ্ধতিতে প্রকাশিত হবে। কি তার ভিত্তি বা কি হবে ফলাফল এটা আমাদের সম্মানিত শিখকগণও পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের দিনেও বুঝতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। সবথেকে ভয়াবহ হয়েছিল এইচ এস সি এর ক্ষেত্রে, শিক্ষকগণ সাধারণত ৬০ নাম্বার দিয়ে অভ্যস্ত, অথচ ৬০ মানে ‘বি’ বা ৩.০০ গ্রেড পয়েন্ট। সেই শিক্ষকগণ কিভাবে ৮০ নম্বর দিবেন? এই টানা পোড়ানে আমাদের বরিশাল বিভাগে ২০০৩ সালে কোন ‘এ+’ ই পেল না! আর ৪.৭৫ - ৩.০০ পেল মাত্র ৩৮৫ (প্রায়) জন শিক্ষার্থী! অথচ দুই তিন বছর পর থেকে দেশে ‘এ+’এর বাম্পার ফলন শুরু হল! আমরা পরে গেলেম এক মহা ফাপরে, এই ফলাফল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষাতে ৯৪-১০৫ (১২০-এ) পর্যন্ত পেলেও চাকুরির ক্ষেত্রে এই দুই বছরের জুনিয়রদের নিকট আমাদের এখনও বিপাকে পড়তে হয়, কারন চাকুরি দাতারা জানেনই না কিংবা জানতেই চান না যে ‘এ+’ পেয়েও যারা ঢাবি ভর্তি পরীক্ষাতে ফেল করে সেই সকল ব্যাচের সাথে ২০০১/২০০৩ ব্যাচকে গুলীয়ে ফেলা অন্যায়। অধিকন্তু, এই সমস্যা হবে ভেবেই আমরা ২০০১-২০০৩ এর এস এস সি পরীক্ষার্থী ব্যাচ আন্দোলন শুরু করলাম এবং সরকার থেকে প্রজ্ঞাপনও পেলাম যে ঐ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের জন্য ৩.০০ মানেই প্রথম শ্রেণী! কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস এই প্রজ্ঞাপন কাগুজে অর্ডার হিসেবেই আজও ফাইল বন্দি, চাকুরি দাতারা তাঁদের মর্জি মাফিক প্রথম শ্রেণী নিরূপণ করত আমাদের ব্যাচকে একের পর এক পরিহাসের পাত্র করে রেখেছে! এই অব্যাবস্থাপনার বলি হওয়ার জন্য দায়ী কে? নিশ্চয়ই শিক্ষকগণ নয়?

অপরদিকে, আমি শিক্ষক থাকা কালীন হঠাৎ ঘোষণা এলো, সৃজনশীল পদ্ধতিতে প্রশ্ন এবং পড়াশুনা হবে! তড়িঘড়ি করে শিক্ষকগণকে ট্রেনিং করানো শুরু হল। এমন ট্রেনিং এ একবার দ্বিতীয় হবার সুযোগ হয়েছিল। কিন্তু এই ট্রেনিং থেকে সনদ প্রাপ্তির আনন্দের তুলনাতে ট্রেনিং এ অংশ নেয়া ঢাকার বিভিন্ন নামকরা বিদ্যালয় এবং উচ্চ বিদ্যালয় থেকে আসা আমার কলিগদের অবস্থা দেখে আমি আতঙ্কিত হয়েছি বহুগুণে। খোদ ঢাকা শহরের নামকরা বিদ্যালয়ের এই শিক্ষকগণই সৃজনশীল কি তা বুঝতে হিসশিম খাচ্ছিলেন, একই সাথে সৃজনশীল প্রশ্ন প্রণয়নে উদ্দিপকের সাথে প্রশ্নের আর প্রশ্নের সাথে উদীপকের মিল আনতে অনেকেরই ত্রাহি অবস্থা হয়ে যাচ্ছিল! এই অবস্থা দেখে আমার মনে প্রশ্ন জাগল তাহলে, বুরহানউদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, খাসের হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আমির মিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, গোয়াইনঘাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, জলডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কিংবা হাওর এলাকার দুর্গম বিদ্যালয় গুলোর শিক্ষকগণের কি অবস্থা! কিভাবে এই সকল স্কুলের শিক্ষার্থীরা এ নতুন অলীক বস্তুর সাথে পরিচিত হবে? এরা তো সবাই ফলাফল খারাপ করবে। অথচ চাকুরি ক্ষেত্রে এদের মোকাবেলা করতে হবে এই সেন্ট জোসেফ, হলিক্রস কিংবা ভিকারুন্নিসার শিক্ষার্থীদের! কত বড় অন্যায় আচরণ হয় আমাদের এই গ্রামের শিক্ষার্থীদের সাথে। যদিও কোন এক দৈব বলে বর্তমানের শিক্ষার্থীরা ‘এ+’ অনেকেই পেয়ে যায় কিন্তু এরপরেও কি এই শিক্ষার্থীরা খুব বেশী কিছু শিখতে পেরেছে এই সৃজনশীলতা নামক পদ্ধতির বদৌলতে? আমি ব্যাক্তিগতভাবে দেখি নি, এমন কি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নের মান নিম্নমুখী হলেও এরা সেই পরীক্ষাতে ৪৮ অর্থাৎ পাশ নম্বর তুলতে হিমশিম খাচ্ছে! এখানে একটি প্রশ্ন থেকেই যায়, তাহলে এই সৃজনশীলতার নামে ব্যয় করা অর্থ থেকে কি শিক্ষকগণের বেতন বৃদ্ধি করত মেধাবীদের শিক্ষকতা পেশাতে সংযুক্ত করতে উৎসাহ দেয়ার মাধ্যমে সত্যিকারের সৃজনশীলতার চাষ করা যেত না?
এ তো গেল, আমাদের নীতিনির্ধারকগণের অপরিণামদর্শী বোঝা চাপানোর বিষয়। এমন এক পরিস্থিতিতে যে ব্যাক্তি শিক্ষক হতে আগ্রহী নন তাঁকে শিক্ষক হতে বাধ্য করা, কিংবা অর্থ বা রাজনৈতিক আনুকূল্যের বিনিময়ে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়াদের অবস্থা কি? তাঁরা কি এই পরিবর্তিত পাঠ্যবই কিংবা পদ্ধতিতে পাঠদানের যোগ্যতা রাখেন? যদি না রাখেন তাহলে আমরা আমাদের ঐ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের যে সর্বনাশ করছি তা পূরণ করার মত ক্ষমতা কি আমাদের কলেজ গুলোতে আছে? আমি যদি কোন এক কলেজের কথাই বলি, সেখানে 1-মিথাইল পেন্টেন কে হেক্সেনের সমানু শেখানো হয়েছে, যা আসলে n-হেক্সেনই! অপরদিকে পদার্থ বিজ্ঞানের S = ut+ 1/2 〖at〗^2 (১) এবং v^2=u^2+2aS (২) এর প্রতিপাদন ঝাড়া মুখস্ত করানো হয়েছে! অথচ এই দুই প্রমানেই আমরা S=((v+u))/2×t সমীকরণে v=u+at থেকে ১ এবং ২ সমীকরণে যেই রাশিটি অনুপস্থিত [১ এর ক্ষেত্রে v এর মান এবং ২ এর ক্ষেত্রে a এর মান] সেই রাশির মান বসিয়ে দেই তাহলেই কিন্তু প্রমান হয়ে যাবে! এখানে মুখস্ত করনের আর মুখস্ত বিদ্যা ভুল করে পুরো পদার্থ বিজ্ঞান পরীক্ষাকে বিভীষিকাতে রুপান্তরের কোন মানে নেই! অন্য বিষয়ে গুলোর এর চেয়ে ভালো কোন অবস্থা কিনা তা পাঠকই বিবেচনা করবেন। এই হল আমাদের থানা সদরের কলেজ গুলোর একটি আপেক্ষিক অবস্থা!

এমন অবস্থার কারন কি? আমার পরচিতদের সাথে কথা বলে অন্যতম একটি মূল কারন যা জানতে পেরেছি তা হল, শিক্ষকগণকে তাঁদের প্রাপ্য সম্মান না দেয়া। সমাজে তাঁদের সম্মান দিন দিন কমে যাচ্ছে, ফলে মেধাবীরা এই পেশাতে আগ্রহী না হয়ে হয়ত পুলিশের এ এস আই কিংবা বিসিএসে বসে যাচ্ছে অথবা কোন ব্যাংকে চাকুরি করে নিজের আর্থিক সচ্ছলতা এবং সম্মান নিশ্চিত করেছে। একথা অনস্বীকার্য যে একজন মেধাবী কখনো নিজেকে ঐ এলাকার অর্ধ শিক্ষিত চেয়ারম্যান কিংবা জনপ্রতিনিধির নিকট হেয় করতে চাইবেন না। অথচ এখন আমাদের বিদ্যালয় এবং উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটিতে অশিক্ষিত এবং অর্ধশিক্ষিতদের দাপট চোখে পরার মত! অপরদিকে, সামাজিক অবস্থানে শিক্ষকগণ দিন দিন পিছিয়ে পরছেন, নেই কোন ক্ষমতা এবং বি সি এস ক্যাডার শিক্ষক ব্যাতিত অন্যদের মহার্ঘ্য ভাতা কিংবা বাড়ি ভাড়ার কথা বলে জাতিকে লজ্জা দিতে চাচ্ছি না। এই দুই ফ্যাক্টর মাধ্যমিক স্কুল এবং এম পি ও ভুক্ত কলেজগুলোতে শিক্ষকের মান দিন দিন এক্সপনেনশিয়াল্লি কমিয়ে তুলছে। অযোগ্য, প্রভুভক্ত এবং চাটুকারদের দখলে চলে যাচ্ছে এই গুরুত্বপূর্ণ দুই শিক্ষকতা পেশা। মেরুদণ্ডের ডিস্ককে সঠিক ভাবে চেঁছে পোড়ানো তো দূরে থাক শহরের স্কুল কলেজের শিক্ষার মানের সাথে তাল মেলাতেই হিমশিম খাচ্ছেন এনারা। ফলাফল স্কুলের অঞ্চল ভেদে একেক মানের এবং একেক মাপের ডিস্ক তৈরি হচ্ছে হরহামেশাই। কিছুদিন হয়ত আমরা কাকতালীয় ভাবে কিংবা অল্পস্বল্প যে কজন আদর্শ শিক্ষক আছেন তাঁদের বদৌলতে যে সকল ভালো ডিস্ক তৈরি হচ্ছে তাঁদের দিয়ে জোড়াতালি দিয়ে চালিয়ে নিব কিন্তু বিশ্বায়নের এই যুগে এমন সঠিক আকৃতির ডিস্ক সাদৃশ্য মেধাবীরা যখন বিশ্বের অন্য দেশে নিজেদের মেধার স্বাক্ষর রাখতে দলে দলে চলে যাবে তখন (যা এই মুহূর্তে শুরু হয়ে গেছে) এই শূন্যতা পূরণের কোন উপায় কি আমাদের আছে? আমরা কি মনে করছি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে নিপুণ কুঠার নিয়ে সম্মানিত শিক্ষকগণ বসে আছেন যে তাঁরা এই ১২ বছরের জঞ্জাল ৫/৬ বছরে নিমিষেই দূর করে দিবেন? আপনার কি মনে করেন? জানাতে ইমেইল করতে পারেন নিচের ইমেইল ঠিকানাতে। আমার কথা বলব পরবর্তী পর্বে-

সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:০৬
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=বেনারসী রঙে সাজিয়ে দিলাম চায়ের আসর=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫২



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনে কি পড়ে সেই স্মৃতিময় সময়, সেই লাজুক লাজুক দিন,
যেদিন তুমি আমি ভেবেছিলাম এ আমাদের সুদিন,
আহা খয়েরী চা রঙা টিপ কপালে, বউ সাজানো ক্ষণ,
এমন রঙবাহারী আসর,সাজিয়েছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজ্ঞানময় গ্রন্থ!

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪২

একটু আগে জনৈক ব্লগারের একটি পোস্টে কমেন্ট করেছিলাম, কমেন্ট করার পর দেখি বেশ বড় একটি কমেন্ট হয়ে গেছে, তাই ভাবলাম জনস্বার্থে কমেন্ট'টি পোস্ট আকারে শেয়ার করি :-P । তাছাড়া বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

অস্ট্রেলিয়ার গল্প ২০২৪-৪

লিখেছেন শায়মা, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৫


চলে যাবার দিন ঘনিয়ে আসছিলো। ফুরিয়ে আসছিলো ছুটি। ছোট থেকেই দুদিনের জন্য কোথাও গেলেও ফিরে আসার সময় মানে বিদায় বেলা আমার কাছে বড়ই বেদনাদায়ক। সেদিন চ্যাটসউডের স্ট্রিট ফুড... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসের নায়িকাকে একদিন দেখতে গেলাম

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৫

যে মেয়েকে নিয়ে ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসটি লিখেছিলাম, তার নাম ভুলে গেছি। এ গল্প শেষ করার আগে তার নাম মনে পড়বে কিনা জানি না। গল্পের খাতিরে ওর নাম ‘অ’ ধরে নিচ্ছি।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

×