পৃথিবী ঘুম পাড়াতে চায় । প্রতিনিয়ত জেগে উঠি । করোনা দুঃস্বপ্ন শেষে চোখ মেলে দেখি এক একটা ভোর । এভাবেই পার হয়ে যায় সকাল, দুপুর, বিকেল, সন্ধ্যা, রাত...
এর মধ্যেই হঠাৎ চিৎকার । চেঁচামেচি । সুপার সাইক্লোন শেষে দূর্বল আম্ফান । কারো গায়ের উপর গাছ চাপা পড়েছে । কাঁচা ঘরের দেয়াল ভেংগে পড়েছে কারো শরীরের উপর । মৃত্যুর পর আরো মৃত্যু । বোনাস মৃত্যু ।
তেরটা বাঁধ ভেংগে গ্রামগুলো জলে টলমল । হারিকেনের শেষ আলোটুকুও নিভে গেছে ফসলের মাঠে । ঘর নেই, খাবার পাব কোথায় ? ক্ষুধা । আহারে ক্ষুধা !
একটা উচু জায়গা পেলে ভাল হত । সেখানে হেলিকপ্টার থেকে যদি খাবার ফেলে দিতো ! চিড়া, মুড়ি, গুড়, খাওয়ার স্যালাইন...। তারপর অবশ্য হুড়োহুড়ি পড়ে যেত । ক্ষুধার সাথে চলতো ক্ষুধার্তের লড়াই ।
একবুক জল ভেংগে এসেছে সাংবাদিক, ক্যামেরাম্যান, রিপোর্টার । বুকের হাড় গুনতে পারা যায় - এমন কোন ছবি বেচারা এখনো উঠাতে পারেনি । দুঃখ । আরো একমাস অপেক্ষা করতে হবে । ততদিনে নিশ্চয় শুরু হয়ে যাবে আমাশয়, পাতলা পায়খানা, কলেরা, ডাইরিয়া ।
ফেসবুকে একজন লিখেছে, ঢাকায় যে ঈদ করব, খাব কি ? খ্যাতা মারি তোর সামাজিক দূরত্বের । পদ্মা, মেঘনা, যমুনা সাঁতার দিয়ে পাড়ি দিতে হলেও বাড়ি গিয়ে ঈদ করব । কেউ ঠেকাতে পারবে না ।
করোনার কোন ওষুধ নেই । কারো হাতে কোন দৈব বাণী নেই । অনেক চাকুরীজীবীর হাতে বেতন-বোনাস নেই । ব্যবসায়ীর হাতে ব্যবসা নেই । দীর্ঘদিন মসজিদ বন্ধ থাকায় হুজুরের ভাল ঈদ কালেকশন নেই । তবু ঈদ আসবে । করোনা আক্রান্ত ঈদ ।
আমরা সে ঈদের অপেক্ষায় আপাতত বসে আছি.....।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মে, ২০২০ রাত ৯:২০