সংগৃহীত পোস্টঃ
“বুদ্ধিজীবীরা শুয়োরের বাচ্চার চেয়েও খারাপ” – অভিনেতা এ,টি,এম, শামসুজ্জামান । মুক্তিযুদ্ধ চেতনা বিকাশ কেন্দ্র হতে ১৯৮৭ সালে একটি বই বের হয়েছিলো; ‘একাত্তরের ঘাতক ও দালালরা কে কোথায়’। বইটির তিন সম্পাদকের একজন ছিলেন শাহরিয়ার কবির।
... সেই বইয়ের চতুর্থ সংষ্করনের পঞ্চম মুদ্রণে (ফেব্রুয়ারী, ১৯৯২) মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পাকিস্তান সরকারের অনুগত থেকে টিভি/রেডিওতে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী অনুষ্ঠানের সাথে জড়িত থাকা দালালদের তালিকা তৈরী ও শাস্তির সুপারিশ করার জন্য ১৯৭২ সালে গঠিত নীলিমা ইব্রাহিম কমিশনের রিপোর্টটি হুবহু তুলে দেয়া আছে।
... সেই রিপোর্টে যাদেরকে দালাল হিসেবে চিহ্নিত করে শাস্তির জন্য সুপারিশ করা হয়েছিলো, সেই তালিকায় এ,টি,এম, শামসুজ্জামান এর নাম আছে দশম স্থানে। তার মানে শাহরিয়ার কবিরের সম্পাদিত বই অনুযায়ী তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় ছিলেন ‘দালাল’। এখন শাহরিয়ার কবির এবং এ,টি,এম, শামসুজ্জামান উভয়েই ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’ ফেরিওয়ালা !
... মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে চেতনাজীবীদের এখানেই পার্থক্য। মুক্তিযোদ্ধারা একটা নির্দিষ্ট সময়ের প্রয়োজনে একটি নির্দিষ্ট শত্রুর বিরুদ্ধে একটি নির্দিষ্ট সময়ব্যাপ্তীতে সরাসরি যুদ্ধ করেছেন। তাদের পক্ষে চেতনার ফেরিওয়ালা হয়ে কখনো পাকিস্তানী ইয়াহিয়া বা কখনো বাংলাদেশী ইয়াহিয়ার দালালী করা সম্ভব নয়। কিন্তু চেতনাজীবীদের পক্ষে এগুলো সম্ভব।
... যে কারণে- একজন মুক্তিযোদ্ধা সব সময়ই মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি। কিন্তু একজন চেতনাজীবীর মুক্তিযোদ্ধা না হবার সম্ভাবনা তো আছেই, এমনকি ক্ষেত্র বিশেষে এ,টি,এম, শামসুজ্জামান এর মত মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তিও হতে পারে। তারা দালালীর প্রয়োজনে শাহরিয়ার কবির ও এ,টি,এম, শামসুজ্জামান এর মত সহবাসও করতে পারে।
তথ্যঃ বিডিইনডেস্ক২৪ডটকম
উপলব্ধিঃ
আওয়ামীলীগ করলে সাত খুন মাফ। চেতনার ফিল্টার আবিস্কারককে ধন্যবাদ। যার এক দিক দিয়ে রাজাকার অথবা সন্ত্রাসী ঢুকালে অন্যদিক দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা অথবা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি হয়ে বের হয়ে যায়।