আমি তখন অনেক ছোট। ক্লাস থ্রি কি ফোরে পড়তাম। তখন বন্ধুদের সাথে একটা মিছিলে গিয়েছিলাম কারণ ছিল স্থানীয় নির্বাচনে আমাদের চেয়্যারম্যান পাস করাছিল। প্রায় এক দশক পর আজকে একটি মিছিল করলাম। মিছিল করলাম দেশ মাতার বক্ষ বিদীর্ণ করে তার প্রাণ (তেল, গ্যাস ও অন্যান্য খনিজ সম্পদ) দেশীয় দালালদের মাধ্যমে বিদেশীদের হাতে তুলে দেওয়ার প্রতিবাদে।
আজ বুয়েট ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্যোগে বুয়েট শহীদ মিনারে আগামী কালের হরতাল এর সমার্থনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয় ও পরে একটি মিছিল বুয়েট প্রদক্ষিণ করে। এখানে আনু মুহাম্মদ স্যার খুব অল্প সময়ের জন্য উপস্থিত হয়েছিলেন এবং তিনি সকলের উদ্দ্যেশে খুবই সংক্ষিপ্ত কিন্তু তাৎপর্য পূর্ণ কিছু কথা বলেন। সংক্ষেপে কিছু কথা আমি উল্ল্যেখ করছি (স্যার বললেন কনকো-ফিলিপস গ্যাস উত্তোলনের জন্য পাঁচ বছরে প্রায় মোটামুটি সাতশ কোটি টাকা খরচ করবে অর্থাৎ বছরে দেড়শ কোটি টাকা। যা আমাদের বর্তমান বাজেটের মাত্র ০.০৯২%। আমরা কি এই অর্থ দিয়ে নিজেরাই চেষ্টা করতে পারি না। আমরা তো শত শত কোটি টাকা অপচয় করি বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ে। এই অপচয় কিছুটা কমালেই হয় আলাদা অর্থ বরাদ্দ দেওয়া লাগবে না)।
আমাদের দেশের অনেকেই বাইরে এসব নিয়ে কাজ করছে আমরা কি কখনো তাদের দেশে এনে দেশের স্বার্থে ব্যাবহারের কথা চিন্তা করেছি। আমার দেশের রক্ষকরা সেই চিন্তা করে না কারণ তাহলে যে তাদের পকেটে পইসা যাবে না। আগামীকালের হরতালের দাবী শুধু এই নয় যে চুক্তি বাতিল করা। আমাদের পক্ষ থেকে দাবি দেশেই তেল গ্যাস অনুসন্ধান আহরণের জন্য একটি সংস্থা গঠন করা হোক বা বা পেট্রোবাংলা কে কার্যকরী করা হোক।
আমি শুধু এটাই বলতে চাই পারবোনা এই কথাটি না বলে চেষ্টা করে দেখি। আমরা পারবোই ইনশাআল্লাহ। তাই আসুন আমরা আমদের এই মা তথা এই দেশের স্বার্থে আর একবার সব ভেদাভেদ ভুলে এক হই। আমরা দেশের নতুন প্রজন্মের দালাল তথা নব্য রাজাকাদের এইটা জানিয়ে দেই আমরা সেই বাংলাদেশী যারা অন্যায়ের কাছে কখনো মাথা নত করি নি। আমার বিশ্বাস আমরা এই নতুন প্রজন্ম জাগলে জাগবে এই জাতি। অর্জিত হবে প্রকৃত স্বাধীনতা যার স্বপ্ন দেখেছিল ত্রিশ লক্ষ শহীদ সহ দেশপ্রেমী সকল বাংলাদেশী।
আরো একবার আমরা এক হই এই দেশের তরে। আমরা প্রতিজ্ঞা করি যে আমরা আমাদের মায়ের বদন আর কখনো মলিন হতে দেব না। আজ মায়ের মলিন বদন দেখে নয়নের জল ফেলার সময় নয়। এই বদন যারা মলিন করেছে তাদের শিক্ষা দেবার সময়। যাতে ভবিষ্যতে কেউ আর এই বদন মলিন করতে সাহস না পাই।
তাই কালকে আপনারা আসুন। মায়ের আর্তনাদ শুনেও বসে থাকবেন না। দেশ-মা-মাটি আমরা কখনো কারো হাতে তুলে দেই নি দেবো না। কালকে দেখা হবে এই দেশ মাতার প্রকৃত সন্তানদের সাথে………।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



