কবিতা বিষয়টিকে নিয়েই প্রথমে একটু আলোকপাত করতে চাই । কেননা আমরা যারা আজ কবিত লিখছি তার বেশীর ভাগ কবিতারই কোন সত্যের ভিওি নেই । শুধুই আবোল তাবল বলা ছাড়া আর কিছুই নয় । আবার অনেক মুসলমান কবি আছেন যারা এমন কিছু লিখে বসেন যাতে তাদের ঈমান পায়রার মতো আকাশে উড়ে চলে যায় । অন্যান্য ধর্মের লোকদের ব্যাপারে তাদের ধর্মের নিয়মের ক্ষেত্রে কি বলে তা আমার জানা নেই কিন্তু মুসলমান ভাইদের একটু সাবধান হতে বলবো যারা আল্লাহকে বিশ্বাস করেন এবং তাকেই পালনকর্তা এবং ত্রানকর্তা এবং রক্ষাকারী মনে করেন তাদের জন্য কয়েকটা উদাহরন আমি দেখাচ্ছি----
ওগো আমার প্রিয়তমা তুমিই আমার মনের শক্তি
তোমায় না দেখলে আমার প্রানে থাকেনা স্বস্তি
তুমিই আমার নতুন জীবনের এানকর্তী
আমি তোমার কাছে ঋনী ঋনী ঋনী ।
ভাবুন কবি একটি মেয়েকেই এানকর্তা রক্ষাকারী বানিয়ে ফেলেছে । এভাবে অনেক মুসলমান কবি নিজেকে শিরকে লিপ্ত করে ফেলেছে যা সে টেরই পাচ্ছেনা । আমি মুসলমান ভাইদের বিনীত আরজ করবো এই যে এরকম কবিতা কখনই লিখবেন না । আর যদি কবিতা লিখতেই হয় তাহলে সত্যিকার ভাবার্থে লিখুন । আমি কয়েকজনের কবিতা নিচে উদাহরন হিসাবে দিচ্ছি, ভাল মন্দ আপনারাই যাচাই করবেন ।
মুমিন বলি তাকে
-মুহাম্মাদ আতিয়ার রহমান
মাদরা, কলারোয়া, সাতক্ষীরা।
শীতের কাঁথা উল্টে ফেলে
মুওয়ায্যিনের ডাকে
ভোর বিহানে মসজিদে যায়
মুমিন বলি তাকে।
ললাট যাহার সিজদা রত
ধরার ধূলার পরে,
সেই তো সঠিক বান্দা আল্লাহর
মুমিন বলি তারে।
সরল জীবন সত্য পথে
যে জন চলে সদা,
সেই তো মুমিন তাকেই ভাল
বাসতে পারেন আল্লাহ।
আল্লাহর ডাকে তৈয়ার থাকে
যে জন সর্বদায়
নিজের জীবন বিলিয়ে দিতে
মুমিন বলি তায়।
মুমিন তো সেই বান্দা আল্লাহর
জীবন মরণ যিনি,
আল্লাহ্কে সে ভালবেসে
সব কিছু দেয় দানি
অহি-র দাওয়াত
-মুহাম্মাদ আবু সাঈদ
মধ্য নওদাপাড়া, রাজশাহী।
ওগো, তোরা দেখবি যদি আয়
হেরার জ্যোতির আলোর রেখা
এই নওদাপাড়ায়
হেথা কুরআন-হাদীছ পুঁজি করে
দ্বীনের পথে যাচ্ছে লড়ে
শিরক-বিদ‘আতের মূলোৎপাটনে
চেষ্টা সর্বদায়
ওগো, ইসলামী সমাজ স্বপ্ন যাদের
দাওয়াত এরা দিচ্ছে তাদের
তাক্বলীদের পথ ছেড়ে দিয়ে
এসো এ আঙ্গিনায়
তুমি কুরআন-হাদীছ মন্থন করে
দ্বীনের দামান ধর অাঁকড়ে
শিরক-বিদ‘আতী হ’লে রে ভাই
জাহান্নামে হবে ঠাঁই
আজ অহি-র দাওয়াত করলে কবুল
জীবন তোমার হবে মকবুল
তুমি শিরক-বিদ‘আত রাখলে দূরে
আখের হবে রোশনাই
আজ শত ফিরক্বা হায় ইসলামে
তুমি খুঁজছ আসল কোন্ মোকামে?
মিষ্টি কথার সস্তা ছওয়াব
ছেড়ে আয় রে অহি-র ছায়ায়

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




