চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতি প্রযুক্তি দিনদিন কোথায় যে চলে যাচ্ছে। দেখি আর অবাক হই। ভয়াবহ সব রোগ নিয়ন্ত্রন থেকে কঠিন জটিল অপারেশন মানুষ যেন হাসতে হাসতে করে ফেলছেন।
চীনের করোনা ভাইরাস আক্রান্ত মানুষদের যারা সেবা করছেন, দিন রাত্রি এক করে নিজেদের নিয়ন্ত্রিত মাস্ক এবং পোষাক পরে। তাদের ধৈর্য্য এবং সাধানাও অনেক বেশি তাদের মেধার মতনই। গায়ের উপর চাপিয়ে রাখা জোব্বা, নাক, মুখ চোখ বন্ধ মাস্ক পরে কাটিয়ে দিচ্ছেন দিনের পর দিন। এবং সুনিপুন ভাবে করে যাচ্ছেন কাজ।
শুধু চিকিৎসক নন, নার্স এবং সংলিষ্ট সবাইকে তাদের এই সেবা প্রদানের মনোভাবের জন্য জন্য অন্তর থেকে একটা ধন্যবাদ। শুধু চীনের করোনা ভাইরাস নয়। এর আগেও ইবোলা, জিকা, এবং সার্স, মার্স এভাবেই কিছু নিবেদিত প্রাণ মানুষ নিজের জীবনের ভয়াবহ রকমের ঝুঁকি নিয়েও কাজ করে গেছেন, যাচ্ছেন রোগীদের মধ্যে। অনেক ডাক্তার আক্রান্ত হয়েছেন। মারাও গিয়েছেন সংক্রমণ রোগে আক্রান্ত হয়ে। তবু ডাক্তারি পেশায় নিয়োজিত মানুষ মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন ভালোবেসে।
ভয়াবহ মহামারীতে অনেক মানুষ ভলান্টিয়ারি স্ব ইচ্ছায় সেবা দান করেন মানুষকে এই সব মানুষকে শ্রদ্ধা।
মহামারী ব্যাপক ভাবে আক্রান্ত সময় ছাড়াও প্রতিদিন ডাক্তার এবং সেবা দানকারীরা মানুষের চিকিৎসা করে ভালো করে তুলছেন। রির্সাচকারীরা নতুন কিছু আবিস্কারের চেষ্টায় নিয়োজিত। প্রতিদিন চেষ্টা করছেন তারা সমস্যার সাফল্য মণ্ডল
সমাধান করার। মানুষ রোগে যে কষ্টভোগ করেন তা যেন সহজে সমাধান করা যায়। তার চেষ্টায় নতুন কিছু আবিস্কারের চেষ্টা করছেন সবটুকু মেধা নিয়োগ করে।
গতবছর খুব কাছে থেকে দেখছিলাম একজন কাছের মানুষের হঠাৎ ধরা পরা জটিল রকমের ছড়িয়ে পরা লেবেল ফোর ক্যানসার নানা রকম চিকিৎসার মধ্যে সারিয়ে তোলা ধাপে ধাপে। একদম আশা ছেড়ে দেওয়া একজন মানুষকে আত্মিয় স্বজন যখন মন শক্ত রাখার বাইরে কোন ভরষা দেওয়ার ভাষা খুঁজে পাচ্ছিলেন তখন ডাক্তার একটু একটু করে ধাপে ধাপে একএকটা শরীরের অংশ কেটে ফেলে জোড়া দিয়ে নানারকম চিকিৎসা দিয়ে ফরেন পার্ট শরীরে স্থাপন করে আবার তা সারিয়ে দিয়ে একটা শরীরকে কিভাবে সুস্থ স্বাভাবিক হয়ে উঠার জন্য সাহায্য করছেন।
যে ভাবে ডাক্তাররা মানুষের শরীরের বিভিন্ন অংশে ছুড়ি চালিয়ে কেটে চিরে, জোড়া দিয়ে আবার স্বাভাবিক হওয়ার ব্যবস্থা করে দেন। তাদের এই সব কাজ সূক্ষাতি সূক্ষ শিল্পর চেয়েও বড় কঠিন শিল্প মনে হয়। ভাবনার জগতে ধারন করতে পারি না তাদের কঠিন ধৈর্য্যশীল কাজের বিস্তৃতি। শৈল চিকিৎসার এক অতি বিষ্মকর ঘটনা ঘটেছে গত পরশু।
ডাক্তার মাথার খুলি কেটে নিয়ে মগজ বের করে রেখে, মাথার ভিতর থেকে কেটে বের করেছেন টিউমার। জটিল আকারের টিউমারটি পুরো কাটা সম্ভব নয় বলে আগেই জানিয়েছেন রোগীকে। পাঁচ ভাগ থেকে যাবে। পঁচানব্বই ভাগ পরিস্কার করতে পারবেন।
এই পর্যন্ত বিষয়টা তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয় একজন সার্জনরে জন্য। কিন্তু ডাক্তার বেহালাবাদক রোগীর হাতে বেহালা ধরিয়ে বাজাতে বলেছেন। মাথা কেটে মগজ বের করে রাখা হয়েছে বাইরে। লোকাল এনেসথেসিয়া দিয়ে অপারেশন চলছে আর রোগী মায়াবী মূর্চ্ছনার সুর বাজিয়ে চলেছেন সারা সময় আপন খেয়ালে। কিংকলেজ হাসপাতাল লন্ডনে এই বিষ্ময়কর ঘটনাটি ঘটেছে।
কী অদ্ভুত শক্তিমান হাত ডাক্তারের । ভেবে আশ্চর্য হচ্ছি।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:৫২