পৃথিবীর সব দেশ যখন লক ডাউন হয়ে যাচ্ছে একটার পর একটা তখন কোন দেশে স্বাভাবিক চলা ফেরা স্কুল, অফিস আদালত, বাজার হাট করছে, চলা ফেরা করছে খুব স্বাভাবিক ভাবে। শুনলে কেমন লাগে। খাইছে এইবার এরা ধরা খাইব এমনই চিন্তা আসে তাই না। কিন্তু না এরা চলছে স্বাভাবিক ভাবে সতর্কতার মাধ্যমে। বাংলাদেশের মতন অসেচতন ভাবে নয়। বা উন্নত বিশ্বের সচেতন প্রোটোকল প্রটেকশনের মাঝেও কিছু অসাবধান অসচতনের দল বেঁধে বাইরে গিয়ে নিয়ম ভাঙ্গার মতন নয়।
দেশ জুড়ে প্রতিটি মানুষ সতর্কতায় চলা ফেরা করছে। স্বাভাবিক জীবন যাপন করছে। দেশটি তাইওয়ান।
কি অবাক কাণ্ড তাই না। চীনের এত কাছের একটা দেশ কি ভাবে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারে। পারে কারণ তাদের সরকার জানে কি ভাবে সতর্ক থাকতে হয়। প্রথম চীনে সার্সের মতন রোগ হয়েছে খবর পাওয়ার সাথে সাথে সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। যাতে কেউ রোগ নিয়ে দেশে আসতে না পারে।
মাস্ক, হ্যাণ্ড সেনেটাইজার, গ্লাবস এবং এই সংক্রান্ত যা কিছু প্রয়োজন হতে পারে সব উৎপাদনের জন্য আলাদা ভাবে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। লোক সংখ্যার বেশি সরবরাহ মজুদ আছে। একদম নার্সারির বাচ্চাগুলোও, মুখে মাস্ক পরে ক্লাস করছে।
যে যার কাজ করছে সতর্ক অবস্থায় থেকে।
প্রতিটি অফিস, দোকান ব্যাংক যে সব জায়গায় লোক সমাগম হচ্ছে দরজায় দাঁড়িয়ে আছে একজন মেশিন হাতে টেস্ট করেই ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে । সাথে হ্যাণ্ড সেনেটাইজার সাজানো আছে পাবলিক প্লেসে। পরিচ্ছন্নতা চলছে।
কোন ভীড়, হুড়াহুড়ি মারামারি নেই। বেশি জিনিস কিনে নেয়ার কোন অনুমোদন নাই কেউ কিনছেও না। সব চলছে স্বাভাবিক।
তারপরও বাইরের কিছু মানুষ থেকে ছড়ানো সংখ্যা হয়েছে এখন ১৬৯ জন। যাদের আলাদা করে রাখা হচ্ছে।
জনগণ যখন সতর্ক থাকে এবং সরকার যখন সঠিক সিদ্ধান্ত দ্রুত নিতে পারে বাচ্চারাও যখন জানে মাস্ক এবং পরিচ্ছন্ন থাকার প্রয়োজনীয়তা, উপকারিতা। তখন সব কিছুই সুন্দর হয় ।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মার্চ, ২০২০ রাত ২:৩৫