somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রোকসানা লেইস
স্রোতের অজানা টানে সমুদ্র বালিয়াড়ি বেয়ে বোহেমিয়ান- গৃহকোন, জীবন যাপন ফেলে চলে যায়। তুমি দুহাত বাড়িয়ে আলিঙ্গনে বাঁধতে চাও জোছনা গলে হারিয়ে যায় সুখ । আছড়ে পরা ঘূর্ণিজল মনে বাজায় অচেনা সবুজ দিগন্ত ..

ভ্যাকসিন

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ভ্যাকসিন, ভ্যাকসিন, ভ্যাকসিন কত হাজার কোটিবার উচ্চারিত হয়েছে এই ভ্যাকসিন শব্দটি এই কয়েক মাসের মধ্যে। ভ্যাকসিনের জন্য হাহাকার পৃথিবী জুড়ে। কারা বানাচ্ছে কারা সফল হচ্ছে কত যে আগ্রহ সেই ভ্যাকসিনের জন্য । হঠাৎ করে আসা মহামারী বদলে দিয়েছে পৃথিবীর নিয়ম জীবন যাপন। ঘর বন্দী মানুষের আকাংখা, আগ্রহ ভরে তাকিয়ে ছিল মহামারী কোভিড ১৯ এর ভ্যাকসিন আবিস্কারের দিক। গবেষনাগারে কত ধৈর্য্য নিয়ে একটার পর একটা পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়ে যায় গবেষকের দল, সাধারন মানুষ কারো সেদিকে নজরও থাকে না। কিন্তু এই প্রথম সব ক্ষেত্রের মানুষ অগ্রহী হয়ে উঠেছিল করোনা রোগের ভ্যাকসিন পাওয়ার জন্য।
এতটা নতুন ধরনের জীবন যাপন। এতটা প্রভাব কোন রোগের কারণে এমন নতুন ধরনের জীবন যাপন এই শতাব্দির মানুষ আগে কখনো দেখেনি।
বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার দেয়া হয়েছে দ্রুত গবেষণার জন্য।
নতুন নতুন নানা কোম্পানির নানান খবর ভ্যাকসিন আবিস্কারের। একটু টু শব্দ করার সাথে সাথে, তা ঘিরে নেচে উঠেছে মানুষের মন পৃথিবী ব্যাপী । এই বুঝি অপেক্ষার অবসান হলো, এসে গেলো মহামারী তাড়ানোর প্রতিষেধক টিকা।
চুপচাপ কাজ করে গেছে অনেক বছরের অভিজ্ঞ ওষুধ কোম্পানী ফাইজার আপন মনে। সবার আগে তারাই সুখবর সফলতার বার্তা দিল পৃথিবীর মানুষকে। ভ্যাকসিন আর স্বপ্ন, অপেক্ষা নয় সফল হওয়া প্রতিষেধকের নাম। আশার হাতছানী নিয়ে আজ
জ্যাভেনতাম, বেলজিয়ামে তৈরি হওয়া ফাইজারের ভ্যাকসিন মানুষের জন্য পৌঁছে গেছে কানাডায়।
টরন্টাে জেনারেল হাসপাতালে আজ প্রথম সটটি দেয়া হয়েছে। সবাই আনন্দিত এই পাওয়ায়।
ফ্রন্ট লাইনের ওর্য়াকার, স্বাস্থ ঝুঁকি পূর্ণ সম্মানিত বয়স্ক নাগরিকদের প্রতিষেধক দেয়ার পরই সাধারন জনগন সবাইকে ডাকাডাকি শুরু করবে সরকারের পক্ষ থেকে, স্বাস্থ বিভাগ। দেশের প্রতিটি মানুষ রোগ মুক্ত থাকুক এই চেষ্টাই তারা করবে। যদিও সাধারন জনগণ
সবার কাছে পৌঁছাতে লাগবে আরো কিছু সময়। তারপরও এটা আশার বিষয়। কিছু একটা এখন আছে করোনাকে ঠেকাতে। দূরে রাখতে। স্বাভাবিকতায় ফিরে যাবে মানুষ আবার।
যেমন কঠিন এই কোভিট ১৯ তেমনই কঠিন তার প্রতিষেধক প্রির্জাভেশন রাখা । মায়নাস সত্তর সেলসিয়াসে রাখতে হবে এই ওষুধ।
আহা কানাডার জন্য এটা ভালো সময় । মায়নাসের দিকেই যাচ্ছে ওয়েদার তাপমাত্রা। যদিও ওপেন স্পেসে রাখা হবে না এই দূর্লোভ ওষুধ। তবে শীতলতার বিষয়টি এতই কঠিন ভয় লাগে ভাবতে। এতো অ্যান্টার্কটিকার মতন শীতল অবস্থায় রাখতে হবে। ডোজ কি তার কার্যকারিতা ঠিক রাখবে ।
তবে ফাইজারের ভ্যাকসিনটি শেষ পর্যন্ত কিছুটা গরম অবস্থায়, ফ্রিজের বাইরে দীর্ঘ সময়ের জন্য স্থিতিশীল থাকতে পারে আশা করা যাচ্ছে । কিন্তু তার জন্য আরো সময় আরো ব্যাপক গবেষণার পর হতে পারে।
ফাইজারের তৈরি ভ্যাকসিন অত্যন্ত ঠান্ডা রাখতে হবে মাইনাস সত্তর ডিগ্রি সেলসিয়াস । মোডারনা অন্য কোম্পানির ভ্যাকসিনটিও হিমশীতল অবস্থায় রাখতে হবে। তবে নিয়মিত ফ্রিজারের মতো মাইনাস বিশ সেলসিয়াসে রাখলেও চলবে বলছে, তারা।
খুবই জঘন্য একটা অবস্থা। যাও পাওয়া গেল তার রক্ষণাবেক্ষণ কার্যকরী ভাবে সব দেশে করা কঠিন হবে মনে হচ্ছে। তবু আশা রাখি। অন্য উষ্ণতর দেশগুলোর চেয়ে ভালো অবস্থানে আছে আমাদের এই শীতল দেশ এই সময়ে। পরিবহনের জন্য ভালো ব্যবস্থা করতে হরে অন্য দেশগুলোতে। মাত্র তিন মিনিট মায়নাস সত্তরের বাইরে থাকলে ওষুধের কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যাবে। যে সব দেশে গরম বেশি তাদের খুব সাবধান হতে হবে এই ওষুধের রক্ষনাবেক্ষনে, ব্যবহারে।
সব দেশেই যদি এই দেশের মতন প্রতিটি জনগণের স্বাস্থ্য সেবার ব্যবস্থা থাকত খুব ভালোলাগত। পৃথিবীর কত মানুষ রয়ে যাবে অনেকদিন পর্যন্ত প্রতিষেধক পাওয়া থেকে দূরে।
এই টিকার ব্যবহার, পৃথিবী থেকে করোনা নামক ব্যাধীটি দূরে সরে যাক এই কামনা আনন্দের সাথে।

সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৫:১৯
১০টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×