somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রোকসানা লেইস
স্রোতের অজানা টানে সমুদ্র বালিয়াড়ি বেয়ে বোহেমিয়ান- গৃহকোন, জীবন যাপন ফেলে চলে যায়। তুমি দুহাত বাড়িয়ে আলিঙ্গনে বাঁধতে চাও জোছনা গলে হারিয়ে যায় সুখ । আছড়ে পরা ঘূর্ণিজল মনে বাজায় অচেনা সবুজ দিগন্ত ..

চিকিৎসা, বিজ্ঞানের উন্নতি কুসংস্কার সব মিলে মানুষ

১৮ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

চিকিৎসা বিজ্ঞান শরীরের প্রায় প্রতিটি অঙ্গ, ত্বক, বাহু, পা, আঙ্গুল, চোখ, কান এবং চুল প্রতিস্থাপন করতে পারে। মস্তিষ্ক এখনও প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হয়নি। তবে অতি সম্প্রতি বাহুর কাছে একটি চিপ বসিয়ে তা থেকে সিগন্যাল পাঠানোর চেষ্টা বেশ সফল হয়েছে। অবস হাত ব্যবহারে জন্য এই পদ্ধতি ।
কাজ চলছে মস্তিকে প্রয়োজনীয় চিপ বসিয়ে সংকেত পাঠানোর। মনে হয় মানুষ সাফল্য পেয়ে যাবে আগামীতে। জন্মের আগেই এখন জিনগত বংশানুক্রমের রোগের অনেক চিকিৎসা হয় ভ্রণ অবস্থায়। অসুস্থ অবস্থা নিয়ে জন্ম নিতে হয় না শিশুকে। যদিও এই সব চিকিৎসা ব্যায়বহুল এবং উন্নত বিশ্বেই কেবল হয়।
এই চিকিৎসা গুলো প্রত্যেক দেশে, জন সাধারনের জন্য চালু হলে বিকলাঙ্গ বা বংশগত রোগ বিস্তার বন্ধ হবে। অনেক পরিবার অসুস্থ শিশুর চিকিৎসা ব্যয় ভাড় সামলানো থেকে রক্ষা পাবে। মানুষের মধ্যে সুস্থতা বাড়বে।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির মাধ্যমে পোলিয়, যক্ষা, বসন্ত, রোগ এখন বিলুপ্ত প্রায়। কিন্তু অনেক রক্ষনশীল দেশ শিশুদের টিকা দেয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রাখার জন্য। শিশুরা পোলিও রোগে ভুগছে এখনো। বাংলাদেশে বহু শিশু পোলিও আক্রান্ত হতো এক সময়। পরিচিত কিছু মানুষ চিনি যারা পোলিওর কারণে সারা জীবন ঠিক মতন হাঁটার সুযোগ পায়নি। অনেকে এখন হুইল চেয়ারে বা বিছানায় থাকে।
বিল গেটস ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন পোলিও নির্মূলের প্রচেষ্টায় রোটারি ইন্টারন্যাশনালকে ২৫৫ মিলিয়ন প্রদান করেছিল ২০০৯ সালে। তারা নিমূল করতে চেয়েছিল রোগটি। কিন্তু কুসংস্কার এবং সরকারী বাঁধার জন্য কাজ সব জায়গায় ঠিক মতন হলো না তাদের সদিচ্ছা থাকার পরও। অনেক দেশ চিকিৎসা ব্যবহার করতে দিল না জনসাধারনকে।
গণপ্রজাতান্ত্রিক কঙ্গো.নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, সোমালিয়া, সিরিয়ার মানুষ এখনও অনেক পরিমাণে আক্রান্ত হয় পোলিয় রোগে।
রোগ নির্মূল করা যায় কিন্তু তার জন্য প্রয়োজন জনগণের সহযোগীতা এবং সরকারের পদক্ষেপ।
নতুন আরেকটি সফলতা পেয়েছে জাপানী বিজ্ঞানী। দুটি পুরুষ ইঁদুরের ত্বকের কোষ ব্যবহার করে, কার্যকর ডিম তৈরি করে এবং এটিকে ফার্টিলাইজড করে। তা থেকে পুরুষ ইঁদুরের বাচ্চা উৎপাদনের মাধ্যমে।
নারীরা এখন যে ভাবে সন্তান নেয়া থেকে নিজেদের বিরত রাখার ইচ্ছা প্রকাশ করছে। অদূর ভবিষতে হয়তো এই প্রজনন প্রক্রিয়ার প্রয়োজনও পরতে পারে, পুরুষের সন্তান প্রসবের ব্যাপারটি।
কৃত্তিম কিডনী এবং রক্ত উৎপাদন চলছে। কৃত্তিম ভাবে যদি রক্ত এবং কিডনী পাওয়া যায় অসুস্থ মানুষের জন্য তবে অনেক মানুষকে অপেক্ষায় থাকতে হবে না বছরের পর বছর একজন ডোনারের জন্য। আবার টাকার অভাবে বিক্রি করতে হবে না সুস্থ একজন মানুষের কিডনী বা রক্ত। অনেক আবেগে ভাসতে হবে না মানুষকে। চুরি হয়ে যাবে না মানুষের কিডনী ব্যবসার অনৈতিক চক্রের কাছে।
আমরা এখনও অতটা মানবিক হয়ে উঠতে পারিনি।
নিজেদের দেহের যে অঙ্গ, মরে যাওয়ার পরে অন্য মানুষের জীবন বাঁচাতে সহায়তা করতে পারে তা নিয়েই আমরা কবরে বা দেহ জ্বালিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে রাখি। কখনো অন্যদের জীবন বাঁচানোর জন্য দান করে যাই না অতি অল্প পরিমাণ মানবিক কিছু মানুষ ছাড়া এই সিদ্ধান্ত নেন না তেমন কেউ।
আর সুস্থ সবল মানুষকে নানা রকম আক্রমণে অসুস্থ বিকলাঙ্গ করে ফেলার মধ্যেও কারো বেশ পৈশাচিক আনন্দ মিলে। যুদ্ধ, মারামারি, হিংসা হানাহানীতে যত সুস্থ মানুষ অসুস্থ হচ্ছে, তার চেয়ে অনেক কম মানুষ কাজ করছেন মানুষকে সুস্থ রাখার জন্য। এবং সুযোগ পাচ্ছেন সুস্থ হওয়ার। তবে একটা মজার বিষয়। অনেক মানুষের প্রচুর অর্থ আছে সেই অর্থে তারা বদলে ফেলে নিজের শরীর, চেহারা প্লাসটিক সার্জারি করে সুস্থ সবল থাকার পরও। শুধু নিজেকে নিজের পছন্দ না হওয়ার জন্য। বা অন্যের কাছে নিজেকে আরো আকর্ষণীয়করে দেখানোর জন্য।
কী ভয়াবহ সিলি একটা ধারনা! এই ধারনা মানুষ বহন করে চলেছে বছরের পর বছর ধরে। অন্যের কাছে নিজেকে আকর্ষণীয় করে উপস্থাপনের। কত ব্যয় অর্থ এবং সময়ের এজন্য। অথচ তারা দান করে না একজন অসুস্থ মানুষকে সুস্থ করার জন্য কিছু অর্থ।
তবু ভালো কিছু মানবিক মানুষ এখনো মানুষের জন্য কাজ করছেন। তাদের সম্মান জানাই।




সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:৩৯
৬টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×