
ইদানীং,
কবিতা লেখার মতন মজবুত বিষয় খুঁজে পাচ্ছি না
অথচ
চারপাশ জুড়ে কত কবিতা !
কত শব্দ !
কত নত মুখ !
নত শির !
রোজই তো দেখছি
ওদের সনে উঠাবসা, হাঁটছি, দৌড়াচ্ছি
ওদের চোখে চোখ রাখতে
আজকাল লজ্জা হয়
সাথে থাকে মেঘ জড়ো ভয়
দাউ দাউ আগুন বুকে
তবুও
ওরা কি অদ্ভুত দিচ্ছে হাসি !
সংসার করে
বছর বছর বাচ্চার বাবা-মা হয় !
আমার কিছুই হয়না
সেই কাঁচাপাকা দাড়ি
ফ্যাকাশে একখান চেহারা
একই জামায় তিনদিন চারদিন
ঘামের সাথে নিত্য সহবাস।
ভেবেছিলাম পথিক হবো
অর্ধেক রাস্তায় এসে হাঁপিয়ে গেছি
ভেবেছিলাম প্রেমিক হবো
হতচ্ছাড়া প্রেম টিকেই না !
ভেবেছিলাম শব্দ শ্রমিক হবো
হায় ! আফসোস
শব্দগুলি যে দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে
ছন্দ গুলি
কর্পুরের মতো হাওয়ায় উড়ছে
যেন ওদের যমে ধরেছে।
কবিতা,
আরেকটু পাশে হাঁটো
তুমি ছাড়া আমার নেই কেউ
শুকনো বুকে মেলা চলছে ঢেউ
আরেকটু ভাবনায় মারো
মাঝরাতে ঠোঁটে লাগুক গরম বিড়ির ছ্যাঁক।
কবিতা,
এনে দাও
আরও কিছু শিশির ভেজা ভোর
আরও দুই চার সুর্যাস্ত
তালুতে হোক বন্দী কিছু রোদ্দুর ।
কবিতা,
মেলা ছন্দ এখনো যে রয়েছে বাকী
সবুর কর ! সবুর কর !
দাঁড়াও কিছুক্ষণ
ওসব মিলিয়ে তবেই না হয় চোখ বুজি।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:০৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




