somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শ্রোতার জন্য সংগীত : পর্ব ১ : রাগ ইমন

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শ্রোতার জন্য সংগীত : পর্ব ১ : রাগ ইমন

( ব্লগ ভূমিকা : আমি দেখেছি রাগ নিয়ে যে কোন আলোচনায় – আলোচনাকারী ধরেই নেয় এই আলোচনা বা লেখা সংগীত শিল্পীদের জন্য। সেখানে স্বর ও সুর নিয়ে নানা কথা হয়, শ্রোতাদের বিবেচনা করে প্রসঙ্গ আসেনা। অথচ এই পৃথিবীতে যত সংগীত শিল্পী আছেন তাদের চেয়ে শ্রোতা আছে লক্ষ গুন বেশি। কান তৈরী করার জন্য প্রয়োজন খানিকটা সংগীত নিয়ে জ্ঞান। সংগীত মানব সভ্যতার সবচেয়ে বড় অর্জন, ভাল সংগীতের স্বাদ নিতে গেলে সংগীতের নানান ধারা সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা থাকা দরকার। এই ব্লগের মূল উদ্দেশ্য যারা সংগীত শিল্পী নয়, শুধুই শ্রোতা- আমার মত- তাদের কাছে শাস্ত্রীয় সংগীতকে পরিচিত ও আপন করে তোলা।)

ইমন সন্ধ্যার রাগ, জীবনানন্দে আমরা পেয়েছি
সমস্ত দিনের শেষে শিশিরের শব্দের মত সন্ধ্যা আসে;
ডানার রৌদ্রের গন্ধ মুছে ফেলে চিল;
পৃথিবীর সব রঙ নিভে গেলে পান্ডুলিপি করে আয়োজন
তখন গল্পের তরে জোনাকির রঙে ঝিলমিল।

জোনাকির রঙে রাঙা সন্ধ্যা, শিশির ভেজা-নরম-আবেগি-বিষন্ন। সেই সময়ের রাগ ইমন- তাই সে ভেজা, নরম আবার ঝিলমিল। ইমন ভক্তিরসে সিক্ত প্রেমের রাগ। সেটা প্রেমে পড়লে বা প্রেম থেকে পড়লে – দুটোরই। প্রেম-বিরহ-আরাধনা-প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির বেদনা সব প্রকাশে মেধাদীপ্ত সুরকারেরা যতবার হাত পেতেছেন Heptatonic রাগ ইমনের কাছে, ততবারই ভিন্ন রুপে প্রতিভাত হয়েছে। তার প্রমাণ ধীরে ধীরে এই লেখায় পাব। রাগ ইমন, কল্যাণ ঠাঁটের একটি সম্পূর্ণ রাগ। রাগ ইমন নিয়ে কথা বললে, উদাহরন তুলে ধরলে – বার বার চলে আসবে রাগ ইমন কল্যানের কথা। কারণটা হচ্ছে রাগ ইমনের খুব কাছাকাছি রাগ হচ্ছে ইমন কল্যাণ। দুটোর পার্থক্য খুব বেশি নয়। ইমনের “মা” নোটটির ঈষৎ পরিবর্তনে পৃথিবী পেয়েছে আরেকটি আরো নরম, কোমল রাগ ইমন কল্যাণ। ইমনের তীব্র “মা” ইমন কল্যানে হয়ে যায় “শুদ্ধ মা”। অবশ্য এই সামান্য পরিবর্তনের প্রভাব অনেক। “মা” ছাড়া আরোহ বা অবরোহের ক্ষেত্রে চলন একই থাকে দুটি রাগে। মেরু বেহাগ রাগের সাথেও ইমনের সাদৃশ্য দেখা যায়। এই আবার চলে আসে শাস্ত্রীয় কথা। থাক এসব এই আরোহ-অবরোহ-চলন বা মীড় নিয়ে কথা না বলে রাগের প্রকৃতি নিয়ে কথা বলবো বলেইতো এই ব্লগের সূত্রপাত।

রাগ ইমন একটি সম্পূর্ণ বা স্বপ্তস্বরী রাগ। ইমন রাগ কল্যান ঠাঁটের অন্তর্গত। এই রাগটি একই সাথে হিন্দুস্তানী এবং কর্নাটকি। এই রাগের সময় হচ্ছে রাতের প্রথম প্রহর অর্থাৎ সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। বিভিন্ন প্রার্থনা সংগীতে এই রাগের উপস্থিতি দেখা যায়। সাধারণত লঘু মেজাজের এই রাগের উৎপত্তি ও সূত্র নিয়ে দুটি মত প্রচলন আছে। প্রথমটি হচ্ছে- এই রাগটি প্রাচীন কাল থেকেই দক্ষিণ ভারতে কল্যান নামে পরিচিত এবং রাগটি খুব একটা পরিবর্তন না হয়ে আদি রুপেই ভারতবর্ষে রয়ে গেছে। দ্বিতীয় মতটি হচ্ছে – মুসলিম শাসনামলে পশ্চিম এশিয়া বা মধ্যপ্রাচ্য থেকে এই রাগটি ভারতবর্ষে এসেছিল। ভারত বর্ষে রাগটির প্রচলন করেছিলেন বুলবুল-ই-হিন্দ হযরত আমীর খসরু (১২৫৩-১৩২৫)। আমীর খসরুর আসল নাম ছিল আবুল হাসান। খিলজী সাম্রাজ্যের সময় তিনি সংগীতের জন্য হযরত খেতাবে ভূষিত হন। তিনি খেয়াল, গজল গানের স্রষ্টা ছিলেন সেই সাথে সেতার, বায়া, তবলা ইত্যাদি বাদ্যযন্ত্রের স্রষ্টাও তিনি ছিলেন।


শাস্ত্রীয় সংগীতের মহা সমুদ্রে রাগ ইমন জনপ্রিয় একটি রাগ- তা সে আদিকাল থেকেই। এই রাগের মায়াবী চলন, সপ্তস্বরী হবার প্রবণতা এবং সুরের আকর্ষণ করার ক্ষমতা বিবেচনায় ধ্রুপদ সংগীতের শিক্ষার্থীদের প্রথমেই এই রাগের তালিম দেয়া হয়। আবার পুরোটা জীবন শিখেও রাগ ইমন শেখা আসলে শেষ হয় না- এমন কথাও প্রচলিত আছে। কারণ রাগ ইমনের আছে নানান রুপ- ছোট ছোট পরিবর্তনে রাগ ইমন সম্পূর্ণ আলাদা আবহ তৈরী করে। এই রাগের নামের উৎস নিয়ে একাধিক মত প্রচলিত আছে। নানা ভাবে এই রাগের ইংরেজী বানান লেখা হয়। যেমন Yaman, Iman, Eman, Aiman ইত্যাদি। এই নানা রকমের ডাকের পেছনের কারণ হচ্ছে ইমনের উৎপত্তি নিয়ে যে নানা মতবাদ। ইমন শব্দটি কারো কারো মতে যমুনা ( হিন্দীতে ইয়ামুনা) থেকে এসেছে। আবার কারো মতে আরবের ইয়েমেন থেকে রাগ ইমনের নামটি এসেছে। আরেকদল পন্ডিতের মতে “ ইহমন” থেকেই ইমন রাগের নামের উৎপত্তি। এই মতবাদ নিয়ে একটি গল্পও প্রচলিত আছে। একদিন সন্ধ্যার পরে বাবা হরিদাস গোস্বামী, মন্দিরে তার ইষ্ঠদেবের তন্ময় হয়ে গান করছিলেন। সেই গানের বাণী ছিল ” “ইহমন অরপন করু তুমহারে” তার শিষ্যগণ মুগ্ধ হয়ে এই সংগীত শ্রবণ করেন। পরের দিন শিষ্যরাই তাকে অনুরোধ করেন, ‘বাবা আপনি গতকাল সন্ধ্যায় যে গানটি গেয়েছিলেন ঐ গানটি আজ আমাদের আবার শোনান এবং শেখান। সেই সংগীতটি ছিল রাগ ইমন – এভাবে “ইহমন” শব্দ হতেই রাগ ইমনের সুত্রপাত। এই উৎস মতে রাগ ইমনের হিন্দুস্তানী হবার দাবীটা সামনে চলে আসে। তবে এই দাবীটি সবচেয়ে কম প্রচলিত। ( কারণ আমার নিজের কাছেও কেমন গল্প গল্প মনে হয়েছে)

ইমন রাগ ভক্তি রসাশ্রিত। ভজনা, উপাসনা, প্রার্থণা, প্রশস্তি ইত্যাদিতে ধ্রুপদ ধামার থেকে অর্থাৎ পুরনো আমল থেকেই আজকের রবীন্দ্রসংগীত পর্যন্ত এই রাগটিকে ব্যবহার করা হয়েছে। আবার এই ভক্তিরসের ভেতরেই কিছু করুণ, কিছু বীর রসের আবির্ভাব ঘটিয়ে রাগটিকে আরো শ্রুতিমধুর করে তোলা হয়েছে। রাগটি তাই সহজেই মানুষের হৃদয় ছুয়েঁ যায়। বিশেষত যারা কোমল হৃদয়ের তাদের কাছে এই রাগটি অধিকতর আবেদন নিয়ে প্রতিভাত হয়। হিন্দী সিনেমায় রোমান্টিক গানগুলোতে এই রাগের বহুল ব্যবহারের কারণ হচ্ছে- এই রাগ প্রেমের অনুভূতিকে খুব ভাল করে প্রকাশ করে। ভারতবর্ষে পুজা ও প্রেম দুটো আবেগকে এই প্রকৃতির বিবেচনা করা হয়। তাইতো রবীন্দ্রনাথ পুজা ও প্রেমকে একই প্রকৃতির মধ্যে রেখেছেন।

রাগের পরিচয় কথায় নয় সুরে, এবার ইমন রাগের কিছু প্রকাশ শোনা যাক।
শাস্ত্রীয় সংগীতের লিজেন্ডদের কণ্ঠে রাগ ইমন পাওয়া যাবে এই প্লে লিস্টে

নজরুল গীতিতে রাগ ইমনের ব্যবহার
নজরুল গীতিতে সম্পূর্ণ ইমন রাগে কোন গান নেই। জীবনে কোথাও কোন ফরম্যাটে বাঁধা পড়েননি দ্রোহের কবি। গানেই বা পড়বেন কেন। রাগ ইমন তার পছন্দের রাগ ছিল- তাই রাগ ইমন তার গানে এসেছে মিশ্র রুপে। তিনি রাগ ইমনের সাথে অন্যান্য রাগ মিশিয়ে তৈরী করেছেন কিছু গান।
নজরুলের গানে রাগ ইমনের ব্যবহার পাওয়া যাবে এই প্লে লিস্টে

রবীন্দ্র সংগীতে রাগ ইমনের ব্যবহার
রবীন্দ্রনাথ শাস্ত্রীয় সংগীতকে তার গানে অনেক ভাবেই ব্যবহার করেছেন তবে তিনি প্রায় সব সময়ই রাগের চলন থেকে বেরিয়ে গিয়ে তার সুরের নিজস্ব ধরণ বা রাবীন্দ্রিক সিগনেচারের দিকে চলে গেছেন বারবার।
রবীন্দ্র সংগীতে রাগ ইমনের ব্যবহার পাওয়া যাবে এই প্লে লিস্টে

গজলে রাগ ইমনের ব্যবহার
ওস্তাদ মেহেদী হাসান খাঁ, জাগজিৎ সিং, গুলাম আলী সহ অনেকেই তাদের গজলে রাগ ইমন ব্যবহার করেছেন অনেকবার। কারণ প্রকৃতিগত ভাবে গজলের সাথে রাগ ইমনের একটি গভীর সম্পর্ক আছে। ভক্তি বা প্রেম রসের রাগ ইমন- গজলের আবেদনকে করে তোলে আরো মোহনীয়।
গজলে রাগ ইমনের ব্যবহার পাওয়া যাবে এই প্লে লিস্টে

বাংলাদেশের গানে রাগ ইমনের ব্যবহার
বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় তম সেরা গান রাগ ইমনের চলনে তৈরী। নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরী “ আজ এই বৃষ্টির কান্না শুনে” – আমাদের অনেকেরই প্রিয়তম গান। গীতিকার কাউসার আহমেদ চৌধুরীর কথায় সুর দিয়েছিলেন লাকী আখন্দ। এ যেন লিজেন্ডদের সম্মিলনে সাবলিমিটির ছোঁয়া।
আজ এই বৃষ্টির কান্না দেখে

হিন্দী সিনেমার গানে রাগ ইমনের ব্যবহার
রাগ ইমনের বহুল ও সফল ব্যবহার হয়েছে হিন্দী সিনেমার গানে। সাদাকালো সিনেমার সময় থেকেই ইমন ও ইমন কল্যান আশ্রিত গানগুলো আছে জনপ্রিয়তার শীর্ষে। সেটা তালিকা দেখলেই বোঝা যাবে।
( লেখকের নোট: আমি রাগ নিয়ে আগ্রহী হবার পরে খুব বিষ্ময় নিয়ে লক্ষ্য করেছি হিন্দী সিনেমার যত গুলো গান আমার সবচেয়ে প্রিয় তার তিন চর্তুথাংশ্ভই রাগ ইমন ও রাগ ইমন কল্যান আশ্রিত। )
হিন্দী সিনেমার গানে রাগ ইমনের ব্যবহার

রাগ ইমনকে বলা হয় রাগের রাজা। যেখানে রাগ পুরিয়া ধনশ্রীকে বলা হয় সন্ধ্যার রাগের রাজা। ভক্তি, গম্ভীর, শৃঙ্গার রসে সিক্ত রাগ ইমন গুপ্তধনের মত যেখানে থেকে ডুব দিয়ে আহরণ করা যায় অদ্ভুদ অদ্ভুদ সুর, যা যুগে যুগে বিমোহিত করেছে আমাদের।
বিভিন্ন গানে রাগ ইমনের ব্যবহার

শাস্ত্রীয় সংগীতের অপার সমূদ্রে অসাধারণ একটি সৃষ্টি রাগ ইমন। প্রাচীন কাল থেকে রাগ ইমন আমাদের কাঁদিয়েছে, ভালবাসায় সিক্ত করে- আরাধনায় মোহিত করেছে। মানব সভ্যতার চাকা থেমে যায়নি। সুরের ধারাবাহিকতায় সামনে আসবে আরো কোন অসামান্য কোন সংগীতকার, রাগ ইমনের নির্যাসে সে তৈরী করবে আরো কিছু মোহনীয় সুর, এই সৃষ্টি চলতেই থাকবে, আমরাও মোহিত হতে ধাকবো রাড় ইমন দ্বারা।
শাস্ত্রীয় যন্ত্রসংগতে রাগ ইমনের ব্যবহার

( লেখকের নোট: রাগ ইমন নিয়ে এই আলোচনা শিশুতোষ বললেও ভুল বলা হবে, হয়তো তার ও ছোট। এই আলোচনা শ্রোতা হৃদয়ে রাগ ইমনের নামটি স্থায়ী করলেই আমি আমার কষ্ট স্বার্থক মনে করবো। শ্রোতার অধিকার নিয়ে রাগ ইমন নিয়ে কথা বলেছি, শ্রোতাদের জন্যই; সংগীতজন এই কারণেই হয়তো আমাকে ক্ষমা করে দেবেন। রাগ ইমনের অনেক অনেক রেফারেন্স বাকী রয়ে গেল। কেউ সেগুলো তুলে ধরলে নিশ্চই আমি প্লে লিস্টে অন্তর্ভুক্ত করে দেব)

তথ্যসূত্র
১। সুফী ফারুক ইবনে আবু বকরের ব্লগ
২। উইকিপিডিয়া
৩। Musical prayer and love in Raga Yaman -The Daily Star
৪। অনলাইন বিভিন্ন পত্রিকা
৫ । অনুজা কামাত
৬। প্রবন্ধ রাগ ইমন
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৩:১৪
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সমস্যা মিয়ার সমস্যা

লিখেছেন রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ), ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

সমস্যা মিয়ার সিঙ্গারা সমুচার দোকানে প্রতিদিন আমরা এসে জমায়েত হই, যখন বিকালের বিষণ্ন রোদ গড়িয়ে গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে, সন্ধ্যা পেরিয়ে আকাশের রঙিন আলোর আভা মিলিয়ে যেতে শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই মুহূর্তে তারেক জিয়ার দরকার নিজেকে আরও উন্মুক্ত করে দেওয়া।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৬ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৬


তারেক জিয়া ও বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে আমি ব্লগে অনেকবারই পোস্ট দিয়েছি এবং বিএনপি'র নেতৃত্ব সংকটের কথা খুব স্পষ্টভাবে দেখিয়েছি ও বলেছি। এটার জন্য বিএনপিকে সমর্থন করে কিংবা বিএনপি'র প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

হামাস বিজয় উৎসব শুরু করেছে, ইসরায়েল বলছে, "না"

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:০৮



গতকাল অবধি হামাস যুদ্ধবিরতী মেনে নেয়নি; আজ সকালে রাফাতে কয়েকটা বোমা পড়েছে ও মানুষ উত্তর পশ্চিম দিকে পালাচ্ছে। আজকে , জেরুসালেম সময় সন্ধ্যা ৮:০০টার দিকে হামাস ঘোষণা করেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

খুন হয়ে বসে আছি সেই কবে

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ২:৩১


আশেপাশের কেউই টের পাইনি
খুন হয়ে বসে আছি সেই কবে ।

প্রথমবার যখন খুন হলাম
সেই কি কষ্ট!
সেই কষ্ট একবারের জন্যও ভুলতে পারিনি এখনো।

ছয় বছর বয়সে মহল্লায় চড়ুইভাতি খেলতে গিয়ে প্রায় দ্বিগুন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×