somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সাইয়িদ রফিকুল হক
আমি মানুষ। আমি ত্বরীকতপন্থী-মুসলমান। আমি মানুষ বলে আমার ভুলত্রুটি হতেই পারে। বইপড়তে আমার ভালো লাগে। সাহিত্য ভালোবাসি। লেখালেখি আমার খুব শখের বিষয়। বাংলাদেশরাষ্ট্র ও গণমানুষের জন্য আমি লেখনিশক্তিধারণ করেছি।

বুয়েটে ‘শিবির’ ইন করানোর চক্রান্ত। কারা করছে এই চক্রান্ত? তথ্যপ্রমাণসহ অভিমত।।

০১ লা এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



বুয়েটে ‘শিবির’ ইন করানোর চক্রান্ত। কারা করছে এই চক্রান্ত? তথ্যপ্রমাণসহ অভিমত।।
সাইয়িদ রফিকুল হক

বুয়েট অশান্ত হয়ে উঠেছে! পরিকল্পিতভাবে অশান্ত করে তোলা হচ্ছে। শুধু কি এই কয়েকদিন হলো সেখানে আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য চলছে? নাহঃ, তা নয়। বিগত কয়েক বছর যাবৎ বুয়েট অশান্ত করে বারবার ফায়দা লোটার চেষ্টা চলছে। আর ফায়দা লুটছে কারা? একাত্তরের ঘৃণ্য, হায়েনা, পরাজিত, অপশক্তি, যুদ্ধাপরাধী ও ঘাতক-দালাল জামায়াত-শিবির ও তাদের সন্তানসন্ততি ‘শিবির’। কারা তাদের এই অপআন্দোলনের নেপথ্যে? আর কারা তাদের শক্তি, সাহস ও মদদ জোগাচ্ছে? এব্যাপারে বিস্তারিত তথ্যপ্রমাণসহ সুচিন্তিত অভিমত তুলে ধরা হবে। আর-একটি কথা: বুয়েটের সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের প্রতি মদীয় কোনো ক্ষোভ বা অভিযোগ নাই। কিন্তু ‘সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের নাম ও ব্যানার’ ব্যবহার করে যে-সব ‘শিবির ও হিযবুত তাহরী’র সেখানে আন্দোলনের নামে বারবার নৈরাজ্য, সংঘাত, অপকর্ম ও অপসংস্কৃতি চালাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ঘৃণা প্রকাশ করছি।
আসুন, এবার আমরা একেকজন সাদা মনের মানুষ হয়ে আলোচনা শুরু করি (আপনি যদি মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধবাদী অপশক্তি হয়ে থাকেন তাহলে আপনার এটা কখনোই ভালো লাগবে না। কিন্তু দয়া করে মদীয় পুরো প্রবন্ধ না-পড়ে গালি দিবেন না):

শিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও ঢুকতে চাচ্ছে। তার জন্য কত নাটক চলছে! বটতলায় ‘কুরআন-শিক্ষা’র আসর বসানোর মতো অপচেষ্টা চলছে। এরপর ‘কার্জন হলে’র মাঠে গণজমায়েতে নামাজের জামাতের নাটক (ঢাবি’র প্রতিটি হলে ও ফ্যাকাল্টিতে মসজিদে রয়েছে)! তবু কার্জন হলের পাশে উন্মুক্ত জায়গায় কেন নামাজের অভিনয়? আসলে, ওদের সার্কাস চলিতেছে! এভাবে ধর্মের নাম ভাঙিয়ে ওদের নীলনকশা বাস্তবায়নের অপকৌশল চলছে। ভিতরে-বাইরে ‘রাজাকারতন্ত্র’ বাস্তবায়নের ষড়যন্ত্র চলছে।

বহু আগে থেকেই তারা বুয়েটকে টার্গেট করেছে। ওখানে আছে ‘তাবলিগ জামাতে’র ছেলেমেয়ে, ‘হিযবুত তাহরীর’-এর ছেলেরা, নিজেদের ‘জামায়াত-শাবক’, ‘বাচ্চাকাচ্চা-শিবির’ আর আছে ‘কথিত ধর্মপ্রাণ মুসল্লি’। এরা মিলেমিশে বুয়েটকে ঢাকা আলিয়ার সাদৃশ্য কোনো মাদ্রাসা বানাতে চাচ্ছে। সেইজন্যই এত নাটক! এত আয়োজন! এত আন্দোলন! এত মিছিল! আর প্রায়শ কোনো-না-কোনো একটা ইস্যুসৃষ্টি করে এদের মাঠে নেমে পড়া। মানে, হঠাৎ বুয়েটের ক্যাম্পাসে নেমে পড়া। বুয়েটের পরিবেশ বারবার পরিকল্পিতভাবে উতপ্ত করে তুলছে! কেন? ওরা দেখাচ্ছে, এখানে, ছাত্রলীগ রাজনীতি করছে! আর ছাত্রলীগই একমাত্র সমস্যা বুয়েটের ক্যাম্পাসে! ‘এতক্ষণে অরিন্দম কহিলা বিষাদে...।’ বুয়েটের ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ না-থাকলে শিবিরের কার্যক্রম চালাতে আর-কোনো বাধা থাকবে না।
বুয়েটের ক্যাম্পাসে শুধু ছাত্রলীগ থাকলে যত সমস্যা। কিন্তু ‘ছাত্রশিবির’, ‘হিযবুত তাহরীর’ ‘হেফাজত’, শিবিরের রুহানি ও দলীয় বোন ‘ইসলামি ছাত্রীসংস্থা’ ও তাদের প্রতি আনুগত্যশীল আরও কতক জঙ্গি থাকলে কোনো সমস্যা নাই।
এরা বুয়েটকে ‘ছাত্র-রাজনীতি’ শূন্য করতে চায়। কিন্তু ‘রাজনীতি-শূন্য’ হলে কোনো সমস্যা নাই। কিন্তু সমস্যা একটা আছে। ছাত্রলীগের রাজনীতি বন্ধ হলে শিবিরের জন্য পোয়াবারো। অবাধে তারা ‘দাওয়াতি-রাজনীতি’ ও সাধারণ ছাত্রদের ‘মগজ-ধোলাই’ করে টাখনুর আধহাত উপরে প্যান্ট পরার ‘ঈমানি-রাজনীতি’ চালিয়ে যেতে পারবে।
এরা বুয়েটে মাদ্রাসা-স্টাইলে, হেফাজতি-মার্কা, হিযবুত তাহরীর-মার্কা ছাত্র তৈরি করতে চাচ্ছে। তাহলে, এদের ষোলোকলা পূর্ণ হবে। কিন্তু তা-ই কী হয়?

এরা সবসময় ধর্মের মোড়কে খুব ভাব ধরে থাকে। খুব ঈমানদার সেজে বসে থাকে। আধুনিক ও মানসম্পন্ন কোনো রাজনীতিও এরা বোঝে না। কিন্তু যুদ্ধাপরাধীদের বংশধররা দেশবিরোধী অপরাজনীতি ঠিকই বোঝে। তাই, এরা স্লোগান দেয়, ‘বুয়েট-ক্যাম্পাসে কোনো রাজনীতি চলবে না। চলবে না।’ কিন্তু রাতের আঁধারে ওদের অপরাজনীতি চলবে। আর ধর্মের খোলসে ফজর, জোহর, আসর ও মাগরিব-এশার পর ঠিকই ওদের অপরাজনীতি চলবে। প্রতি ওয়াক্ত নামাজের পরে ঠিকই ওরা বুয়েট-মসজিদে বসে নিজেদের ‘শিবির-রাজনীতি’ চালু রাখবে। এই আন্দোলন সেইজন্য। তাই, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির রাজনীতি বন্ধ করতে পারলে ওদের অপকর্ম ও ‘দাওয়াতি-আগ্রাসন’ চালাতে বড় সুবিধা হবে। দাড়ি, টুপি ও নামাজের আড়ালে ঢাকা পড়বে ওদের নিত্যনতুন ষড়যন্ত্র! সেই লক্ষ্যেই ওদের এই আন্দোলন চলছে।

বুয়েটে আজ যাদের সাধারণ ছাত্র বলা হচ্ছে—তারা ২১-এ ফেব্রুআরি ভাষাশহীদ দিবস, ২৫-এ মার্চ গণহত্যা দিবস, ২৬-এ মার্চ অমর স্বাধীনতা দিবস, পহেলা বৈশাখ বাংলা-নববর্ষ ও ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস পালন করে না। এরা এইসব দিবসকে পছন্দও করে না! খোঁজ নিলে দেখবেন, এদের একটা নেতাকর্মীও এইসব দিবসের প্রতি বিন্দুমাত্র ভক্তিশ্রদ্ধা ও বিশ্বাস-আস্থা রাখে না। এই দিবসগুলোর প্রতি সামান্যতম সংহতিও প্রকাশ করে না। কারণ, এইসব দিবসগুলোর সঙ্গে তাদের পূর্বপুরুষ থেকে দ্বন্দ্ব ও বিরোধিতা চলে আসছে। তাদের বাপ-দাদারাও এইসব দিবস কখনোই পালন করেনি। এগুলোর সঙ্গে বাঙালির আত্মার তথা আত্মিক সম্পর্ক আছে। তাই, ওরা এইসব দিবসকে মোটেই সহ্য করতে পারে না। তাই, আমার প্রশ্ন: এরা সাধারণ ছাত্র হয় কীভাবে? এরা আসলেই জামায়াতের আপন শাবক ‘শিবির’ এবং ‘জামায়াতজাত হিযবুত তাহরীর’-এর সক্রিয় নেতাকর্মী ও সদস্য। আর সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো—এই ‘সাধারণ ছাত্রছাত্রী-নামধারী ভেকরা’ শুধু ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ও ব্যাপারে সরব, সোচ্চার ও সজাগ! কিন্তু শিবির ও হিযবুত তাহরীর-এর বিরুদ্ধে কখনো একটা কথাও বলে নাই! বলে না। কিন্তু কেন? আসলে, এখানে একটা বিরাটবড় কিন্তু আছে।


বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মনে চাইলে রাজনীতি করবে। আর মনে না-চাইলে রাজনীতি করবে না। কেউ যদি তাদের জোরপূর্বক রাজনীতি করাতে চায় তখন তারা একটা আন্দোলন করতে পারে। কিন্তু কোনো সাধারণ ছাত্র এই আন্দোলনে নাই। তারা তাদের পড়ালেখা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে ব্যস্ত। যার-যার ভাবনা নিয়ে ব্যস্ত রয়েছে তারা। কিন্তু ‘জামায়াত-শিবির’ তাদের ধান্দা ও অপরাজনীতি বহাল ও সচল রাখার নিমিত্তে দলীয় আন্দোলনরতদের নামের আগে কৌশলগতভাবে ‘সাধারণ ছাত্র’ ব্যানার বা ট্যাগ লাগিয়ে দিয়েছে। জামায়াত-শিবিরের এই ধরনের গোপন-অপতৎপরতা কখনোই বন্ধ হয় না। হবে না। এদের বন্ধ করতে হয়। বন্ধ করতে হবে।

ইতোমধ্যে কয়েকটি মিডিয়াতেও দেখানো হয়েছে—শিবির, হিযবুত তাহরীর-এর সন্তানরা কীভাবে ক্যাম্পাসে সাধারণ ছাত্রদের ওপর নির্যাতন এবং ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে। এরা সাধারণ ছাত্রদের ভুলবুঝিয়ে মাঠে নামিয়েছে (অবশ্য সবাই নামেনি গুটিকতকমাত্র)। এই শিবির ও হিযবুত তাহরীরকে ক্যাম্পাসে আশ্রয়প্রশ্রয় দিয়ে থাকে যুদ্ধাপরাধীপ্রেমী ও আজন্ম-আমৃত্যু আওয়ামীলীগবিরোধী কিছুসংখ্যক শিক্ষক। আর এরা রাজনীতির ডামাডোলে আওয়ামীলীগের বিরোধিতা করতে-করতে আজ প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে ‘জামায়াত-শিবিরে’র পক্ষ নিতে ন্যূনতম কুণ্ঠাবোধও করছে না! আমার কথা হলো—এরা চিরদিন আওয়ামীলীগবিরোধী থাকুক—কোনো সমস্যা নাই! আর সবাইকে আওয়ামীলীগ করতেও হবে না। কিন্তু তাই বলে আওয়ামীলীগের বিরোধিতার নামে আজ স্বাধীনতার চিরদুশমন ও ধর্মান্ধ ‘জামায়াত-শিবিরে’র পক্ষ নিতে হবে?!
বুয়েটের একজন শিক্ষক মিজানুর রহমান। তিনি বর্তমানে ‘বুয়েট শিক্ষক সমিতি’র সভাপতি। তিনি বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগেরও প্রধান। ইতোমধ্যে শিক্ষক মিজানুর রহমান সাহেব শুধু ‘ছাত্রলীগে’র বিরুদ্ধে একতরফা বক্তব্য দিয়ে তার রাজনৈতিক অবস্থান পরিস্কার ও স্পষ্ট করেছেন। তিনি প্রকাশ্যে মিডিয়ার সামনে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, “ছাত্রলীগের কাছে আমরা নিরুপায়!” তিনি ছাত্রলীগকে সাইড-লাইনে নিয়ে গেছেন। কিন্তু ধর্মান্ধ শিবির ও তাদের জাতভাই হিযবুত তাহরীর-এর বিরুদ্ধে একটা কথাও বলেননি! কিন্তু কেন? এখানেই একটা বড়সড় কিন্তু আছে।



ঠিক আছে, বুয়েটে রাজনীতি বন্ধ করে দিন। ছাত্রলীগও নিষিদ্ধ করে দিন। বুয়েটে ছাত্রলীগ রাজনীতি না-করলে আওয়ামীলীগের কোনো ক্ষতি নাই। আওয়ামীলীগ কখনোই ছাত্রনির্ভর রাজনৈতিক দল নয়। কিন্তু সেখানে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হলে শিবির ‘ইন’ করবে না—এই গ্যারান্টি কি কেউ দিতে পারবে? পারলে গ্যারান্টি দিন।
শিবিরের সাবেক সভাপতি থেকে শুরু করে অনেকেই বলে ফেলেছে, বুয়েটে তাদের ‘কমিটি’ আছে। সবকিছু আছে। তাহলে, তারা নাই—এ-কথা কারা প্রমাণ করতে চাইছে? তারা কারা? তাদের কী উদ্দেশ্য কাজ করছে এতে? আর তাদের কী স্বার্থ আছে বুয়েটে?

সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আন্দোলন জমানো শিবিরের পুরনো কৌশল। এভাবেই তারা সফল হতে চাচ্ছে। এদের সঙ্গে রয়েছে বুয়েটের কিছুসংখ্যক শিক্ষক। যারা জন্মলগ্ন থেকে আওয়ামীবিরোধী। কিন্তু জামায়াত-শিবিরঘেঁষা! এরা বুয়েটে দীর্ঘদিন যাবৎ ফায়দা লুটতে চাচ্ছে। এই শিক্ষক-নামধারী ব্যক্তিবর্গ পিছন-থেকে কলকাঠি নাড়ছে। আর সামনে রয়েছে ‘সাধারণ ছাত্র-নামধারী ভেক’ শিবির। আর এরা শিবিরকে করছে জামাইআদর! কিন্তু কেন? মনে রাখবেন: এখানেও একটা মস্তবড় কিন্তু আছে।

অনেকেই একতরফাভাবে বলার চেষ্টা করে যাচ্ছে, “ছাত্রলীগকে কোনোভাবেই মানানো যাচ্ছে না! থামানো যাচ্ছে না! আমরা ছাত্রলীগের ভয়ে ভীতসন্ত্রস্ত! আমরা ছাত্রলীগের কাছে জিম্মি!” আসলে কি তা-ই? আর শিবিরের সোনার ছেলেরা এদের সকাল-বিকাল সালাম দেয়! এরা কত ভালো ছেলে!

ড। মমতাজ উদ্দিন পাটোয়ারী স্যারের অভিমত:



বুয়েটের ‘আওয়ামীলীগবিরোধী শিক্ষকরা’ যদি মনে করে থাকে ছাত্রলীগ হটিয়ে শিবিরকে ঠাঁই করে দিলে তাদের রাজনৈতিক ফায়দা বহুতগুণে বৃদ্ধি পাবে! তাহলে, তারা বোকার স্বর্গে বসবাস করছেন। কারণ, ইতিহাস কখনোই কাউকে ক্ষমা করবে না। এদের চালাকি ও স্বার্থপরতা জাতি খুব সহজেই উপলব্ধি করতে পারবে। এর ফলাফল কখনোই শুভ হবে না। যেমন, ৫৩ বছর আগে গোলাম আযম-সাঈদীদের রাজাকারি এই বাংলায় টিকতে পারেনি। আজও পারবে না।

বর্তমানে বুয়েট-ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের নামে যে প্রহসন চলছে তাতে স্বাধীনতাবিরোধীচক্র সরাসরি জড়িত। আর এই অপআন্দোলনের বা আন্দোলন-প্রহসনের মাস্টার মাইন্ডও যে জামায়াত-শিবির নিচে তার পক্ষে কয়েকটি প্রমাণ তুলে ধরা হলো:



জাফর মাহমুদ (Jafor Mahmud) নামের এক ভাই মনের দুঃখে লিখেছেন:

দেশের গরীব জনগোষ্ঠীর টাকায় পড়াশোনা করে বিদেশে পাড়ি জমানো এবং দেশের গুষ্টি উদ্ধার করা এই স্বাধীনতা বিরোধী ও মানবতা বিরোধী মানসিকতা সম্পন্ন প্রকৌশলী তৈরী করার অপচেষ্টা বন্ধ হোক। অবিলম্বে বুয়েটে সকল সুস্থ রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক চর্চা শুরু করা হোক।


সুস্থধারার রাজনীতি সবখানে চলতে পারে। এজন্য বুয়েট-প্রশাসন তৎপর থাকবে। কিন্তু তাই বলে রাজনীতি বন্ধ করে দিয়ে শিবিরকে ‘ইন’ করানোর নাটক বাঙালি জাতি কখনোই সহ্য করেনি আর এখনও করবে না।

মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে রাজাকার, আলবদর ও আলশামসদের সন্তানসন্ততির কোনো ঠাঁই হবে না। এদের কোনো ক্ষমা নাই। এরা আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের চিরশত্রু ও হুমকিস্বরূপ। সময় এসেছে আজ—এদের শিকড়সুদ্ধ উপড়ে ফেলার।

জয় হোক বাঙলার।
জয় হোক বাঙালির।

ছবি: গুগল, ফেসবুক ও বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকা


সাইয়িদ রফিকুল হক
মিরপুর, ঢাকা।
৩০-০৩-২০২৪


তথ্যনির্দেশ:

দৈনিক ভোরের কাগজ
দৈনিক জনকণ্ঠ
দৈনিক ইত্তেফাক
চ্যানেল আই, সময়টিভি, একাত্তরটিভি...

সর্বশেষ এডিট : ০১ লা এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৪
১৯টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯


মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×