আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনী তফসিল বাতিল করে নতুন তফসিল ঘোষণার দাবি জানিয়ে মহাসমাবেশে বলেন, ঘোষিত তফসিলে নির্বাচন হতে পারে না। ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়নি। নির্বাচনের পরিবেশ নেই। সুতরাং ভোট চুরির নির্বাচন হবে না। কারচুপির নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না। একতরফা নির্বাচন মেনে নেওয়া হবে না। জনগণ একতরফা নির্বাচন করতে দেবে না।
সাবেক প্রধানমন্পী নতুন তফসিল ঘোষণার দাবিতে আগামী 24 ঘণ্টার আলটিমেটাম এবং আগামী 21 ডিসেল্ফ্বর বৃহসঙ্তিবার সারাদেশে সকাল-সল্পব্দ্যা হরতাল কর্মসহৃচি ঘোষণা করেন। তিনি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষদ্বির আহ্বান জানিয়ে বলেন, নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা করা হলে জনগণ কিছুতেই সেটা মেনে নেবে না। শেখ হাসিনা ভোটার তালিকা না পেলে 300 আসনের নির্বাচন কমিশনারের বিরুদব্দে প্রয়োজনে মামলা করার ঘোষণা দিয়ে বলেন, ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে হবে। আইডি কার্ড প্রবর্তনের পাশাপাশি স্ট্বচ্ছ ভোটবাক্সের ব্যবস্ট্থা নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি জানতে চান, কেন ভোটার তালিকা ছাপানো হবে না? কেনই বা ভোটার তালিকা দেওয়া হবে না? তার সাফ কথা, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে। স ম জাকারিয়াকে রাখা যাবে না। প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় ভোটার তালিকা সর্বসাধারণের জন্য ঝুলিয়ে রাখার ব্যবস্ট্থা নিশ্চিত করে তা ছাপাতে হবে। দলীয় বিবেচনায় নিয়োগকৃত 345 নির্বাচন কর্মকর্তাকে অপসারণ করতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষদ্বাদের প্যাকেজ প্রস্টস্নাব বাস্টস্নবায়ন করতে হবে। 90 দিনের বাধ্যবাধকতার কথা বলা হচ্ছে। জনগণের স্ট্বার্থ বড় নাকি 90 দিনের বাধ্যবাধকতা বড়। এই বাধ্যবাধকতা দেখিয়ে কারচুপির নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না।
অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আদায়ের চূড়ানস্ন লক্ষ্যে আয়োজিত এ মহাসমাবেশে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ, এলডিপি সভাপতি অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, জাতীয় পার্টি প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর আহমদ, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, জাকের পার্টি চেয়ারম্যান পীরজাদা মোস্টস্নফা আমীর ফয়সল ও ইসলামিক ফদ্ধন্টের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা খন্দকার গোলাম মওলা সংহতি প্রকাশ করে ভাষণ দেন।
আসাদুজ্জামান নহৃরের উপস্ট্থাপনায় এ মহাসমাবেশে আওয়ামী লীগ সভাপতিম-লীর সদস্য আমির হোসেন আমু, আবদুর রাজ্জাক, তোফায়েল আহমেদ, আবদুল জলিল, সুরঞ্জিত সেনগুপ্টস্ন, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ওয়ার্কার্স পার্টি সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ (ইনু) সভাপতি হাসানুল হক ইনু, গণআজাদী লীগ সভাপতি হাজী আবদুস সামাদ, গণতন্পী পার্টি সভাপতি নহৃরুল ইসলাম, ন্যাপ (মোজাফফর) সাধারণ সমঙ্াদক অ্যাডভোকেট এনামুল হক, সাম্যবাদী দল সাধারণ সমঙ্াদক দিলীপ বড়ূয়া, বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিসদ্বার রোকনউদ্দিন মাহমুদ, চট্টগ্রামের মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, গণতান্পিক মজদুর পার্টির সাধারণ সমঙ্াদক জাকির হোসেন, গণফোরাম প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম, কমিউনিসদ্ব কেন্দ্রের যুগ্গ্ম আহ্বায়ক ডা. অসিত বরণ রায়, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সমঙ্াদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বক্তৃতা করেন। মহাসমাবেশের মাধ্যমে ব্যারিসদ্বার রোকনউদ্দিন মাহমুদ আওয়ামী লীগে যোগ দেন।
সামঙ্্রতিক সময়ে স্ট্মরণাতীতকালের বৃহত্তম এ মহাসমাবেশে সাবেক প্রধানমন্পী শেখ হাসিনা সভানেত্রীর ভাষণে বলেন, জনগণ অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। নীলনকশা ও কারচুপির নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। কিন্তু প্রধান উপদেষদ্বা সেটা হতে দেবেন না। নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য উপদেষদ্বাদের প্যাকেজ প্রস্টস্নাবে ইতিবাচক সাড়া দেওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, 'ইয়েস উদ্দিন' তার ম্যাডামের টেলিফোন ও হাওয়া ভবনের নির্দেশ পেয়ে ওই প্রস্টস্নাব বাস্টস্নবায়নের বেলায় পিছু হটলেন। ফলে পদত্যাগ করলেন চার উপদেষদ্বা। এর মানেই প্রধান উপদেষদ্বা কারচুপির নির্বাচন করতে চাইছেন।
শেখ হাসিনা আরো বলেন, ভোটের অধিকার রক্ষা করতে মহা ঐক্যজোট গঠিত হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত একঘরে হয়ে আছে। এর বিপরীতে সব রাজনৈতিক দল ও শক্তি এক হয়েছে। তিনি ভোটাধিকার রক্ষায় ঐক্যবদব্দ আন্দোলনের তাগিদ দিয়ে জনতার প্রস্ট্তুতি জানতে চান। এ সময় সমবেত লাখো মানুষ দু'হাত উঁচিয়ে তাদের প্রস্ট্তুতির কথা তাদের প্রিয় নেত্রীকে জানিয়ে দেন। শেখ হাসিনা বলেন, ভোট কারচুপির বিরুদব্দে প্রতিরোধের দুর্গ গড়ে তুলতে হবে। বিজয় আসবে। সুষ্ঠু নির্বাচন হবেই। আর সেই নির্বাচনে বিজয়ী জনগণের সরকার মুক্তিযুদব্দের চেতনায় নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।
প্রায় 25 মিনিটের ভাষণে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী দেশে বিরাজমান সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্টি্থতি ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, রাষদ্ব্রপতি সংবিধানের 58(গ) 3, 4, 5 ধারা লগ্ধঘন করে নিজেই রাতের অাঁধারে প্রধান উপদেষদ্বা হয়েছেন। ইয়েস উদ্দিন হয়ে দেশ পরিচালনা করছেন। নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখতে পারেননি। সেনা তলব প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, দেশে এমন কী অবস্ট্থার সৃষদ্বি হয়েছে যে, শীতকালীন মহড়া থেকে তাদের নিয়ে আসতে হলো। আসলে রাষদ্ব্রপতি জনগণকে ভয় পান। এখন নাকি সেনাসদস্যদের বিশ্রামে রাখা হয়েছে। তা হলে তাদের তলব করা হলো কেন? তিনি বলেন, 'ইয়েস উদ্দিন' ব্যর্থ হয়েছেন। তাকে পদত্যাগ করতে হবে। ওই পদে থাকার তার কোনো অধিকার নেই। তিনি আজ (সোমবার) থেকে প্রধান উপদেষদ্বার পদে থাকতে পারবেন না।
সশস্ট্প বাহিনীসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, গণতান্পিক অধিকার রক্ষার দায়িত্দ্ব সবার। তাদেরও উচ্চমহৃল্যে দ্রব্যমহৃল্য কিনতে হচ্ছে। তাদেরও প্রিয় স্ট্বজন আছে। তারা এ দেশেরই সনস্নান। সুতরাং ভোট চোর ও দুর্নীতিবাজদের সঙ্গে থাকলে চলবে না। জনগণের পাশে থাকতে হবে। সেনাবাহিনীর কাজ স্ট্বাধীনতা-সার্বভৌমত্দ্ব রক্ষা করা। দুর্নীতিবাজ চোরদের পাহারা দেওয়ার কাজে তাদের রাখা যাবে না। তিনি দুর্নীতিবাজ ভোট চোরদের পাহারা না দেওয়ার আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা রাষদ্ব্র পরিচালনায় বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের ব্যর্থতার চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এরা 26 হাজার মানুষ খুন করেছে। গণতান্পিক অধিকার হরণ করেছে। পাঁচ বছরের বাজেটে বরাদ্দকৃত অর্থ লুটপাট করেছে। দেশের সমঙ্দ বিদেশে পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়ায় বাংলাদেশের ভাবমহৃর্তি ক্ষুণম্ন হয়েছে। তিনি আগামী দিনে সরকার গঠনের সুযোগ পেলে দুর্নীতি ও লুটের টাকা জনগণকে ফিরিয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
তিনি প্রসঙ্গত্রক্রমে আওয়ামী লীগ শাসনামলে দেশ-জাতির কল্যাণে বাস্টস্নবায়িত বিভিল্পম্ন পদক্ষেপের বর্ণনা দিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগ দেশকে খাদ্যে স্ট্বয়ংসমঙ্হৃর্ণ করেছে। বিদু্যৎ উৎপাদন বাড়িয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে। ওই সময়ে দ্রব্যমহৃল্য স্টি্থতিশীল ছিল। পরে জোট সরকারের অবদানে 10 টাকার চাল 25 টাকা হয়েছে। দ্রব্যমহৃল্য বাড়িয়ে তারা দু'লাখ 86 হাজার কোটি টাকা লুটে নিয়েছে।
বিজয়ের মাস ডিসেল্ফ্বরে বঙ্গবল্পব্দু, জাতীয় চার নেতা ও শহীদ মুক্তিযোদব্দাদের প্রতি শ্রদব্দা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সপরিবারে বঙ্গবল্পব্দু হত্যাকা ের পর বাঙালির আশা-আকাগ্ধক্ষার মৃতু্য ঘটে। গণতন্প বারবার হোঁচট খায়।
ঘড়ির কাঁটায় তখন বেলা 3টা। 14 দল সমল্প্বয়ক আওয়ামী লীগ সাধারণ সমঙ্াদক আবদুল জলিল মঞ্চে মাইকের সামনে এলেন। 14 দলের মহাসমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করলেন। এরপর কিছুক্ষণ নীরব থেকে নতুন ঘোষণা দিলেন আবদুল জলিল। বললেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ সংহতি জানাতে আসবেন খানিক পরেই। এ ঘোষণায় অবাক হলেন মহাসমাবেশে সমবেত সবাই।
এরশাদ আসবেন, এটা কারোরই জানা ছিল না। কৌশলগত কারণে চমকপ্রদ এ খবরটি অতি গোপনে রাখেন 14 দলের নীতিনির্ধারক শীর্ষ নেতারা। তাই অপ্রস্ট্তুত লাখো জনতা এরশাদের আগমনী খবর পেয়ে উল্ক্নসিত হলেন। বিপুল করতালির মাধ্যমে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন। 'জয় বাংলা, জয় বঙ্গবল্পব্দু' এবং আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক 'নৌকা, নৌকা' স্ট্নোগানে আশপাশ কাঁপিয়ে তুললেন।
সাবেক রাষদ্ব্রপতি এইচএম এরশাদ সোমবার পল্কল্টনে 14 দলের মহাসমাবেশে আসেন বেলা 3টা 35 মিনিটে। এর আগে যুবলীগ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির নানক মঞ্চে উঠে এরশাদের আগমনী বার্তা পেঁৗছে দেন নেতাদের কাছে। এরশাদের গাড়িবহরের প্রথমটিতে ছিলেন আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম। পরের গাড়িতেই ছিলেন এরশাদ। সঙ্গে ছিলেন জাতীয় পার্টি প্রেসিডিয়ামের দুই সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও জিয়া উদ্দিন বাবলু।
এরশাদকে মঞ্চ পর্যনস্ন এগিয়ে নেন আওয়ামী লীগ যুগ্গ্ম সাধারণ সমঙ্াদক ওবায়দুল কাদের, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সমঙ্াদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, স্ট্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও যুবলীগ সাধারণ সমঙ্াদক মির্জা আজম। এ সময় মহাসমাবেশের উপস্ট্থাপক আসাদুজ্জামান নহৃর সাবেক রাষদ্ব্রপতির উপস্টি্থতির ঘোষণা দেন। তখন আনন্দ তরঙ্গ ছড়িয়ে পড়ে সমবেত সবার মাঝে। ঢাকঢোল পিটিয়ে গগনবিদারী করতালির মাধ্যমে তারা এরশাদকে অভিনন্দিত করেন।
মঞ্চে পেঁৗছেই এরশাদ হাত উঁচিয়ে অভিনন্দনের জবাব দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতিম লীর দুই সদস্য আবদুর রাজ্জাক ও তোফায়েল আহমেদের মাঝখানে প্রথম সারিতে বসেন। কিছুক্ষণ পর তিনি সরে গিয়ে একানস্নে কথা বলেন আওয়ামী লীগ সভাপতিম লীর আরেক সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের সঙ্গে। সেখান থেকে তিনি আবদুল জলিলের পাশে বসে কুশল বিনিময় করেন।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বিকেল 4টা 10 মিনিটে মঞ্চে এসে পেঁৗছলে এইচএম এরশাদ এগিয়ে যান এবং সালাম বিনিময় করেন। শেখ হাসিনা মঞ্চের তিনদিকে ঘুরে হাসিমুখে হাত নেড়ে সমবেত লাখো জনতার অভিনন্দনের জবাব দেন। এ সময় আওয়ামী লীগ সভানেত্রীকে অনুসরণ করেন এরশাদ। তিনিও হাত নেড়ে জনতার প্রতি শুভেচ্ছা জানান। ওই সময় সাদা শার্টের ওপর সোয়েটার পরিহিত এরশাদকে বেশ উৎফুল্ক্ন দেখাচ্ছিল। মঞ্চে তিনি ছিলেন শেখ হাসিনার পেছনে।
14 দলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে একমাত্র জাসদ (ইনু) সভাপতি হাসানুল হক ইনুই জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানকে স্ট্বাগত জানিয়ে বক্তৃতা করেন। পরে তিনি এরশাদের সঙ্গে করমর্দনও করেন। হাসানুল হক ইনু সংবিধান লগ্ধঘন করে রাষদ্ব্রীয় ক্ষমতা দখলের অভিযোগ এনে এরশাদের বিরুদব্দে রাষদ্ব্রদ্রোহ মামলা করেছিলেন। ওয়ার্কার্স পার্টি সভাপতি রাশেদ খান মেননও হাত মিলিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন এরশাদের সঙ্গে।
এরশাদ ভাষণ দেন বিকেল 4টা 48 মিনিটে। তিনি দেশ পরিচালনা করতে গিয়ে তার ভুলের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। একই সঙ্গে তিনি অতীত ভুলে গিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান। এ সময় 1990-এর এরশাদবিরোধী গণঅভু্যত্থানের ছাত্রনেতা অসীম কুমার উকিল, নাজমুল হক প্রধান ও ফজলে হোসেন বাদশা হাস্যরসে মেতে থাকেন।
এরশাদের মহাসমাবেশে আসার খবরটি আগেই নিশ্চিত হন 14 দলের শীর্ষ নেতারা। সকালে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ধানম ির বাসভবন সুধা সদনে 14 দলের বৈঠকে মহা ঐক্যজোটে এরশাদের জাতীয় পার্টিকে সমঙ্ৃক্ত করার সিদব্দানস্ন চূড়ানস্ন হয়। ওই বৈঠক থেকেই শেখ হাসিনা টেলিফোন করেন এরশাদকে। তখনই এরশাদ 14 দলের মহাসমাবেশে সংহতি প্রকাশ করতে তার উপস্টি্থতির কথা জানান দেন।
এরশাদ আসার আগে তার ভাই জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিএম কাদের মঞ্চে এসে পেঁৗছলে তাকে স্ট্বাগত জানান সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ। মঞ্চে আসীন হাস্যোজ্জ্বল নেতৃবৃন্দ হাত বাড়িয়ে দেন। করমর্দন করেন জিএম কাদেরের সঙ্গে। এর পরপরই একে একে মঞ্চে আসেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর আহমদ, টিআইএম ফজলে রাব্বী, মোস্টস্নফা জামাল হায়দার, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, তাজুল ইসলাম চৌধুরী, গোলাম হাবিব দুলাল, নাসিম ওসমান, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মাহমুদ হাসান, করিম উদ্দিন ভরসা, নহৃর মোহাল্ফ্মদ ম ল, সোলায়মান ফকির, মোহাল্ফ্মদ আলী সরকার ও এমএ হাল্পম্নান।
বি. চৌধুরী ও অন্যরা
সাবেক রাষদ্ব্রপতি ও লিবারেল ডেমোত্রেক্রটিক পার্টির সভাপতি অধ্যাপক ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী মঞ্চে আসেন বিকেল 4টা 35 মিনিটে। ধহৃসর রংয়ের সু্যট পরিহিত বি. চৌধুরী সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
জাতীয় পার্টির পরেই মঞ্চে আসেন জাকের পার্টির চেয়ারম্যান পীরজাদা মোস্টস্নফা আমীর ফয়সল, ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ সিরাজুল কবির ও কায়সার হামিদ। এরপর আসেন ইসলামিক ফদ্ধন্টের চেয়ারম্যান সৈয়দ বাহাদুর শাহ মুজাহিদী আল আমিনী, ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা খন্দকার গোলাম মওলা এবং ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মেজবাউর রহমান চৌধুরী।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


