আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটে জাতীয় পার্টি শরিক হওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা বলেছেন, এবার আওয়ামী লীগের বিজয় সুনিশ্চিত। আন্দোলন, নির্বাচন এবং সরকার গঠনে এরশাদ শেখ হাসিনার সঙ্গেই থাকবেন। তিনি বলেন, মঞ্চে ওঠার আগে এবং মঞ্চ থেকে নামার পরও এরশাদের সঙ্গে আমার টেলিফোনে আলাপ হয়েছে। যারা এরশাদ সম্পর্কে অবিশ্বাস সন্দেহ ছড়াচ্ছেন তারা আসলে হিংসার আগুনে জ্বলছেন। বিদিশা বলেন, এরশাদ পৃথিবীতে সবচে বেশি ভালোবাসেন তার সনত্দান এরিককে। এরিকের মাথায় হাত রেখে 14 দলীয় জোটে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন এরশাদ, তিনি তার কথা রেখেছেন। আওয়ামী লীগের মহাজোটে যোগ দেয়ায় ভীষণ খুশি হয়েছে 5 বছরের শিশু সনত্দান এরিক, বললেন বিদিশা। বিদিশার ভাষায় আমার বাড়ির সব দেয়ালেই এরিক 'নৌকা' এঁকে রেখেছে। আওয়ামী লীগের জোটে বাবার যোগ দেয়ার আনন্দে গতকাল সকালেই এরিক বিদিশার কাছ থেকে ছুটে গেছেন এরশাদের কাছে। 14 দলীয় মহাজোটে এরশাদের জাতীয় পার্টি শরিক হওয়ার নেপথ্যে বিদিশার ভূমিকা ছিল কিনা জানতে চাইলে বিদিশা বলেন, ক্রেডিট নিতে চাই না, যারা বোঝার তারা বুঝবেন, সামনে আরো চমক আছে, অপেক্ষা করুন।
বিদিশা বলেছেন, দেড় বছর আগে এরশাদের সঙ্গে সংসার ভাঙলও তার সঙ্গে আমার মধুর সম্পর্ক রয়েছে। মহাজোটে আমি এরশাদের সাফল্য চাই। এক প্রশ্নের জবাবে বিদিশা বলেন, এরশাদ আরো আগেই 14 দলীয় জোটে যোগ দিতে চেয়েছিলেন কিন' রওশন এরশাদের ভয়ে তা করতে পারেননি। গতকাল দুপুরে গুলশানের নিকেতনের বাসায় আমাদের সময়ের এ প্রতিনিধিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বিদিশা আরো বলেনে, রওশন এরশাদ জিম্মি করে রেখেছিলেন এরশাদকে। পরিস্থিতি বুঝতে পেরে এরশাদ আত্দগোপনে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন। 18 ডিসেম্বরে মহাসমাবেশে দাঁড়িয়ে জাতির কাছে এরশাদের ক্ষমা চাওয়াকে তার উদারতা মনে করেন বিদিশা। এ প্রসঙ্গে বিদিশা বলেন, এরশাদ জাতির কাছে ক্ষমা চাইলেও আমার কাছে ক্ষমা চাননি। আমি ভুলে যাইনি দেড় বছর আগের সেই দুঃসহ স্মৃতির কথা। রাতে একসঙ্গে ঘুমিয়েছি, সকালে এরশাদ আমাকে আম খাওয়ালো তারপর মোবাইল চুরির অভিযোগ এনে কারাগারে পাঠালো। তারপরও এরশাদের মঙ্গল চান? বিদিশার জবাব হঁ্যা চাই, জাতির বৃহত্তর স্বার্থে চাই, আওয়ামী লীগের স্বার্থে চাই।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


