আফসানা আহমেদ ইভা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তার অপরাধ সে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মিছিলে যায়নি। সে বলেছে, সে ছাত্রলীগ করে না, সে কেন তাদের মিছিলে যাবে?? এটা সহ্য হয়নি ছাত্রলীগ নেতাদের। গতকাল মধ্যরাতে ইভাকে হল থেকে বিতাড়িত করে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। আর তাতে নীরব সম্মতি দেন হল প্রভোস্ট। নিশ্চুপ আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এবং উপাচার্য। কোন জায়গায় বিচার না পেয়ে সারা রাত প্রচন্ড ঠান্ডায় হলের বাইরে অবস্থান করে ইভা এখন হল গেটে আমরণ অনশনে বসেছে। এই হচ্ছে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় এবং তার গণতান্ত্রিক চরিত্র! ইভা হয়ে উঠুক সন্ত্রাস দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রতীক। সকল বিশ্ববিদ্যালয়েই শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে ক্ষমতাসীনরা তাদের রাজনৈতিক লাঠিয়াল হিসেবে ব্যবহার করছে। আর এর বিরুদ্ধে রুখে দাড়ালেই আছে গঞ্জনা, হুমকী-ধামকী এমনকি শারীরিক আক্রমণ। কিন্তু এই পরিস্থিতি কি অব্যাহত থাকবে?? শিক্ষার্থীরা কি পিঠ রক্ষা করতে গিয়ে মাথা বিক্রি করে দেবে?? নিজের বিবেক, মর্যাদাবোধ বিসর্জন দেবে?? ইভারা দেয়নি, এমন অজস্র ইভা ছাত্রদের মধ্যে লুকিয়ে আছে। তাদের সংগঠিত হওয়া আজ সময়ের প্রয়োজন।
পুনশ্চঃ 'দেশের কোথাও কোন প্রশ্ন ফাঁস হয়নি' কিংবা 'তার স্বপ্নের এবং তার কন্যার হাতে গড়া সোনার বাংলায় কি প্রশ্ন ফাঁস হতে পারে' এমন কথা যারা বলেন তেমন কেউ আবার বলে বসবেন না ওখানে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের দায়িত্ব ছাত্রদল এবং শিবিরকে দেয়া হয়েছিল, এটা তাদের কাজ! এমন কাজ ছাত্রলীগ করতেই পারেনা এটা তো তার(!!!???) হাতে গড়া সংগঠন।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৩০