মেয়েটির প্রবাস ফেরত স্বামী তার আঙুলগুলো কি দিয়ে কেটেছিলো অতোকিছু পেপারে লিখে নি, কাটার পর আঙুল গুলো ডাস্টবিনে ফেলে দেয়ার ঘটনায় আমরা তার স্বভাবের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার প্রমাণ পাই। ঘন্টাখানেক মেয়েটি ওভাবেই পড়ে থাকে, কাটা জায়গা থেকে অনবরত রক্ত গরায়। পৃথিবীর মানুষের সম্মিলিত নিষ্ঠুরতার ঘটনায় আরেকটি অধ্যায় যোগ হয়। বর্বর যন্তুটির কি বিচার আমাদের আইন করবে আমি জানি না, আদৌ বিচার করবে কি না তাও জানি না।
রক্তক্ষরণে মেয়েটি মারা গেলে পৃথিবী সম্পর্কে, মানুষ সম্পর্কে কি খারাপ ধারণাটাই না সে নিয়ে যেত। আমাদের ভাগ্য ভালো, সে বেচে আছে। শুধু বেচে আছে তা-ই না, ডাক্তারদের অনেক চেষ্টার পরে এখন সে তার আঙুলহীন হাত দিয়ে লিখতেও পারে, এবার মেয়েটি এইচ এস সি পরীক্ষার্থী।আমরা তার জীবনের সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করি।
হয়তো মেয়েটি তার জীবনের অন্ধকার এই অধ্যায় থেকে একদিন মুক্তি পাবে, কিমবা হয়তো আঙুলবিহীন হাতটি তাকে কখনোই আর স্বাভাবিক হতে দেবে না, কিন্তু এখন মনে হয় জাতি হিসেবে আমাদের নিজেদেরকে প্রশ্ন করার সময় এসে গেছে, ‘হোয়াটস রং উইথ আস?’ -আসলে আমাদের সমস্যাটা কি?মেয়েটির স্বামীর মতো লোকজন ক্রমেই আমাদের মধ্যে সুলভ হয়ে উঠছে। এটা চিন্তার কথা।
আমাদের এখন অনেক মানুষ দরকার, জনসংখ্যা সমস্যার এই ছোট্ট দেশটাতে জন্তু জানোয়ারের সংখ্যা আশংকাজনক ভাবে বেড়ে গিয়েছে। এখন আমরা কেবল একটাই স্বপ্ন দেখতে পারি, আর তা হল মানুষে মানুষে ভরে উঠছে এই জনপদ, এমন মানুষ যার আশ্রয়ে অন্য একটা মানুষ নিরাপদ, তার আশা-আনন্দ-বিশ্বাস আর ভালোবাসা নিরাপদ।তবে এই স্বপ্ন দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পড়লে হবে না, এই স্বপ্ন দেখতে দেখতে আমাদের জেগে উঠতে হবে।
ডেইলি স্টার লিংক
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:১১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




