somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জাগরণ মঞ্চ ভেঙে দেয়ার পক্ষে মত আওয়ামী লীগের

০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের কার্যক্রম ভেঙে দেয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। এই মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকারের দেয়া একটি বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। দলের নেতাদের তিনি জানিয়েছেন আবেগ দিয়ে দিয়ে আন্দোলন ও রাজনীতি হয় না। বাস্তবতা বুঝে রাজনীতি করতে হবে। গতকাল রাতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দলের করনীয় নির্ধারণ করতে শেখ হাসিনা নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। বৈঠকে প্রসঙ্গক্রমে গণজাগরণ মঞ্চের কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা হয়। গত ২৬শে মার্চ শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের আহ্বায়ক ডা. এমরান এইচ সরকার তার বক্তব্যে বলেন, ‘দুঃখের বিষয়, আমাদের দাবির ব্যাপারে সরকার কোন পদক্ষেপ নেয়নি। মনে হচ্ছে সরকারের টনক নড়েনি, সরকার ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে, যা প্রকারান্তরে গণমানুষের দাবিকে উপেক্ষা করার শামিল। এ দাবি উপেক্ষা করে সরকার যে স্পর্ধা দেখিয়েছে, তা নজিরবিহীন’
ইমরানের এ বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে দলের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, সদস্য আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বক্তব্য রাখেন। জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, সরকারের স্পর্ধা নিয়ে প্রশ্ন তোলার স্পর্ধা গণজাগরণ মঞ্চ পায় কোথায়? তাদের বক্তব্য কারা লিখে দেয় খুঁজে বের করেন। এসময় প্রেসিডিয়াম সদস্য নূহ উল আলম লেনিন বলেন, অনেকে মনে করেন আমি তাদের বক্তব্য লিখে দেই। আসলে তা সত্য নয়। আমিও মনে করে এখন আর এই মঞ্চ রাখা ঠিক না। দলের অপর প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী মঞ্চের কার্যক্রম দীর্ঘায়িত হওয়ার যুক্তি দিয়ে বলেন, ব্লগার রাজীব হত্যার পর মঞ্চের কার্যক্রম দীর্ঘায়িত হয়।
বৈঠকের শুরুতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী সূচনা বক্তব্য রাখেন। এরপর শুরু হয় রুদ্ধদ্বার বৈঠক। বৈঠকে হলমার্ক কেলেঙ্কারি, এবং নারায়ণগঞ্জে স্থানীয় আওয়মী লীগের বিভক্তির বিষয়টি উঠে। হলমার্ক বিষটি দল এবং সরকারের জন্য অস্বস্থির কারণ বলে জানান একাধিক নেতা। এসময় দলীয় সভানেত্রীও এ নিয়ে তার অসন্তোষের কথা জানান।
নারায়ণগঞ্জে দলীয় বিভক্তি মেটাতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন দায়িত্ব দেন। এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, এই বিরোধ না মেটাতে পারলে সামনে এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে জামায়াত বিএনপি বড় কোন ঘটনা ঘটাতে পারে।
মানবজমিন
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা

লিখেছেন নীলসাধু, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০২



গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×