somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কুরআন-হাদীছের আলোকে শবে বরাত - পর্ব ১৮

২৫ শে জুন, ২০১২ দুপুর ২:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

بسم الله الرحمن الرحيم

মুফতী মীযানুর রহমান সাঈদ

হাদীছের আলোকে শবে বরাত - ১০

গত কয়েক পর্বে আমরা শবে বরাতের ফযীলত সম্পর্কিত মোট এগারটি হাদীস উল্লেখ করে সেগুলোর কয়েকটিকে সহীহ বা হাসান প্রমাণ করেছিলাম। যদি শবে বরাতের ফযীলতের ব্যাপারে আর কোন হাদীস না থাকত, তবে এই হাদীসগুলোই এ রাতের ফযীলত সাব্যস্ত হওয়ার জন্য এবং এ রাতে মাগফেরাতের উপযোগী নেক আমলের গুরুত্ব প্রমাণিত হওয়ার জন্য যথেষ্ট হত।

এই পর্বে আমরা আরও একটি হাদীস সম্পর্কে আলোচনা করব এবং সাথে সাথে এই হাদীস সম্পর্কে মুহাদ্দিসীনদের মতামত পর্যালোচনা করব।

দ্বাদশ হাদীছ(حديث ضعيف)

আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেছেন, পাঁচটি রাত এমন আছে যে রাতগুলোতে দু'আ ফেরত দেয়া হয় না। জুমআর রাত, রজবের প্রথম রাত, শাবানের পনের তারিখ এর রাত এবং দু'ঈদের রাতে।

উক্ত হাদিছটি

১। হাফেয আব্দুর রাজ্জাক তাঁর মুসনাদে
২। ইমাম বায়হাকী তাঁর শুয়াবুল ঈমানে

রাবী পর্যালোচনা ও হাদীছটির অবস্থানঃ

হাফিয আব্দুর রাজ্জাক উক্ত হাদীছটি একজন অজ্ঞাত উস্তাদ থেকে তিনি ইবনুল বীলমানী এবং তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন।

১। তাঁর সরাসরি উস্তাদ অজ্ঞাত, অপরিচিত।

ইবনু বীলমানী এবং তাঁর পিতা সম্পর্কে মুহাদ্দিছদের মন্তব্য নিম্নে প্রদত্ত হলো।

২। মুহাম্মদ ইবনু আবদির রহমান আল বীলমানী।

তাঁর সম্পর্কে ইমাম দারাকুতনী বলেনঃ তিনি একজন দুর্বল রাবী।

হাফিয যাহাবী বলেনঃ মুহাদ্দিছগণ তাঁকে যঈফ বলেছেন।

হাফিয ইবনু হাজার বলেনঃ তিনি সপ্তম স্তরের একজন যঈফ রাবী।

( দেখুনঃ تقريب التهذيب খ-২, পৃ-১০৩ )

৩। আব্দুর রহমান আল বীলমানী।

ইমাম দারাকুতনী বলেনঃ

ضعيف لاتقوم به حجة

তিনি একজন দুর্বল রাবী। তাঁর হাদীছ দ্বারা দলীল পেশ করা যাবে না।

( তাক্বরীবুত তাহযীবঃ খ-১, পৃ-৫৬৩ )

ইমাম আবু হাতিম বলেনঃ তিনি " لين " অনির্ভরযোগ্য রাবী।

হাফিয ইবনু হাজার বলেনঃ তিনি তৃতীয় স্তরের একজন দুর্বল রাবী।

সুতরাং সনদের দিক দিয়ে হাদীছটি দুর্বল হলেও ফাযায়েলের ক্ষেত্রে এরূপ হাদীছ গ্রহণযোগ্য। এ ব্যাপারে কোন মতানৈক্য নেই।

উপরোক্ত বারটি হাদীছ সম্পর্কে আলোচনার নির্যাসঃ

এ সকল হাদীছের বিস্তারিত আলোচনা দ্বারা একথা দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট হয়ে উঠে যে, শবে বরাত সম্পর্কীয় হাদীছগুলো সূত্রের দিক দিয়ে বিভিন্ন স্তরের। কিছু হাদীছ হাসান (حسن) কিছু হাদীছ মুরসাল (مرسل) এবং কিছু হাদীছ যঈফ (ضعيف) স্তরের। কিন্তু এসব হাদীছকে সমষ্টিগত মিলালে হাদীছ শাস্ত্রের উসূল ও মূলনীতি অনুযায়ী হাদীছগুলো সহীহ কিংবা হাসান-এর (যা সহীহ'ই বটে) স্তরে উন্নীত হয়। আর এর দ্বারাই শবে বরাতের ভিত্তি ও ফযীলতের প্রমাণ মিলে। যা হঠকারিতা ছাড়া অন্য কোনভাবে অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। মুহাদ্দিছগণ যদিও কোন কোন হাদীছের দোষ ত্রুটি আলোকপাত করেছেন কিন্তু কেউ সেগুলোকে ভিত্তিহীন জাল হাদীছ বা অগ্রহণযোগ্য হাদীছ বলেন নি। যেহেতু প্রতিটি হাদীছ পরস্পর পরস্পরের জন্য সহযোগী স্বরুপ, সেহেতু মুহাদ্দিছীনে কেরামের সমালোচনামূলক এজাতীয় হাদীছ প্রমাণের জন্য কখনো অন্তরায় হতে পারে না। সর্বোপরি হাদীছগুলো যেহেতু ফাযাইলে আমাল এর সাথে সংশ্লিষ্ট, তাই হাদীছ শাস্ত্রের মূলনীতির দৃষ্টিকোণে এ বিষয়ে উদারতা প্রদর্শনের অবকাশ আছে এবং এর উপর আমল করার ক্ষেত্রে অমান্য করার কোন সুযোগ নেই।

অতএব উল্লেখিত বিস্তারিত পর্যালোচনার পর আমরা এ সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারি যে, শবে বরাতের সংশ্লিষ্ট এসব হাদীছ সহীহ। কিংবা অন্তত হাসান যা দলীল হিসেবে অবশ্যই গ্রহণযোগ্য। এর পরেও কেউ যদি চোখ বন্ধ করে বলে দেয় যে, শবে বরাতের হাদীছগুলো মওজু বা জাল কিংবা নিতান্তই দুর্বল অথবা এ উক্তি করে বসে যে, শবে বরাতের ফজীলতের কোন ভিত্তি নেই। তাহলে সে ব্যক্তি হাদীছ ও হাদীছের মূলনীতি সম্পর্কে একেবারে অজ্ঞ, সরাসরি স্পষ্ট ভুলে লিপ্ত এবং এ ধরণের উক্তি সহীহ ও হাসান হাদীছকে নয় শুধু বরং পুরো হাদীছশাস্ত্রকে অস্বীকার করারই নামান্তর।

শবেবরাতের হাদীছগুলোর ব্যাপারে মুহাদ্দিছীনে কেরামের অগ্রগণ্য ও চূড়ান্ত অভিমতঃ

প্রথম অভিমতঃ আল্লামা মুবারকপুরী

একারণেই হাফিয মুহাম্মদ আব্দুর রহমান ইবনু আব্দির রহিম আল মুবারকপূরী বলেছেনঃ

" জেনে রাখো যে, শবে বরাতের ফযীলত সম্পর্কে বিভিন্ন ধরণের হাদীছ এসেছে। যার ফলে শরীয়তে তার ভিত্তি আছে বলে বুঝা যায়। তন্মধ্য থেকে আলোচ্য অধ্যায়ের হাদীছ এবং আয়শা (রঃ) এর হাদীছ, মুআয (রঃ) এর হাদীছ, আব্দুল্লাহ ইবনু আমর (রঃ) এর হাদীছ এবং আলী (রঃ) এর হাদীছ। সুতরাং এসব হাদীছের সমষ্টি তাদের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট প্রমাণস্বরূপ যারা শরীয়তের মধ্যে শবে বরাতের কোন ভিত্তি নেই বলে মনে করে। "

( তুহফাতুল আহওয়াজীঃ খ-৩, পৃ-৪৪২, ১৩৫৩, দারুল ফিকির )

দ্বিতীয় অভিমতঃ আল্লামা আনওয়ার শাহ কাশ্মীরী (রহঃ)

মুহাদ্দিছুল আসর আল্লামা আনওয়ার শাহ কাশ্মীরী (রহঃ) বলেনঃ

" এ রাতটি বরাতের রাত। রাতটির ফজীলত সম্পর্কে সহীহ হাদীছসমূহে এসেছে। "

( আলারফুস শাযীঃ পৃ-১৫৬ )

তৃতীয় অভিমতঃ নাসির উদ্দীন আলবানী

নাসিরুদ্দীন আলবানী শবে বরাত সম্পর্কীয় সকল হাদীছ এক সাথে করে সেগুলোর সনদ নিয়ে বিস্তারিত পর্যালোচনা করেছেন এবং পর্যালোচনার শেষে তার সার নির্যাস পাঠকদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরেছেন এভাবেঃ

" সারকথা হলো এ সকল সূত্রের সমষ্টির কারণে (শবে বরাত সম্পর্কীয়) হাদীছ নিঃসন্দেহে সহীহ। কোন হাদীছ অত্যধিক দুর্বলতা থেকে নিরাপদ হলে এর চেয়ে কম সূত্রের মাধ্যমে সহীহ প্রমাণিত হয়। যেমনটি আয়শা (রঃ) এর বর্ণিত হাদীছটি যা অত্যধিক দুর্বলতা থেকে নিরাপদ। সুতরাং কাসেমী হাদীছ পর্যালোচক ও সমালোচকদের থেকে নকল ইসলাহুল মাসাজিদ গ্রন্থে যা উল্লেখ করেছেন যে, শবে বরাতের ফযীলত সম্পর্কে কোন সহীহ হাদীছ নেই। তার এ কথার উপর আস্থা রাখা উচিত নয়। "

( সিলসিলাতুল আহাদিসা সহীহাঃ খ-৩, পৃ- ১৮৩ )

চতুর্থ অভিমতঃ শাইখ শুয়াইব আল আরনাউত

সময়কালীন বিশিষ্ট হাদীছ পর্যালোচক শাইখ শুয়াইব আল আর নাউত মুসনাদে আহমদের টীকায় আব্দুল্লাহ বিন আমর (রঃ) কর্তৃক শবে বরাতের হাদীছটির উপর মন্তব্য করতে গিয়ে বলেনঃ

" হাদীছটি তার সহযোগী হাদীছগুলো দ্বারা সহীহ বলে বিবেচিত। সহযোগী হাদীছগুলো হচ্ছে

১। আয়শা (রঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীছ
২। মুআয বিন জাবাল (রঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীছ
৩। আবু মূসা আল আশআরী (রঃ) এর হাদীছ
৪। আবু বকর (রঃ) এর হাদীছ
৫। আবু ছালাবাহ আল খুশানী (রঃ) এর হাদীছ
৬। আবু হুরায়রা (রঃ) এর হাদীছ
৭। আউফ বিন মালিক এর হাদীছ

এ সকল সহায়ক বা সমর্থক হাদীছের প্রত্যেকটির সূত্রের মধ্যে যদিও কিছু অসুবিধা আছে তবে এসব হাদীছের সমষ্টি দ্বারা মূল হাদীছ সহীহ ও শক্তিশালী বলে সাব্যস্ত হয়েছে। সুতরাং কাসেমী (রহঃ) হাদীছ পর্যালোচক ও সমালোচকদের থেকে ইসলাহুল মাসাজিদ গ্রন্থে যা উল্লেখ করেছেন যে, মধ্য শা'বানের রাতের ফজীলত সম্পর্কে সহীহ হাদীছ নেই এর অর্থ হলো এ ব্যাপারে কোন হাদীছ সহীহ সূত্রে প্রমাণিত নেই। কিন্তু সবগুলো হাদীছের সমষ্টিগত সূত্রের দ্বারা হাদীছগুলো পরস্পরে শক্তিশালী ও মজবুত হয়ে বিষয়টি প্রমাণিত এতে কোন সন্দেহ নেই। "

( মুসনাদে আহমদঃ খ-১১, পৃ-১৬, ৬৬৪২ )

আল্লামা ইবনে তাইমিয়্যা বলেনঃ

" এ রাতের ফজীলতে বেশ কিছু মরফূ হাদীস এবং আছার বর্ণিত আছে যে প্রমাণ করে যে এ রাতটি ফজীলতপূর্ণ। পূর্ববর্তীদের কেউ কেউ এ রাতে বিশেষভাবে সালাত আদায় করতেন। ... যে মতের উপর আমাদের মাযহাবের বা অন্যান্য মাযহাবের বহু সংখ্যক বরং বেশিরভাগ আলেম রয়েছেন তা হলো এই রাতটি অন্যান্য রাতের উপর ফজীলত রাখে। ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল এর স্পষ্ট কথার মাধ্যমে এটিই জানা যায়। আর যেহেতু এ বিষয়ে একাধিক হাদীস বর্ণিত হয়েছে এবং পূর্ববর্তীদের আমল সেসকল হাদীসকে সত্যয়ন করে। "

( ইক্তিদাউস সিরাত আল মুস্তাকিম )

আহলে হাদীস/সালাফী ভাইদের কাছে প্রশ্ন ও দাওয়াতঃ

উপরোক্ত আলোচনা থেকে বুঝা যায় যে, আহলে হাদীস বা সালাফীদের সবচেয়ে গণ্যমান্য ইমাম, শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়্যা শবে বরাতের ফজীলতকে স্বীকার করেছেন এবং এ রাতে সলফে সালেহীনরা ইবাদত করেছেন বলেও উল্লেখ করেছেন।

অন্যদিকে হাদীসের তাহকিক তথা বিচার বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে সালাফী/আহলে হাদীছ ভাইরা যার সবচেয়ে বেশি ভক্ত, যার কিতবাদি অনুবাদ করে আপনারা প্রচার করে থাকেন, সময়কালের বিশিষ্ট মুহাদ্দিছ নাসিরউদ্দীন আলবানীও (রহঃ) শবে বরাতের ফজীলত সম্পর্কিত সহীহ হাদীস আছে বলে উল্লেখ করেছেন এবং যারা বলে থাকেন শবে বরাত সম্পর্কিত কোন সহীহ হাদীস নেই, তাদের মতকে ভুলও বলেছেন।

নাসিরউদ্দীন আলবানীর অন্যতম শিষ্য শায়খ শুয়াইব আল আরনাউত এবং আহলে হাদীসের অন্যতম প্রসিদ্ধ আলেম আল্লামা মুবারকপুরীও শবে বরাতের ফজীলতের ভিত্তি আছে বলে মত প্রকাশ করেছেন।

তাই আপনাদের কাছে আমার প্রশ্ন, তাহলে কেন আপনারা বার বার বলেন যে, শবে বরাতের ফযীলত নিয়ে কোন সহীহ হাদীস বা হাসান হাদীসও বর্ণিত নেই ??

সালাফী বা আহলের হাদীসের ঐসব বন্ধুদের প্রতি দাওয়াত রইল, আপনারা আল্লামা ইবনে তাইমিয়্যা (রহঃ), শায়খ আলবানী (রহঃ) এর গবেষণা ও সিদ্ধান্ত থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন। আমি ওই সব ভাইদের কাছে বিনীতভাবে আরজ করতে চাই যে, আপনারা যদি শায়খ ইবনে বাযের (রহঃ) অনুসরণে বা নিজেদের তাহ্কীক মতো এই রাতের ফযীলতকে অস্বীকার করতে পারেন তাহলে যারা উপরোক্ত মুহাদ্দিস ও ফকীহগণের অনুসরণে উল্লেখিত হাদীসটির ভিত্তিতে এই রাতের ফযীলতের বিশ্বাস পোষণ করেন এবং সব ধরণের বেদআত রসম-রেওয়াজ পরিহার করে নেক আমলে মগ্ন থাকার চেষ্টা করেন তারাই এমন কি অপরাধ করে বসলেন যে, আপনাদেরকে তাদের পেছনে লেগে থাকতে হবে? এবং এখানকার উলামায়ে কেরামের দলীলভিত্তিক সিদ্ধান্তের বিপরীতে অন্য একটি মত যা ভুলের সম্ভাবনার উর্ধ্বে নয়, তা সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রচার করে তাদেরকে আলেম-উলামার সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আস্থাহীন করা এবং বাতিলপন্থিদের মিশন সফল করতে সহায়তা দেওয়া কি সত্যিকার অর্থেই খুব বেশি প্রয়োজন? এতে তো কোন সন্দেহ নেই যে, আপনারা আপনাদের মতটিকে খুব বেশি হলে একটি ইজতেহাদী ভুল-ভ্রান্তির সম্ভাবনাযুক্তই মনে করেন এবং নিশ্চয়ই আপনারা আপনাদের মতটিকে একেবারে ওহীর মতো মনে করেন না। একটু ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করুন, এরপর আপনাদের এই অবস্থানের যৌক্তিক কোন ব্যাখ্যা আর থাকে কি না?

আপনাদের প্রতি আমার সর্বশেষ অনুরোধ এই যে, দয়া করে এ রাতের ফযীলত ও আমল সম্পর্কে শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া (রহঃ) [মৃ. ৭২৮ হিঃ] এর ইক্তিযাউস সিরাতিল মুস্তাকিম/৬৩১-৬৪১ এবং ইমাম যায়নুদ্দীন ইবনে রজব (রহঃ) [মৃ. ৭৯৫] এর লাতায়েফুল মাআরেফ ১৫১-১৫৭ পড়ুন এবং ভেবে দেখুন যে, তাদের এই দলীলনির্ভর তাহকীক অনুসরণযোগ্য, না শায়খ ইবনে বায (রহঃ) এর একটি আবেগপ্রসূত মতামত? যা হয়ত তিনি শবে বরাত নিয়ে জাহেল লোকদের বাড়াবাড়ির প্রতিকার হিসেবেই ব্যক্ত করেছেন। কিন্তু এ কথা স্পষ্ট যে, বাড়াবাড়ির প্রতিকার কোন বাস্তব সত্য অস্বীকার করে নয়; বরং সত্য বিষয়টির যথাযথ উপস্থাপনের মাধ্যমেই হয়ে থাকে।

(চলবে ইনশাল্লাহ)

( পরবর্তী পর্বঃ হাদীছের আলোকে শবেবরাতের ফজীলত ও আমলসমূহ )

১৭ তম পর্ব
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মুসলিম কি সাহাবায়ে কেরামের (রা.) অনুরূপ মতভেদে লিপ্ত হয়ে পরস্পর যুদ্ধ করবে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৯




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্পঃ অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১২

(১)
মাছ বাজারে ঢোকার মুখে "মায়া" মাছগুলোর উপর আমার  চোখ আটকে গেল।বেশ তাজা মাছ। মনে পড়লো আব্বা "মায়া" মাছ চচ্চড়ি দারুণ পছন্দ করেন। মাসের শেষ যদিও হাতটানাটানি চলছে তবুও একশো কুড়ি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×