স্রষ্টার অস্তিত্বের প্রমাণ চান?
কোন যুক্তির ওপর ভিত্তি করে, স্রষ্টার অস্তিত্বের প্রমাণ দিলে, আপনি বিশ্বাস করবেন যে, স্রষ্টা আছেন।
আপনি যদি প্রমাণ করতে চান যে, আলো = সত্য।
তবে আপনাকে ধরে নিতে হবে, অন্ধকার = মিথ্যা।
শুধু প্রমাণের খাতিরে ধরে নিলাম, অন্ধকার = মিথ্যা। তবে এটা কিন্তু প্রমাণিত সত্য নয়। আমরা কল্পনা করে নিচ্ছি, অন্ধকার = মিথ্যা।
ধরা যাক, আলো = সত্য। (প্রমাণিত)
কিন্তু আমরা ধরে নিয়েছিলাম, অন্ধকার = মিথ্যা। কাজেই এখন যদি অন্ধকার = মিথ্যা না হয় তবে আমাদের প্রমাণ উল্টে যাবে। আর আমাদের হাতে কোন প্রমাণ নেই যে, অন্ধকার = মিথ্যা। প্রমাণের খাতিরে আমরা ধরে নিয়েছিলাম অন্ধকার = মিথ্যা, এটা আমাদের কল্পনা মাত্র।
আবার অন্ধকার = মিথ্যা প্রমাণ করতে চাইলে আপনাকে প্রথমে অন্য কোন বিষয় ধরে নিতে হবে। মানে দাড়াল, চলকের মাধ্যমে ধ্রুবকের অস্তিত্বের প্রমাণ, যা কখোনোই সম্ভবই নয়।
আপনি কি গাণিতিক যুক্তির ওপর নির্ভর করতে চান?
বিশেষ একটি প্রক্রিয়ায় প্রমাণ করা যায় যে, ২ + ২ = ৫। অবশ্য সেখানে ২ টি মানের উদ্ভব হয়।
১. ধনাত্নক
২. ঋণাত্নক।
ধনাত্নক মান নিলে, ২ + ২ = ৪।
ঋণাত্নক মান নিলে, ২ + ২ = ৫। (অগ্রহণযোগ্য)
অর্থ্যাৎ, বাস্তবতার সাথে বৈপরীত্য সৃষ্টি করে বলে, আমরা গাণিতিকভাবে প্রমাণিত সত্যকে অগ্রহণযোগ্য বলে এড়িয়ে যেতে চাইছি।
আমি যদি এখন স্রষ্টার অস্তিত্বের তর্কাতীত প্রমান দিই তবে আপনি স্বীকার করতে বাধ্য হবেন। কিন্তু স্রষ্টার অস্তিত্বের মূল ভিত্তিই বিশ্বাস। তাকে যদি প্রমাণ করা যায় তবে বিশ্বাস করার প্রশ্নই আসে না। আর যেখানে বিশ্বাস নেই সেখানে বাস্তবিকই স্রষ্টা অস্তিত্বহীন।
স্রষ্টাকে তখনই অনুধাবন করতে পারবেন যদি তাকে বিশ্বাস করেন। বিশ্বাস ব্যতীত অনুধাবন করা যাবে না এবং তা সম্ভবও নয়।। কারন, আপনি যাকে বিশ্বাসই করেন না তাকে অনুধাবন করবেন কিভাবে?
যুক্তির পর যুক্তি এবং তর্কের পর তর্ক চলতে থাকবে। সমাধান পাওয়া যাবে কি?
চলুন একটি সমাধানে যাওয়া যাক।
আপনি বলছেন, স্রষ্টা নেই। আমি আপনার সাথে একমত। আসলেই তিনি নেই। কারন, স্রষ্টা নির্বস্তুক, নিরাকার।
তৌসিক আহম্মেদ। ছাত্র।
ব্লগ লিংক: http://www.somewhereinblog.net/blog/tausiq
ইমেইল অ্যাড্রেস: [email protected]