বেলুন
বেলুনে আকাশ ভ্রমণ শুর হয় সপ্তদশ শতকের শেষে। শুরু করেন ফ্রান্সের মন্টগলর্ফি। ১৭৮৩ সালের ৪ জুন ফ্রান্সের এনোনে তারা কাপড়ের তৈরি বেলুনে ধোঁয়া ভরে প্রথম বেলুনটি আকাশে ওড়ান। সে বছরই ২১ সেপ্টেম্বর আরেক ফরাসী বিজ্ঞানী জা ফ্রাঁসোয়া পিলাত্রে ডি রোজিয়ের প্রথম মানববাহী বেলুনে চড়ে ৮০ ফুট ওপরে ঘুরে আসেন। ঠিক তার প্রায় একশ বছর পর ১৮৭৫ সালের ৭ জুন বেলুনে চড়ে প্রথম ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেন ফরাসি জঁপিয়ের ব্লাংর্কাড ও আমেরিকান চিকিৎসক জন জেফ্রিক । ১৯৩১ সালে জার্মানীর অ্যাসবার্গে বায়ুমন্ডলের স্ট্রাটোস্ফয়ার অবধি প্রথম বেলুন নিয়ে যান সুইস চিকিৎসক অগুস্ত পিকার ও তার সহকারী। ১৯৭৮ সালে বেলুনে চড়ে প্রথম আটলান্টিক পাড়ি দেন বেন আব্র“জো, ম্যাক্সি এন্ডারসন ও ল্যারি নিউম্যান। এরপর ১৯৮১ সালের নভেম্ভরে প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দেন আব্র“জো ও নিউম্যান।
১৯৯৫ সালের ফেব্র“য়ারিতে একা বেলুনে চড়ে প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দেওয়ার ঘটনাটা ঘটান ফসেট। দণি কোরিয়ার সিউল থেকে সাসকাচিওয়ানের মেন্ডহামে নামেন তিনি। তার বেলুনটির নাম ছিল ‘সলো স্পিরিট’। এটি ছিল ৪৩ মিটার লম্বা ও ১৮ মিটার চওড়া। বেলুনটিতে হিলিয়াম ও গরম বাতাসের পরিমাণ ছিল সাড়ে ৫ লাখ ঘনফুট হিলিয়াম এবং ১ লাখ ঘনফুট বাতাস। এটির ডিজাইনার ছিলেন ডোনাল্ড ক্যামেরন এবং এর নির্মাতা সংস্থা ইংল্যান্ডের ব্রিস্টলের ক্যামেরন বেলুন লিমিটেড। এছাড়া আফ্রিকাতেও প্রথম পাড়ি দেন ফসেট ১৯৯৭ সালের জানুয়ারিতে। ১৯৯৯ সালের মার্চে বেলুনে চড়ে প্রথম বিশ্ব পরিক্রমায় সফল হন অগুস্তের নাতি সুইস পাইলট বার্ট্রান্ড পিকার ও ইংরেজ পাইলট ব্রায়ান জোন্স।
বেলুনের কোন ইঞ্জিন নেই, কেবল বাতাসের শক্তিতেই ওড়ে। তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্যে একজোড়া ব্যাটারি দিয়ে ক্যাপসুলের ভেতরের তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৭০ ফারেনহাইটের ওপর রাখা হয়। ক্যাপসুলের বাইরে ৪০ ট্যাংক ফুয়েল থাকে । এই ফুয়েল পুড়ে হিলিয়াম গরম হয়ে বেলুনকে উড়তে সাহায্য করে। পাইলট স্টিয়ারিং ঘুরিয়ে বেলুনের গতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। আবার কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত অটোপাইলটের মাধ্যমে ক্রমাগত ওপরে উঠে যেতে পারেন। এ সময় পাইলট ইচ্ছা করলে বিশ্রাম নিতে পারেন। নেভিগেশনের জন্যে বেলুনের আংশ আর দ্রাঘিমাংশের অবস্থান জানতে ব্যবহার করা হয় গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম। সলোস্পিরিট আর মিশন কন্ট্রোলের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে থাকে ইনমারস্যান্ট বি স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন। এর ব্যাকআপ হিসেবে ইনমারস্যান্ট মিনি এম স্যাটেলাইট টেলিফোন এবং এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগের জন্যে ব্যবহার করা হয় হাইফ্রিকোয়েন্সি।
আলোচিত ব্লগ
জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না
নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন
যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা
সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন
ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১
নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন
হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়
সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।
হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন
আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই
সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন