খোপা করার পরও তার পিঠের অনাবৃত অংশে কয়েকটি চুল লেপ্টে থাকে। বিন্দু বিন্দু জলকণা একই ভাবে তার নাকের সাথে সখ্য করে। মাঝে মাঝেই মৃদুমন্দ বাতাস আমাকে পাশ কাটিয়ে ওর শরীর ছুঁয়ে দিয়ে যায়। শেষ দুপুরে সূর্যের তেরছা আলো তাকে উষ্ণ আলিঙ্গন করতে খোঁজে। প্রকৃতি তার সর্বস্ব নিয়ে এই রূপবতীর প্রেমে পড়ে। কাছেই সুবিশাল বটবৃক্ষ সুশীতল ছায়া মেলে মেয়েটির সঙ্গ কামনা করে। অথচ কি জানি কি ভেবে সে সবকিছু বাদ দিয়ে আমার ছায়ায় আড়াল হয়। আমি দাড়ালেই সে দাড়ায়। হাটলেই তাল মিলিয়ে হাটে। এক মহা ক্ষমতাধর প্রকৃতি আমার মত সামান্য এক জনের কাছে পরাজিত হয়। এই আনন্দ আমি কোথায় রাখি!
সে থেকে গেল আমার জীবনে। রূপকথার সেই রাজকন্যা মর্ত্যের এই আমার জীবনটা দখল করলো। তার জন্য যতই গোছাই ততই আরও এলোমেলো হয়ে যাই। তাতে তার ধৈর্যের উনিশ বিশ হয়না। মাঝে মাঝে মনে হয় আমি নই, বরং সেই আমাকে টেনে নিয়ে গেছে তার রূপকথার রাজ্যে। তার সেই রাজ্যে কাশ বন আছে, সাদা শিফনের শাড়ি পরে সে তাতে মিলিয়ে যায়। তখনই কেউ একজন তাকে খুঁজতে দৌড় শুরু করে। সেই একজনটা কি আমি? - আমার প্রশ্ন আর তার কল্পনা একত্রে মিলায়। রাগ রাগ চোখে সে তাকায়। বড় ভালো লাগে। ফিসফিস করে বলি, তোমাকে কাশবনে ঢুকতে দিবো না। যদি হারিয়ে যাও! সে হাসে খিলখিল করে।
তার কথাবার্তা কখনো আমার কাছে অসংলগ্ন লাগেনি। মনে হয় নি তার এই অকপট, বাঁধভাঙ্গা অনুভূতিগুলোর মধ্যে কোন কিন্তু থাকতে পারে। বরং তার পাগলামি গুলোকে বড় আপন মনে হয়। একদিন তাই সে যখন কিছু একটা বলতে ইতস্তত করছিল তখন আমি চমকে উঠি। তার জীবনের এমন একটা ঘটনা সে নাকি আমার কাছ থেকে গোপন করেছে। সেটা বলতে সে এত ইতস্তত করছে কেন? আমার ভীষণ অস্বস্তি হয়। (to be continued)

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



