‘সবার অনেক আদর পেয়েছি’
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
প্রথম আলোর খেলার পাতায় এই ছোট মেয়েটির সাক্ষাৎকার পরে মজা ও ভালো লাগলো। তাই শেয়ার করলাম।
নতুন শ্যুটার গড়ে তোলার বিশেষ কর্মসূচি নিয়েছে শ্যুটিং ফেডারেশন। তারই অংশ হিসেবে আজ গুলশান শ্যুটিং কমপ্লেক্সে শেষ হচ্ছে ১০৫ কিশোর-কিশোরীকে নিয়ে সপ্তাহব্যাপী প্রশিক্ষণ। এই কর্মসূচিতে সবচেয়ে ছোট শ্যুটার ১১ বছরের মাহফুজা খাতুন (রিতু) এসেছে রাজশাহী রাইফেল ক্লাব থেকে। একদিন বড় শ্যুটার হওয়ার স্বপ্ন সপ্তম শ্রেণীতে উঠতে যাওয়া এই কিশোরীর
এই ক্যাম্পে তুমিই তো সবার ছোট। নিশ্চয়ই সবার আদর পাচ্ছ?
মাহফুজা খাতুন: (লাজুক মুখ) হ্যাঁ, সবার অনেক আদর পেয়েছি। এখানে অনেক আপু, ভাইয়ারা আমাকে ডেকে অনেক কথা জিজ্ঞেস করেছে। আমার খুবই ভালো লাগছে।
আগে কখনো ঢাকায় এসেছিলে? এখানে কি বেশি ভালো লাগল?
মাহফুজা: ঢাকায় এই প্রথম এলাম। ঢাকার আবহাওয়াটা অনেক সুন্দর। রাজশাহীর চেয়ে এখানে ঠান্ডা কম। তাই বেশি ভালো লাগে। তবে অনেক জ্যাম।
শ্যুটিংয়ে আগ্রহী হলে কেন?
মাহফুজা: বিকেএসপিতে পরীক্ষা দেওয়ার পর শ্যুটিংয়ে টিকেছি। সামনেই বিকেএসপি যাব। আমার ক্লাস টেনে পড়া একমাত্র ভাইও বিকেএসপিতে চান্স পেয়েছে। এ জন্য আগ্রহটা আরও বেশি এখন।
এখানে আসার আগে কখনো শ্যুটিং করেছ?
মাহফুজা: না সেভাবে করিনি। তবে মা-বাবার অনেক আগ্রহ। তাঁরা শিখতে বলেছেন। রাজশাহী রাইফেল ক্লাবে যাই এখন। একটা মজার কথা বলি, আমি দুবার পাখি মেরেছি রাইফেল দিয়ে। আমার নানুর বাড়িতে রাইফেল ছিল। মামা পাখি মারতেন। তাঁকে দেখে বললাম, আমিও একটা পাখি মারব। পুকুরপাড়ে এক গুলিতেই একটা পাখি মারলাম (হা হা হা)।
ঢাকায় কয়েক দিন ক্যাম্প করার অভিজ্ঞতা কেমন হলো?
মাহফুজা: ভালোই অভিজ্ঞতা হয়েছে। রাইফেলটা ওপরে রাখতে হলে কী করতে হবে, কীভাবে ধরতে হবে, এগুলো এখানে ভালোভাবে শিখেছি। এর আগে ডিসকভারি চ্যানেলে শ্যুটিং দেখেছি। দেখে আগ্রহ জন্মেছে। সব মিলিয়ে খুবই ভালো কেটেছে কটা দিন।
অন্য খেলার সঙ্গে শ্যুটিংয়ের কী পার্থক্য?
মাহফুজা: এই খেলায় খাটুনিটা কম। আমাদের মতো মেয়ের পক্ষে তো দৌড়ঝাঁপ করা সম্ভব নয়। ছেলেরা এমনিতে বেশি উত্তেজিত হয়ে যায়। মেয়েরা বেশি শান্ত থাকে, মেয়েদের জন্য এই খেলাটাই ভালো।
এমনিতে তোমার এলাকার লোকজন কী বলে?
মাহফুজা: আমি বাসা থেকে তেমন বের হই না। তবে এলাকার লোকজন জানে আমি শ্যুটিং শিখি। আমি যাদের সঙ্গে প্রাইভেট পড়ি, একটা ছেলে আমাকে জিজ্ঞেস করেছে, তুই নাকি শ্যুটিং করিস? আমি বললাম, হ্যাঁ। বলল, তোর যে চেহারা, আবার শ্যুটিং! আমি বলেছি, তুই তো একটা মূর্খ রে...। এই শ্যুটিং এটা সেই শ্যুটিং না।
এখন তো নাচ, গান, মডেলিংয়ে বেশি আগ্রহী মেয়েরা। তোমার খেলার আগ্রহটা কীভাবে জন্মাল? তা-ও আবার শ্যুটিং!
মাহফুজা: আমি চাই, একজন খেলোয়াড় হতে। তার জন্যই এসেছি। তবে আমি গানও শিখি, যেমন নজরুল, লালনগীতি। গান শেখার সময় সবাই বিরক্ত করে, একটা গান...একটা গান গাও। কিন্তু শ্যুটিং করলে তো কেউ বলবে না শ্যুটিং করে দেখাও, শ্যুটিং করে দেখাও। হাতে সব সময় রাইফেল থাকবে না। তার জন্যই শ্যুটিং আমার বেশি ভালো লাগে।
তোমাদের অনেকের নাকি এখান থেকে যেতেই ইচ্ছে করছে না?
মাহফুজা: একদম ঠিক বলেছেন। আমার মোটেও যেতে ইচ্ছে করছে না। ফেডারেশন ডাকলে আবার আসব। মনটা এখানেই পড়ে থাকবে।নতুন শ্যুটার গড়ে তোলার বিশেষ কর্মসূচি নিয়েছে শ্যুটিং ফেডারেশন। তারই অংশ হিসেবে আজ গুলশান শ্যুটিং কমপ্লেক্সে শেষ হচ্ছে ১০৫ কিশোর-কিশোরীকে নিয়ে সপ্তাহব্যাপী প্রশিক্ষণ। এই কর্মসূচিতে সবচেয়ে ছোট শ্যুটার ১১ বছরের মাহফুজা খাতুন (রিতু) এসেছে রাজশাহী রাইফেল ক্লাব থেকে। একদিন বড় শ্যুটার হওয়ার স্বপ্ন সপ্তম শ্রেণীতে উঠতে যাওয়া এই কিশোরীর
এই ক্যাম্পে তুমিই তো সবার ছোট। নিশ্চয়ই সবার আদর পাচ্ছ?
মাহফুজা খাতুন: (লাজুক মুখ) হ্যাঁ, সবার অনেক আদর পেয়েছি। এখানে অনেক আপু, ভাইয়ারা আমাকে ডেকে অনেক কথা জিজ্ঞেস করেছে। আমার খুবই ভালো লাগছে।
আগে কখনো ঢাকায় এসেছিলে? এখানে কি বেশি ভালো লাগল?
মাহফুজা: ঢাকায় এই প্রথম এলাম। ঢাকার আবহাওয়াটা অনেক সুন্দর। রাজশাহীর চেয়ে এখানে ঠান্ডা কম। তাই বেশি ভালো লাগে। তবে অনেক জ্যাম।
শ্যুটিংয়ে আগ্রহী হলে কেন?
মাহফুজা: বিকেএসপিতে পরীক্ষা দেওয়ার পর শ্যুটিংয়ে টিকেছি। সামনেই বিকেএসপি যাব। আমার ক্লাস টেনে পড়া একমাত্র ভাইও বিকেএসপিতে চান্স পেয়েছে। এ জন্য আগ্রহটা আরও বেশি এখন।
এখানে আসার আগে কখনো শ্যুটিং করেছ?
মাহফুজা: না সেভাবে করিনি। তবে মা-বাবার অনেক আগ্রহ। তাঁরা শিখতে বলেছেন। রাজশাহী রাইফেল ক্লাবে যাই এখন। একটা মজার কথা বলি, আমি দুবার পাখি মেরেছি রাইফেল দিয়ে। আমার নানুর বাড়িতে রাইফেল ছিল। মামা পাখি মারতেন। তাঁকে দেখে বললাম, আমিও একটা পাখি মারব। পুকুরপাড়ে এক গুলিতেই একটা পাখি মারলাম (হা হা হা)।
ঢাকায় কয়েক দিন ক্যাম্প করার অভিজ্ঞতা কেমন হলো?
মাহফুজা: ভালোই অভিজ্ঞতা হয়েছে। রাইফেলটা ওপরে রাখতে হলে কী করতে হবে, কীভাবে ধরতে হবে, এগুলো এখানে ভালোভাবে শিখেছি। এর আগে ডিসকভারি চ্যানেলে শ্যুটিং দেখেছি। দেখে আগ্রহ জন্মেছে। সব মিলিয়ে খুবই ভালো কেটেছে কটা দিন।
অন্য খেলার সঙ্গে শ্যুটিংয়ের কী পার্থক্য?
মাহফুজা: এই খেলায় খাটুনিটা কম। আমাদের মতো মেয়ের পক্ষে তো দৌড়ঝাঁপ করা সম্ভব নয়। ছেলেরা এমনিতে বেশি উত্তেজিত হয়ে যায়। মেয়েরা বেশি শান্ত থাকে, মেয়েদের জন্য এই খেলাটাই ভালো।
এমনিতে তোমার এলাকার লোকজন কী বলে?
মাহফুজা: আমি বাসা থেকে তেমন বের হই না। তবে এলাকার লোকজন জানে আমি শ্যুটিং শিখি। আমি যাদের সঙ্গে প্রাইভেট পড়ি, একটা ছেলে আমাকে জিজ্ঞেস করেছে, তুই নাকি শ্যুটিং করিস? আমি বললাম, হ্যাঁ। বলল, তোর যে চেহারা, আবার শ্যুটিং! আমি বলেছি, তুই তো একটা মূর্খ রে...। এই শ্যুটিং এটা সেই শ্যুটিং না।
এখন তো নাচ, গান, মডেলিংয়ে বেশি আগ্রহী মেয়েরা। তোমার খেলার আগ্রহটা কীভাবে জন্মাল? তা-ও আবার শ্যুটিং!
মাহফুজা: আমি চাই, একজন খেলোয়াড় হতে। তার জন্যই এসেছি। তবে আমি গানও শিখি, যেমন নজরুল, লালনগীতি। গান শেখার সময় সবাই বিরক্ত করে, একটা গান...একটা গান গাও। কিন্তু শ্যুটিং করলে তো কেউ বলবে না শ্যুটিং করে দেখাও, শ্যুটিং করে দেখাও। হাতে সব সময় রাইফেল থাকবে না। তার জন্যই শ্যুটিং আমার বেশি ভালো লাগে।
তোমাদের অনেকের নাকি এখান থেকে যেতেই ইচ্ছে করছে না?
মাহফুজা: একদম ঠিক বলেছেন। আমার মোটেও যেতে ইচ্ছে করছে না। ফেডারেশন ডাকলে আবার আসব। মনটা এখানেই পড়ে থাকবে।
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?


৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন
এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন
মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)
ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)
০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন
ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।
ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।