somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অজতে ভোজন(ফটো ব্লগ)

০৪ ঠা জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছিমছাম, গাছগাছালিতে ভরা প্রবেশপথ। নাম শুনলে মনে হবে, এ আবার কেমন জায়গা? অদ্ভুত নাম। তবে ভোজনরসিকেরা এমন জায়গার সন্ধান পেলে খুশি হবেনই। ধানমন্ডির ঢাকা আর্ট সেন্টারে অবস্থিত ফাস্ট ক্যাজুয়াল ও রিলাক্স ডাইনিং রেস্টুরেন্ট ‘অজ’-এর কথা বলছিলাম। সড়ক ৭/এ, বাড়ি ৬০—এই হলো ঠিকানা। ‘এটি তথাকথিত ক্যাফে কিংবা রেস্তোরাঁ নয়। এখানে খাওয়ার সঙ্গে শৈল্পিকতা, স্থাপত্য ও মানুষের চিন্তা-ভাবনার প্রকাশ ঘটবে। সমাজের মধ্যবিত্ত শ্রেণী অনায়াসে এখানে অল্প ব্যয়ে নান্দনিক পরিবেশে খাবার খেতে পারবে।’ বলছিলেন অজের ডিজাইনার খালেদ মাহমুদ।

তিনি আরও বলেন, ‘এখানে এ ধরনের খাবারের জায়গার কথা ভাবছিলাম অনেক দিন ধরেই। নতুনত্বের ছোঁয়া থাকবে। এ বিষয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন স্থপতি নাহাজ খলিল। মূলত তিনি ও তাঁর দলের ডিজাইনেই এই আজকের অজ হয়েছে। ঢাকা আর্ট সেন্টারে এ বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি এটি চালু হয়। বহুল ব্যবহূত এমন জিনিস যা কেউ ফেলে দিয়েছে, সেসব দিয়েই এর অন্দরসজ্জা করা হয়েছে। প্রতিটি উপাদান প্রাকৃতিক ও দেশীয়। কৃত্রিমতাকে পরিহার করে এ শহরের মানুষকে প্রকৃতির সংস্পর্শে এনে খাওয়ানোর একটি প্রচেষ্টামাত্র।’ অজে ঢোকার মুখেই এর প্রমাণ পাবেন। মনে হবে শহরকে ছাড়িয়ে কোথাও এসে পড়েছেন। নিচের তলায় পরিবার বা একদল বন্ধু নিয়ে আড্ডায় মেতে উঠতে পারেন। নিরিবিলিতে সময় কাটানোর ব্যবস্থাও আছে। সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠে যান। ঘরের মধ্যেও বসতে পারেন। চাইলে খোলা আকাশের নিচে বসেও প্রিয় মানুষ কিংবা একান্তে নিজের সঙ্গে সময় কাটাতে পারবেন। জাহাজের পাটাতন দিয়ে এমনভাবে বসার জায়গা তৈরি করা হয়েছে, মনে হবে কোনো নদীর তীরের টং দোকান। পাশে বেড়ে ওঠা গাছের শিরশির হাওয়া সে কথাই মনে করিয়ে দেবে। পুরোনো বই রাখা আছে পাশের বুক কর্নারে। অলস দুপুরে বই পড়া আর সঙ্গে প্রিয় কোনো খাবার খাওয়া। আর কী চাই।
এমন বর্ণনা শুনে ভাবতেই পারেন নিশ্চয়ই খাবারের দাম অনেক। মোটেই তা নয়। এখানকার খাবারের সর্বোচ্চ মূল্য ৩৭০ টাকা। খালেদ মাহমুদ বলেন, ‘আমরা সব ধরনের খাবারের ব্যবস্থা করেছি। অনেকে ভারতীয় খাবার খেতে পছন্দ করেন, কেউবা ইতালিয়ান, কেউবা এ দেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার ভালোবাসেন। এক জায়গায় সব ধরনের খাবার পাওয়া যায় না। আমরা তাদের কথা বিবেচনা করে এসব খাবারের সমন্বয় করেছি। তবে অজর গ্রিল আর কাবাব খেলে এর স্বাদ মুখে লেগে থাকবে। গ্রিল চিকেন, চিকেন ঝাল ফ্রাই, গ্রিল চিকেন সালাদ, অজর স্পেশাল কাবাব, রেশমি কাবাব, বটি কাবাব ও কয়েক রকমের রোল পাবেন এখানে ২৫০ টাকার মধ্যে। এর সঙ্গে নিতে পারেন ডাল তরকা, ডাল মাখানি ও স্পেশাল নান। খেতে পারেন বিভিন্ন ধরনের স্টেক। এরই মধ্যে অজর স্টেক বেশ সুনাম পেয়েছে। আরও আছে নানা স্বাদের স্যুপ। খুব ভারী খাবার খেতে না চাইলে এটি খেতে পারেন। আছে স্প্যাগেটি ও পাস্তা। পিছিয়ে নেই পানীয় সম্ভার। চা-কফির পাশাপাশি ফলের জুস, লেমোনেড, জিরা পানিসহ আরও কত কী। হিম হিম আইসক্রিমও পাবেন। এ ছাড়া সুস্বাদু আরও ডেজার্ট খেতে পারবেন অজতে। এটি উদ্বোধন হওয়ার পর প্রথম সাত দিন খাবারের সঙ্গে বিনা মূল্যে চা দেওয়া হয়েছিল। এ রকম ছোট-বড় চমকপ্রদ বিশেষ ছাড় বা উপহার পাবেন বিশেষ দিনগুলোতে। তো আর দেরি না করে একবার ঘুরে আসুন অজ থেকে। অচেনা, অনাবিল আনন্দ পাবেন। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
*** লেখাটি প্রথম আলো থেকে নেয়া এবং ছবি গুলি ফেসবুক থেকে সংগ্রহ করেছি***
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৪
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×