এখন চারিদিকে লীগের হাওয়া বইছে। আমার মনে হয় একমাত্র খালেদা জিয়া নামীয় জনৈকা অজ্ঞাত মহিলা ছাড়া বাংলাদেশের এখন সবাই লীগ করে। তাই লীগ নামে এখন হাজার হাজার সংগঠন। যেমনঃ বংগবন্ধু বাঙ্গালী লীগ,সৈনিক লীগ,মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ,বেকার লীগ ইত্যাদি। এছাড়া ফেসবুকেও লীগ আছে, যেমন ঃবাংলাদেশ ফেসবুক লীগ, আওয়ামী সমলোচক লীগ ইত্যাদি।
কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় আমার জানামতে সামুতে কোনো লীগ নাই। তাই আমি নিজেকে প্রধান করে বাংলাদেশ সামু লীগের এক সদস্য বিশিষ্ট এডহক কমিটি বানাইলাম। সকল ব্লগার ভাই-বোনদের উক্ত বাংলাদেশ সামু লীগে যোগদান করার জন্য উদাত্ত আহবান জানাই। এখানে আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে পদ (সভাপতি পদ ছাড়া) দেয়া হবে। যেহেতু আমি এটি প্রতিষ্ঠা করছি,তাই আজীবন আমি এবং পরবর্তিতে আমার বংশধরেরা বিশেষ ক্ষমতা বলে সভাপতি থাকবে। তবে কানে কানে কথা, অন্যান্য পদ নগদ নারায়ণ দিলে গুরত্বপূর্ন পদ দেয়া যেতে পারে। প্রতিটি জেলা,উপজেলা,গ্রাম মহল্লায় বাংলাদেশ সামু লীগের কমিটি হবে।বিদেশেও এর শাখা থাকবে।মানুষ থাকা সাপেক্ষে ভবিষ্যতে মঙ্গল গ্রহেও এর শাখা খোলা যেতে পারে।
এর উদ্দেশ্য ও সুবিধা গুলি হচ্ছে,
১) ৫৭ ধারায় কোনো রকম হয়রানি না হওয়ার সুবিধা থাকবে। তবে যেহেতু চাপাতি ওয়ালার আইডেন্টিফাইড না,তাই এদের ব্যাপারে কিছুই করা যাবে না।
২)সামু মডু প্যানেল সম্পূর্ন দলীয়করন করা হবে। দরকার হলে নিজেদের লোক বসিয়ে আধিপত্য বিস্তার করা হবে।
৩)বিরোধী পক্ষের পোষ্ট দেখা মাত্রই সন্ত্রাসী কায়দায় (অশ্লীল গালাগালির মাধ্যমে) আক্রমন করে হটিয়ে দেয়া হবে।
৪)বিরোধী পক্ষ বেশী তেড়িবেড়ি করলে গুম (পোষ্ট ডিলিট) করে দেয়া হবে। মাঝে মাঝে গভির রাতে মডু প্যানেল সন্দেহজনক পোষ্ট উদ্ধারে বের হবে এবং দুই পক্ষের গোলাগুলিতের (গালাগালিতে ) বিরোধী পক্ষ নিহত (আই ডি ব্যান) হবে।
৫)পুরোনো সিনিয়র ব্লগাররা এই সংগঠনের উপদেষ্টা হিসাবে থাকতে পারবেন।তারা সামু লীগের হালকা সমালচনা করতে পারলেও বিরোধী পক্ষকে চরম ভাবে ধুয়ে দেবে। তবে সামু লীগের সমালোচনা করতে যেয়ে হালকা মাইর গুতা(গালাগালি) খাইলেও তা বাচ্চা ছেলেদের কাজ বলে এড়িয়ে যেতে হবে। বলতে হবে তবু ও চেতনায় উজ্জিবিত সামু লীগই শেষ ভরসা।
তাই সবাই সামু লীগে যোগদান করে শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত করে তুলুন ।
সামু লীগের সালাম
সব পোষ্টে দিলাম।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৩