তাবলীগ একটা মহান দ্বীনী কাজ। তাবলীগ জামাতের কাজ চলবে আলেম-ওলামাদের দিক-নির্দেশনা মোতাবেক। শুরু থেকেই এভাবেই হয়ে আসছিল। দেওবন্দী সিলসিলা হতেই তাবলীগ জামাতের কার্যক্রমের উতপত্তি।
কিন্তু, বর্তমান অব্যাহত সংকট আরো ব্যাপক আকার ধারন করেছে তাবলীগের স্ব-ঘোষিত আমীর মাওলানা সাদের বিভিন্ন অব্যাহত বিতর্কিত দর্শন, ব্যাখ্যা এবং ওনার অনুসারী তথাকথিত এতায়াতি বাহিনীর অন্ধ অনুসরন। এমতাবস্থায়, দুনিয়ার সকল হক্ক্বানী ওলামায়ে কেরাম সাদ সাবের বিতর্কিত দর্শনের বিরুদ্ধে প্রবল আপত্তি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু বিস্ময়কর হলেও সত্য, মাওলানা সাদ ও তার অনুসারীরা ভ্রুক্ষেপ পর্যন্ত করছেন না।
ওয়াজাহাতি জোড়ঃ উল্লিখিত সংকটময় অবস্থায়, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের শীর্ষ স্থানীয় ওলামায়ে কেরাম সাদ সাবের বিতর্কিত বিষয়গুলি নিয়ে প্রকাশ্যে মুখে খুলেছেন ও দ্দ্বীনী ব্যাপার হেতু আম-জনতাকে খুলে খুলে বলে সতর্ক করছেন। যেহেতু, ইতিমধ্যে সাদ-পন্থীরা একটা ফেতনার রুপ পরিগ্রহ করেছে। বাংলাদেশে এরুপ অনেক জোড়/এজতেমা সারা দেশ ব্যাপী অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে মুসলিম জনতা ‘সাদিয়ানী ফেতনা’ সম্পর্কে জানতা পারছে।
মোহাম্মাদপুর, মিরপুর, টংগি, খিল্গাও সহ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ও সারা দেশের জেলা ও থানা পর্যায়ে ওলামায়ে কেরাম ও তাবলীগী ভাইদের আমন্ত্রনে ওয়াজাহাতি জোড় হয়েচে ও হচ্ছে।
সাদ-পন্থী এতায়াতী বাহিনীর কার্যক্রমঃ এরা বিভিন্ন জায়গায় ও জাতীয় পর্যায়ে ওলামায়ে কেরাম ও কাকরাইলের শুরাদের প্রোগ্রামের পাল্টা-পাল্টি প্রোগ্রাম দিয়ে চলেছে। ফলে বিভিন্ন তাবলীগী কার্যক্রমে গন্ড গোল, হাতাহাতি ও রক্তক্ষয় হয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন মার্কাযে সাদ-পন্থী এতায়াতীদের আক্রমনে রক্তাক্ত হচ্ছেন আলেম-ওলামারা। ফলে সংকট ধীরে ধীরে বাড়ছে। দেশজুড়ে বিভিন্ন মার্কাজে এতায়াতী হামলা ও মার্কাজ বন্ধের নীল নকশা করছে তারা। পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক নারায়নগঞ্জ, ফেনী, কুমিল্লা, ব্রাম্মনবাড়িয়া মার্কাজ আক্রান্ত হয়েছে।
ফিরে আসতে পারছে না কেন এতায়াতীরাঃ অন্ধভক্তি, কুশিক্ষা আর আর প্রোপাগান্দার শিকার এতায়াতীরা। এদের সুচতুরভাবে ব্যবহার করছে কিছু জ্ঞানপাপী’ যেমন-ওয়াসিফ, নাসিম, জিয়া বিন কাসেম, আতাউর, মোশাররফ, আশরাফ আলী প্রমুখ।
সাধারন তাবলীগী সাথিদের শিক্ষাগত ও জ্ঞানগত গভীরতা কম। তাদের অন্তর বিশ্বাস-প্রবন। তথাকথিত তাদের মুরুব্বিরা যা বলে সেটাই অন্ধভাবে মেনে চলে। ফলে এই ফেতনায় তারা সঠিক দিশা পাচ্ছে না বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করছে।
কাকরাইল ও এজতেমা মাঠ নিয়ে সংকটঃ এতায়াতীরা বারবার কাকরাইল ও টঙ্গী এজতেমা মাঠ দখল করতে চায়, চেষ্টাও করছে। সরকার ও প্রশাসনের সাথে দেন-দরবারো করছে। ফলে সংকট আরো ঘনীভূত হচ্ছে।
বিশ্বময় সাদের অবস্থানঃ ভারত-পাকিস্তানের প্রায় সকল ওলামা ও তাবলীগের পুরানা কর্মী সাদ-কে প্রতাখ্যান করেছেন। অনুরুপভাবে, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপ, আমেরিকা ও আরবের প্রায় সকল ওলামা ও তাবলীগের পুরানা কর্মী সাদ-কে প্রতাখ্যান করেছেন।
রাইবেন্ডের ইজতেমার মোকাবেলায় সাদ সাহেব (একই তারিখে) মালয়শিয়ায় ইজতেমা ডেকেছিল। কারন মালয়শিয়াতে তার কিছু অন্ধভক্ত আছে। সমস্ত ইন্তেজাম হয়েও গিয়েছিল, সফর শুরু করে ফেলেছিল প্রায়। কিন্তু বাধ সাধলো মাল্যশিয়ার ওলামারা। তারা সরকারের কাছে অনুরোধ করে সাদ সাহেবের ভিসা বাতিল করিয়ে দিয়েছে। অনেকটাই একা হয়ে যাচ্ছেন তিনি।