একদিন বৃষ্টিতে
আদিত্য অনীক
নীল স্কার্ট শাদা সার্ট, কিশোর জলে আবার নাও ডুবাবে আজ।
ভরা বর্ষার আষাঢ় অবিরাম বৃষ্টি ঝরাচ্ছে বুকের বারুদে বালির সৈকতে।
ঝড়ো গর্জনে ধুসর সাগর নির্জন সৈকতে আছড়ে আছড়ে পড়ছে
ধারাজলে লেপ্টে আছে সাটর্, স্কার্ট রমনীয় শরীরে পাপমুগ্ধ ঢেউ তোলে ।
ভেজা হাত বাড়িয়ে বলল, প্লিজ, আমার হাতটা ধর।
তোমার হাত ধরে আজ সব ঝিনুক কুড়িয়ে নেব ভিতরের শূন্যতা ভরে।
হাতে হাত রেখে মেয়ে অনমনে উবু হয়ে ঝিনুক কুড়াচ্ছে দুরন্ত বালিতে
বেসামাল মৌসুমী বাতাসে নীল স্কার্ট উড়ে যাচ্ছে গাংচিল হয়ে।
হঠাৎ বজ্রপাতের শব্দে সাপটে ধরে বলল, এই ধুয়াসার সিড়ি বেয়ে
আমাকে নিয়ে চল কিশোরী বেলার সেই এলোমেলো সন্ধ্যায়।
ঝম ঝম বৃষ্টি দুয়ে নিচ্ছে দুর্ভাগ্যের ইতিহাস ফেনিল সাগরে ।
ঝাউবনে জলের মাদুরে বুকের খাতা খুলে বসলাম মুখোমুখি।
নিবিড় ঝাউবনে জলসিক্ত দুজন মাখামাখি হয়ে কাছাকাছি খুব।
বেদুইন ইচ্ছেরা ভেজা শরীরে শিরশির বেয়ে ওঠে বসতির খুজে।
শাদা সার্টের ওপারে আদিম প্রচ্ছদে ধুসর সমুদ্র থই থই করে ।
দেহের উত্তাপে দেহ পুড়ে মনের উত্তাপে মন পুড়ে ছারখার।
পুড়ে ছাই হয়ে জলের সরণী বেয়ে ভেসে গেলাম অনন্ত সলীলে।
বৃষ্টি থেমে গেল, পাখিরা উড়ে গেল, বুকের ঢেউগুলো নেমে গেল জলে।
ভেজা সার্ট চিপতে চিপতে বলল, ইশ! কত দেরি হয়ে গেছে!
চল ফিরে যাই, ওখান বারন্দায় ঝোলানো অর্কিডে রোজ জল দিতে হয়।
ম্লান মুখে বললাম, তুমি যাবার পর আমি আর অর্কিড পুষি না।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




