বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোন দুইশ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত বিস্তারের পক্ষে আজ রায় দিয়েছে সমুদ্র আইন বিষয়ক আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল। এ রায়ের ফলে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার আয়তন হল ১,১১,০০০ বর্গকিলোমিটার, যা কীনা বাংলাদেশের স্থলভাগের প্রায় ৭৫% অংশ। এই বিশাল সীমানায় আমাদের অধীকার আজ স্বীকৃত। এ রায়ের মাধ্যমে এই সীমানার গ্যাস, মৎস্য সম্পদসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদে বাংলাদেশের অধিকার আজ তর্কাতীতভাবে প্রতিষ্ঠিত হলো। সীমানার অধীকার তো পেলাম, এবার এই অধীকার রক্ষার দায়িত্বও আমাদের। কিন্তু এই বিশাল সীমানা পাহারা দেয়া এবং এইসব সমুদ্রসম্পদ রক্ষার সামর্থ্য আমাদের নৌবাহিনীর আছে কি?
কয়েকদিন আগে নৌবাহিনীর একজন অফিসার বন্ধু বলছিলেন যে থাইল্যান্ড, ফিলিপিন থেকে অনেক মাছধরার আধুনিক জাহাজ আমাদের সমুদ্রসীমার ভিতরে এসে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে খুব অল্পসময়ে অনেক মাছ ধরে নিয়ে যায়। তার কয়েকটি বিভিন্ন সময়ে আমাদের নৌবাহিনী গ্রেফতার করতে সমর্থ হলেও প্রয়োজনীয় সংখ্যক জাহাজ ও জনবল না থাকায় অধিকাংশ জাহাজই ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়।
আমাদের এই গুরুদায়িত্ব রক্ষায় আমাদের প্রয়োজন একটি শক্তিশালী নৌবাহিনী ও সঠিক বৈদেশিক নীতি। তাই, আমার মতে সমুদ্র সীমা নিয়ে আন্তজাতিক আদালতের রায় এর পরবর্তী করণীয় হবে একটি শক্তিশালী নৌবাহিনী গড়ে তোলা। আশা করব সরকার এ বিষয়ে নজর দিবেন।
এ সংক্রান্ত একটি বিশেষ সাক্ষাৎকার ১৪ এপ্রিলের প্রথমআলোয়।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মার্চ, ২০১২ রাত ২:১৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




