ডাক্তার- আপনি রোগীর কি হন ? কেবিনে বড় কাউকে দেখছি না যে ! কেউ নেই ?
মেয়ে- আমি উনার মেয়ে । জ্বি আছেন, ওষুধ আনতে গিয়েছেন ।
ডাক্তার- বাইরে আসুন... রক্ত লাগবে এখনি ব্যবস্থা করুন । আর দেখুন, আমি সব রিপোর্ট দেখেছি... ক্যান্সার ছড়িয়ে গেছে পুরোমাত্রায় । মা যা খেতে চায়, খেতে দিন বাঁধা দেয়ার দরকার নেই । মায়ের কাছাকাছি থাকুন । সময় খুব বেশি নেই ...
* * * * *
স্বামী- আমি এখন চাইনা। আমার শাররিক অবস্থা ভালো না। আর অর্থনৈতিক অবস্থা তো দেখছই...
স্ত্রী- আমাদের প্রথম সন্তান । রিপোর্টের হিসেবে প্রায় ৩ মাস ...
স্বামী- আমাকে চাও নাকি তাকে ? তাকে চাইলে তোমার বাবার বাড়ি চলে যাও । পারলে পরে নিয়ে আসবো ...
* * * * *
মধ্যবয়সী মায়াবতী নারী পরম মমতায় প্রায় তিন মাস বয়সী শিশুটির সাথে খেলছে । তাদের খেলা মানে- তারা দুজন পরস্পর কথা বলে চলেছে অবিরাম । কি এক অজানা ভাষায় শিশুটি আ উ করে যাছে, আর তার নানুমনি সে সবের জবাবে অর্থহীন কিসব আদুরে শব্দ বলে চলেছেন ... শিশুটি সেইসব শব্দ শুনে চোখ পিট পিট করে হাসছে।
সে কান পেতে তাদের কথা শোনার চেষ্টা করলো । শুনলো কিন্তু কিছুই বু্জতে পারলো না । কখনোই পারে না । শুধু তাদের মধ্যকার ভালোবাসাটা অনুভব করতে পারে। বোজার চেষ্টা ছেড়ে দিয়ে সে তার মা এবং সন্তানের দিকে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে রইলো । এই দৃশ্য প্রতিদিনের । দিন দিন প্রতিদিন কেটে যাচ্ছে... তাদের দুজনের বয়স বাড়ে না ।
আজ ৪ঠা আগস্ট । তাদের একজনের মৃত্যু দিবস । অপর জনের মৃত্যুর তারিখ কেউ মনে রাখেনি । এই ঘরে তারা তিনজন প্রতিদিন বেঁচে থাকে প্রবল মমতা আর ভালোবাসায় । একজন মধ্যবয়সী মায়াবতী নারী, প্রায় তিন মাস বয়সী একটি দেবশিশু আর জীবিত সে ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




