নদীর দুঃখ দেখেছেন কেউ? আসলে আমাদের নদীগুলোর যেন দুঃখ দেখার কেউ নেই । এই যেমন 'চাওয়াই' নদীটির কথাই ধরুন । পঞ্চগড়-তেঁতুলিয়া রোডে 'মুক্তাঞ্চল ফলকের' পাশেই যার অবস্থান । যেখান থেকে আশির দশকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নিজে উপস্থিত থেকে খালকাটা কর্মসূচীর অংশ হিসেবে 'চাওয়াই সেচ প্রকল্প' চালু করেছিলেন ! আজকে এর কী করুণ দশা ...! মজার ব্যাপার,বিগত পাঁচ বছর আগে পতিত সরকারের পুকুর চুরির প্রকল্পের অংশ হিসেবে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে অপরিকল্পিভাবে কয়েক কোটি টাকা গচ্ছা দিয়ে নদীটি খনন করার ফলে এর পার্শ্ববর্তী জমির মালিকদের চা বাগানসহ অন্যান্য ফসলী জমির প্রভুত ক্ষতি সাধনই শুধু হয়নি, প্রকৃতপক্ষে নদীটি খননের ফলে দুই পাড়ের জমির বালু দিয়ে ভরাটের ফলে নুতন করে এর নাব্যতা দ্বিগুনভাবে হারিয়েছে। এমনিতেই উত্তর বঙ্গের সব ছোট - বড় নদীগুলোর উজানে পশ্চিম বঙ্গের অংশে সেখানকার সরকার বাঁধ দিয়ে ব্যারেজ নির্মাণ করে পানির প্রবাহের গতি রোধের মাধ্যমে আমাদেরকে বিপদে ফেলেছে । আমরা চাই, এই সব ছোট ছোট নদীগুলোর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে হলে সরকারকে নদী রক্ষা বাঁধসহ প্রকল্প হাতে নিতে হবে। নচেৎ শুধু শুধু নদীর বালু খনন করে বর্ষার পানির তোড়ে তা আবার ভরাট বা তথৈবচের নামে ঠিকাদারসহ সংশ্লিষ্টদের অর্থের যোগান সমুন্নত রাখার পুকুর চুরির গল্পের প্রয়োজন ছিল/ আছে কি ?
একটি নদী এসেছিল
হিমালয়ের বুক চিরে,
দু’পাশে ঘন বন ছিল আর
সূখ ছিল তার মুখ ঘিরে ।
রাখালিয়া বাঁশির সুরে
মাঠে জনরব ছিল,
বনমোরগ আর ডাকচড়ুঁই এর
ডাকে কলরব ছিল ।
হাটু জলের নদী সে'তো
কবিগুরুর বৈশাখে,
সবুজ-শ্যামল শাল পিয়ালে
শোভা ছিল দুই শাখে ।
নদীর জলে নাওয়া-খাওয়া
নিত্য চলে পড়শির,
ইচ্ছে মতো মাছটি মিলে
জালে কিংবা বড়শীর ।
এমনিতো সে ছোট্ট নদী
বরষা এলে ঢেউ-এর জল,
উথাল পাথাল দূ'কুল তার
ছুটতো সদা ছলাৎছল ।
বুক চিরে আজ সেই নদীটির
কলজে কাটা কাব্যতা-
অক্টোপাশের করাল গ্রাসে
হারিয়ে গেছে নাব্যতা ।
সেই নদীর নাম ‘ চাওয়াই ‘/
মিলছেনা তার দাওয়াই ।।


অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



