মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, সুনামগঞ্জে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনার জেরে ২ সেপ্টেম্বর দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা হয়, যেখানে এম এ মান্নানসহ ৯৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। কিন্তু আমি ব্যক্তিগতভাবে এম এ মান্নান সাহেবকে চিনি এবং জানি যে, তিনি এমন কোনো কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নন যা তাঁকে এভাবে মামলার আসামি করার ন্যায্যতা দেয়। উনি একজন সাদাসিধে, সৎ এবং তৃণমূলের মানুষের জন্য জীবন উৎসর্গ করা মানুষ, যিনি নিজের জেলা সুনামগঞ্জের উন্নয়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করেছেন।
এম এ মান্নান সাহেবের গ্রেফতারে সুনামগঞ্জসহ সারাদেশের মানুষ হতবাক ও ক্ষুব্ধ। একজন নিষ্ঠাবান ও কর্মদক্ষ নেতার বিরুদ্ধে এমন ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করে তাঁকে হয়রানি করা অত্যন্ত নিন্দনীয়। সুশীল সমাজ, ছাত্রসমাজ ও সাধারণ জনগণ এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছে, যা সরকারের ওপর জনগণের আস্থায় বড় ধাক্কা দিতে পারে।
পরিকল্পনা মন্ত্রী হিসেবে এম এ মান্নান দেশের উন্নয়নে অসাধারণ ভূমিকা রেখেছেন। তাঁর নেতৃত্বে সুনামগঞ্জে উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বিশেষ করে অবকাঠামো উন্নয়ন, শিক্ষার প্রসার, এবং স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে তিনি কাজ করে গেছেন। এমন একজন সৎ নেতাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হয়রানি করার মাধ্যমে আসল অপরাধীদের আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে কি না, তা নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠেছে। দ্রুত বিচার আইনের অপব্যবহার করে একজন সৎ ব্যক্তিকে এভাবে গ্রেফতার করা শুধু অযৌক্তিক নয়, এটি দেশের আইনের ন্যায্যতার ওপর আঘাত।
এম এ মান্নান তাঁর জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত দেশের মানুষের সেবা ও উন্নয়নের জন্য উৎসর্গ করেছেন। তাঁর সততা ও নিষ্ঠা প্রশ্নাতীত। তাই আমি এই অন্যায় গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানাই এবং তাঁর দ্রুত মুক্তি ও ন্যায়বিচারের দাবি করছি। সরকারের উচিত গণতন্ত্রের মূল্যবোধ এবং জনগণের আস্থা বজায় রাখতে এমন পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকা।
#প্রতিবাদ #ন্যায়বিচার #এমএমান্নান #অন্যায়_গ্রেফতার #স্বাধীনতা #সুনামগঞ্জ #গণতন্ত্র