আগে তো পানি দিতনা শেষ নিস্বাশের আগে। এখন ভাত পানি খাওয়াইয়া মারে। আর শামীম মোল্লা ভাইয়ের কপালে অবশ্য অত্যাচার ছাড়া কিছু জোটে নাই। “ভাই আমারে আর মাইরেন না বলে অনুনয় বিনয় করার পরেও শেষ রক্ষা হয় নাই জাবির সমন্বয়কদের হাত থেকে।
বৈষম্য বিরোধী এই বাংলায় পাগলের ও ছাড় নাই।
ছবিতে যে লোকটা কে দেখছেন তার নাম তোফাজ্জেল, পাথরঘাটা উপজেলার কাঠালতলী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি। খুবই সজ্জন ও পরোপকারী, প্রেম বিচ্ছেদ ঘটিত কারণে কয়েক বছর আগে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। এখন এই ছেলেটাকেও ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের মেধাবী ছেলেরা ছাড়লোনা।
এই একটা ঘটনাই ঘটে নাই শুধু, জাবি তে সাবেক ছাত্র লীগ নেতাকেও জাবির সমন্বয়কেরা মেরে ফেললো। এখানে একটু বৈষম্য ছিল, আর সেটা হচ্ছে তোফাজ্জলকে ভাত পানি দিয়ে হত্যা করা হলেও শামীম মোল্লার কপালে এক ফোটা পানিও জোটে নাই।
আমার শামীম ভাই বলতেসিলো,
ভাই আমারে মাইরেন না, আর মাইরেন না।
না ওরা শোনে নাই। ওরা আমার ভাইরে মাইরা ফালাইলো।
শামীম মোল্লা ভাইকে হত্যার দৃশ্য
২০০১ সালে বিএনপি যখন ক্ষমতা নিলো নির্বাচনে জিতে গেছে খবর পাওয়া মাত্র শুরু হলো হিন্দু সম্প্রদায় এবং আওয়ামি লীগের উপরে হামলা। সে ঘটনাগুলো উদঘাটনে একটা বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা হয়। সেখানে দেখা যায় বিএনপি জামাতের ২৫০০০ নেতাকর্মী এবং তাদের ২৫ জন মন্ত্রী-এমপি সেই হামলাগুলোয় জড়িত (সূত্রঃ বিবিসি, ২ ডিসেম্বর ২০১১)। সেসময়ে ২০০ হিন্দু নারী ধর্ষিতা হন। তাদের মধ্যে ৮ বছরের শিশু হতে শুরু করে ৭০ বছরের বৃদ্ধা ছিলেন।
এবং মেধাবীদের কল্যানে আমরা আবার ২০০১-২০০৬ এর শাসন আমলে প্রবেশ করেছি।
আওয়ামী লীগ ৩০ লক্ষ শহীদের লাশ কে সামনে রেখে সাধারণ ক্ষমা ঘোষনা করেছে। কিন্তু মনে হচ্ছে না পরবর্তী তে হাই কমান্ডের নির্দেশনাও আওয়ামী লীগ মানবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৫