আফ্রিকায় আমি যেখানে ছিলাম সেখানে খাবার পানির বেশ সংকট ছিল। সেখানে সবচেয়ে পরিস্কার স্বাস্থ্যসম্মত পানির রঙও ছিল হলুদ। আমি স্বচ্ছ পানি খেতে অভ্যস্ত। আমি জানি ঐ হলুদ পানিটা খাবার উপযোগী; আফ্রিকানরা ওটাই খাচ্ছে। তবুও আমি মেনে নিতে পারছিলাম না। এক্ষেত্রে আমার পারিপার্শ্বিক লদ্ধ জ্ঞ্যান আমাকে সাহায্য করেনি। আমি সত্য জানতাম, তবু মানতে পারিনি। জীবনের বেশিরভাগ সত্যের মোকাবেলা করা ঐ "আফ্রিকান হলুদ পানির" মতই। সব তথ্য প্রমাণ চোখের সামনে থাকবে, সব ইতিহাস সেই সত্যকে সাক্ষ্য দেবে কিন্তু গলা দিয়ে নামতে চাইবে না। সত্য অস্বীকারের এই সহজাত প্রক্রিয়া আমাদের মনে করিয়ে দেয় আমরা আসলে শৃঙ্খলিত মানুষ। আমরা নিজেদের তৈরি কারাগারে বন্দী। অল্প কিছু মানুষ থাকেন যারা এই শেকল ভেঙ্গে বের হতে পারেন। সেই মানুষ গুলোই স্বাধীনতার স্বাদ পান। আর একবার এই স্বাদ গ্রহণকারী শেকলের জীবনে ফেরেনা। এই শেকল টার নাম হচ্ছে ইগো, বাংলায় অহংবোধ আত্মভিমান আত্মমর্যাদা। আফ্রিকান হলুদ পানির সাথে ইগোর উদাহরণটা একটু অসংলগ্ন লাগছে? লাগতেই পারে, কারন ইগো ব্যপারটাই এমন। সহজে গলা দিয়ে নামতে চায় না। আর নিজে ছাড়া অন্য কারো পক্ষে বের করাও অসম্ভব হয়ে পরে এই সমস্যাটা। একটা পরীক্ষা করে নিজে নিজেই বের করা যায়, আপনার মধ্যে এই অনুভূতিটি অনু পরিমাণ হলেও আছে কিনা। ধরুন আপনার খুব কুৎসিত সমালোচনা করল একজন; একদম ভিত্তিহীন; আপনার কল্পনাতেও আসতে পারে না এমন কিছু। আপনার মনে যদি প্রথম অনুভূতি আসে "ও কিভাবে বলতে পারল এই কথাগুলো আমার বিরুদ্ধে?"; তাহলে বলতে হবে অনু-পরমানু লেভেলে হলেও আপনার মাঝে ইগো বিরাজমান। ইগো বিবর্জিত স্বাধীন মানুষ সবচেয়ে কুৎসিত সমালোচকের মুখ থেকে বের হওয়া কথা থেকে নিজের জন্যে কল্যাণ খুঁজে পান। আর সেই সমালোচক যদি কিছু সত্যি বলে থাকেন, তবে সেটাকে তিনি সাথে সাথে স্বীকার করে নেন। খুব কঠিন মনে হচ্ছে? হবারই কথা। স্বাধীনতা অর্জন তো সহজ নয় কখনই। আল্লাহ্ আল-কোরআন, সুরা ইয়াসিনে এই শৃঙ্খলিত মানুষদের কথাই বলেছেন রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে। তাদের সামনে দেয়াল, তারা সত্য দেখে, উপলব্ধি করেনা; তাদের পেছনে দেয়াল, তারা ইতিহাস জানে, স্বীকার করেনা; তাদের গর্দানে চিবুক পর্যন্ত বেড়ী, তারা নিজেদের ভেতরে দেখেনা, ঐশী বানীও তাদের অন্তর পর্যন্ত পৌছায় না। মুক্তমনা মানুষ সেই যে প্রশ্ন করে কিন্তু সত্য সামনে এলে তাকে অস্বীকার করেনা। যে সত্য উপলব্ধি করেছে, সে তা নিজেই জেনে যায়। সে অন্যকে সত্য জানতে সাহায্য করতে চায়, তাকে বদলাতে চায় না। শেকল ভাঙ্গার সিদ্ধান্ত মানুষের একান্ত নিজের। স্রষ্টাও সেই সিদ্ধান্তকে সম্মান করেন, তাকে শেকল মুক্ত করে দেন।
আলোচিত ব্লগ
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।