সম্প্রতি প্রেক্ষাপট— একজন ফিনিশ এবং একজন ভেনিস।।
কে কি জন্যে ফিনিশ এবং কে কি জন্য ভ্যানিশ আমার জানা নেই। আই ফিল ব্যাড ফর দেম। এবং তাদের জন্য যারা নীরবে প্রস্থান করেছেন এবং করছেন।। শুনেছি সামু একটি পরিবার। দ্বিধাদ্বন্দ, মত-দ্বিমত সব পাশকাটিয়ে সব ব্লগার এক— সামু পরিবার।।
আদতে তাই কি !!!
জানিয়ে যাওয়া মানে— আর কিছুক্ষণ থেকে যাওনা বলার সুযোগ। জানিয়ে যাওয়া মানে— একটা সুন্দর বিদায় হয়তো আবারও একটা দেখা হওয়ার সুযোগ। আর না জানিয়ে চলে যাওয়া মানে— কোথাও একটা অপূর্ণতা। না জানিয়ে চলে যাওয়া মানে— কোথাও একটা অভিমান। না জানিয়ে চলে যাওয়া মানে অন্যকে গ্লানি দিয়ে চলে যাওয়া। কয়েকদিন ধরেই চুপচাপ আছি। চুপচাপ দেখছি। গিরগিটির মতো রং বদলে থাকা মানুষদের ছলাকলা। এখানে (ব্লগে) এমন অনেক গুণীজন রয়েছেন, যারা নিজেদের অনেক ক্ল্যাসি ভাবেন। ব্যক্তিগত এচিভমেন্টের ভারে নিজেদের ভাবেন অন্যেদের থেকে শ্রেষ্ঠ। তাদের চিন্তা-চেতনা দেখে এমন মনে হয়— তাদের মনের মত— তাদের মতের মতো— কেউ না হলেই তাকে ব্লগ থেকে চিরতরে লাথি মেরে খেদানো উচিৎ।
আসলে বাস্তবতায়— ব্যক্তিগত জীবনে তারা ফেনায় তৈরি হওয়া একটা বাবলের মাঝে বন্দী হয়ে বসবাস করছেন। আড়ালে শ্রেণী বৈষম্যের জন্ম দেওয়া এইসব মানুষ— সমাজে লোক দেখানো মানবতার জয়গানের অগ্রদূত। যারা পিঠ পিছে নাক সিটকিয়ে মনে মনে কিংবা বিড়বিড় করে অন্যকে হেও করে মন্তব্য করে "লোয়ার ক্লাস যতসব।" যাদের মুখে মধু— অন্তরে বিষ। আমার খুব করুণা হয় এইসব মানুষদের জন্য।।
আমার চোখে ফেসবুকের নীতিমালার কাছে সামু শিশু।। সামুর ব্লগারা আবার ফেসবুকে শিশু।। সামু'র নীতিমালা নিয়ে তারা যতশত প্রশ্ন তুলে, তারাই আবার ফেইসবুকের কাছে ম্যাও। এখানে হাতে গোনা কিছু ব্লগারদের ভাবসাব দেখে মনে হয় তাদের ইচ্ছা মত চলবে সামু'র নীতিমালা। না হলে তারা সামু'তে থাকবে না। অন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় মানে ফেসবুক ব্যবহার করবে। তাদের আবার ফেইসবুকের নিয়ম-নীতির চুল ছেড়ার মুরদ নেই। সারাজীবন ছেঁছড়া দিয়েও ফেসবুক থেকে কারো আইডি ব্যান করার মুরদ নেই তাদের।।
কি বলা যাবে কি বলা যাবে না!
বর্তমানের প্রেক্ষাপটে সত্যিই আমার জানা নেই। আসলে সামু'তে কি বলা যাবে আর কি বলা যাবে নাহ! শুধু এতটুকু জানি কেউকে হেও করা যাবে না। কারো মূল্যবোধে আঘাত করা যাবে না। কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা যাবে না। কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা যাবে না। উস্কানীমূলক মন্তব্য করা যাবে না। গালাগালির করা যাবে না। কারো শ্লীলতাহানি করা যাবে না। ইত্যাদি।। এইসবের সাথে আমিও একমত। শুধু একটাই চাওয়া যুক্তি তর্ক এবং প্রশ্ন তোলা যেন বাঁধাগ্রস্ত না হয়।। কিন্তু আমরা তো বাঙালি। বিড়ালের মতো নরম জায়গায় হাগি। সামু'তে কেউ ব্যতিক্রম— নিজেশ্ব চিন্তাধারা ও মতামত পোষণ করলে হইহুল্লোড় শুরু করি। কারণ সামু বাংলাদেশী মাধ্যম এবং ইচ্ছে করলেই সামু'কে চাপে রাখা সম্ভব। যাকে বলে, মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত।।
অনেক অপবাদ মাথায় নিয়ে। অনেক চাপেও টিকে আছে সামু। "হাতি যখন খাদে পড়ে, চামচিকাও লাথি মারে।" সময়টা এখন ঠিক তেমনি যাচ্ছে। ”মানুষ মরে গেলে পঁচে যায়, বেঁচে থাকলে বদলায়, কারণে-অকারণে বদলায়”— এখন এখানে অকারণে নয়— কারণেই আমরা বদলে যাব। নীরবেই না হয় যন্ত্রণার ঢোক গিলে যাব।।
"বাঁধ ভাঙ্গার আওয়াজ" যাকে আমরা বলতাম মুক্তমনাদের আঁখড়া। আজ সেই আঁখড়ায় ঝুলছে নোটিশ। হাওয়া বাতাস বুঝে কথা বলার অদৃশ্য নোটিশ।।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৩৫