আমার খুব পছন্দের একটি লাইন হচ্ছে
"আমি জন্মের প্রয়োজনে ছোট
হয়েছিলাম,
এখন মৃত্যুর প্রয়োজনে বড় হচ্ছি "
কিন্তু আমার মনে হয়না এই সত্য কথাটিও আমাদের বাঙ্গালিদের জন্নে আজ আর সত্য। জাতিগত ভাবে আমরা বাঙ্গালিরা খুবই শক্ত ভিত্তির উপর দাড়িয়ে আছি এবং আমাদের আছে এমন এক গৌরব যা পৃথিবীর আর কারো নেই। আমরাই পৃথিবীর একমাত্র সাক্ষী যারা ভাষার জন্নে রক্ত দিয়েছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধর কারনে আমরা জন্মগত ভাবেই ইতিহাস আর গৌরবের দিক থেকে বড় হয়ে জন্মাই কিন্তু এর প্রতিদান আমরা কতজনেই বা দেই একবার কি আমরা ভেবে দেখেছি??জন্মের সময় আমরা বড় হয়ে জন্মালেও যতই বড় হতে থাকি সময়ের সাথে সাথে আমরা আমাদের অতীত ভুলে নিজেদের ছোট করে তুলতে থাকি আমরা ভুলে যাই আমাদের গৌরব ভুলে যাই আমাদের দায়িত্ব বিক্রি করে দেই আমাদের সত্তাকে।কেন স্বাধীনতার ৪০ বছর পরেও আমাদের এই অবস্থান কেও কি ভাবসি একবার?আজ আমরা সবাই দেশ নিয়ে খুব হতাস কিছুই হবেনা এই দেশে এইসব মন্তব্য অবাধেই করে ফেলি কিন্তু কেন হবেনা তা নিয়ে ভাবার সময় কারো নেই।জাতি হিসেবে আমরা বরাবরই নিজেদের সাহসী বলে দাবি করি কিন্তু বাস্তবে আমরা এতই সাহসী যে আমাদের সামান্য অন্যায়ের প্রতিবাদ করার সাহসটুকুও আজ আর অবশিষ্ট নেই
আমার খুদ্র মস্তিস্কের চিন্তাভাবনার বিচারে আমার মনে হয় আমাদের এই অবস্থার প্রধান কারন আমাদের রাজনীতিতি।আমাদের বর্তমান মহান নেতারা আজ বেস্ত একে অপরের সমালোচনা নিয়ে। কিভাবে পদ্মা সেতু বিক্রি করে পকেট ভারি করা যায় পারলে দেশটাই বিক্রি করে ফেলি এটা নিয়েই বেস্ত আমাদের মহান নেতারা
ইতিহাসের নাকি একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর পুনরাবৃত্তি ঘটে, কিন্তু আমাদের ইতিহাস যদি পুনরাবৃত্তি হয় তবে কি হবে আমারা কি জানি? আবার যদি ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হয় আবার যদি কোন যুদ্ধ হয় তবে আমাদের ইতিহাসের পুনরাবৃত্তিতে কিছু বোকা মানুষ দেশের জন্নে রক্ত দিবে বিনিময়ে আবার কিছু নিজামির মত রাজাকার আবার কিছু স্বার্থান্বেষী নেতা ছাড়া যে আমরা আর কিছুই পাবনা
এবার আসি এই প্রজন্মের কথায়।সবাই বলে নতুন প্রজন্মই দেশের কারিগর তারাই দেশকে শক্ত হাতে এগিয়ে নিয়ে যাবে ব্লা ব্লা ব্লা.....এবার আসুন একটু দেখি আমাদের এই প্রজন্মের কি অবস্থা।
হ্যাঁ আপনি ঠিকি দেখছেন এটাই হল আমাদের এই প্রজন্ম যারা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমার খুব জানতে ইচ্ছা করে কেন এদের এত দেশপ্রেমের অভাব কেন এরা নিজেদের সত্তাকে বিক্রি করে দিচ্ছে এরা কি জানে আমাদের পপ্রকৃত ইতিহাস যদি না জানে তবে এর দায়ভার যে আমাদেরও নিতে হবে। আচ্ছা এই ভাই কি জানে স্বাধীন বাংলার পতাকা সর্বপ্রথম কথায় উত্তলিত হয়, আমাদের বীরশ্রেষ্ঠ কয়জন কারা তারা?আচ্ছা এত কঠিন করে লাভ নেই সহজ প্রশ্ন ওয়ার্ল্ড রাঙ্কিংএর ১ নং অলরাউন্ডার বাংলাদেশের সাকিব আল হাসানের জন্মদিন কবে?আমি বলছিনা জানতেই হবে কিন্তু যে ছেলে ঘটা করে অন্নের দেশের খেলোয়াড়ের জন্মদিন পালন করতে পারে সে কেন নিজ দেশের ১ নং খেলোয়াড়ের জন্মদিনটা কবে তাও জানবেনা?বাঙালি বলে পরিচয় দিতে কি তোদের লজ্জা লাগে
ধর্মের দিক থেকে আমরা বরাবরই অসম্প্রদাইক বলে নিজেদের দাবি করি কিন্তু আজ আমরা হিন্দু নাকি মুসলমান,আস্তিক নাকি নাস্তিক এইসব নিয়েই বেস্ত। কিন্তু হাঠহাজারিতে যে মন্দির ভাংচুর করল ছাত্রলিগের কর্মীরা কই আমরা কেও তো প্রতিবাদ করলাম না।প্রতিবাদ করলামনা ছাত্রদলের নেতার হাতে প্রান গেল যেই ছাত্রের।চবিতে যে ছাত্র মারা গেল অথবা যে সাংবাদিকদের হত্যা করা হল ব্লগে ২/১ লাইন লিখেই আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করে ফেলেছি তাইনা??কই আমরা কেওতো প্রতিবাদ করছিনা চাইছিনা এর বিচার, সামনাসামনি প্রতিবাদ করতে যে আমাদের আসলে ভয় হয় কারন আমরা যে মনের দিক থেকে আজ খুব বেশি ছোট
কিন্তু আমরা এত বড় হয়ে জন্ম নিয়েও কেন ছোট হয়ে মরব?আমাদের একটু সচেতনতাই পারে আমাদের এই দেশটাকে বদলে দিতে।দিতে পারে কোন নতুন মাহাতি মোহাম্মাদকে যে কিনা সুন্দরভাবে দেশটাকে বদলে দিবে।আমাদের দরকার শহীদদের রক্তে অনুপ্রানিত এক উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নতুন প্রজন্ম যারা শক্ত হাতে ধরবে এই দেশের হাল।হয়ত ইতিহাস একদিন পুনরাবৃত্তি বন্ধ করবে আমরাই আমাদের ইতিহাসকে পাল্টাতে পারব সেই দিনের অপেক্ষায় আমরা
[ বিদ্রঃ সামু তে এটা আমার প্রথম লিখা আরও সহজভাবে বললে আমার জীবনের প্রথম ব্লগ লিখা প্রচুর বানানে ভুল আর অনেক বড় বড় কথা বলে ফেললাম আশা করি সবাই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মার্চ, ২০১২ রাত ১:৫৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




