এখানে কোন কৌতুকই আমার নিজস্ব রচনা নয়-সবগুলোই ভিবিন্ন ওয়েব পেজ, বাংলা ব্লগ, ফেসবুকের বিভিন্ন পেইজ ও গ্রুপ এবং বন্ধুদের ওয়াল থেকে নেওয়া। তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা আমাদের একটু হাসির সুযোগ করে দেয়ার জন্য। আরেকটি কথা, এখানে দেওয়া কৌতুক সমুহের সর্বস্বত্ত সংরক্ষিত না থাকায় আমি কারো নাম দিচ্ছিনা এবং উসৎ উল্লেখ করছিনা। তাছাড়া বর্তমান এই কপি-পেস্টের যুগে সত্যিকার উসৎ খুজে পাওয়া ও সম্ভব নয় ।
নোট - আগেই বলে রাখছি এই কৌতুক গুলো দ্বারা মানুয কে আনন্দ দানের চেস্টা করা হয়েছে মাএ--কোন মানুয কে উপহাস বা ছোট করার জন্য নয়। তবে এখানে অনেক চরিএ, ঘটনা, স্হান বা কালের সাথে এর মিল খুজে পেলে পেতে পারেন। ইহাতে কারো কোন আপত্তি গ্রহনযোগ্য নয়। কারন এখানে সব ধরনের চরিএ কাল্পনিক।
(১)
শহরের সবচেয়ে কৃপণ ও শান্ত লোকটির দরজা খটখটালো এক দীনহীন ভিখারি।
ভিক্ষুক: স্যার, একটু খাবার দেন! খুব খিদা পাইছে...
কৃপণ দরজা খুলে বের হয়ে এল। এরপর পকেট থেকে মানিব্যাগ বের করে খুলে উল্টে-পাল্টে ভিখারিকে দেখালো।
কৃপণ: দেখ, আমার মানিব্যাগে একটা পয়সাও নেই তোমাকে দেওয়ার মতো!
ভিক্ষুক: স্যার, আমি তো টাকা চাইনি, খুব খিদা লাগছে...
কৃপণ: আরে খাবারও তো দিতে পারছি না। আমার বৌ বাসায় নেই...
হঠাৎ ক্ষেপে গিয়ে ভিক্ষুক: আরে শালা! আমি কি তোর বৌয়ের চুম্মা খাইতে চাইছি! একটু খাবার তো তুই-ও দিতে পারতি ঘর থেকে আইন্যা?
শান্ত কণ্ঠে কৃপণ: তুমি যতই উত্তেজিত কর আমাকে- খাবার বা টাকা কোনোটাই দিতে পারবো না, ব্রাদার। তবে কাল আমার বৌ বাসায় থাকতে এসো- দেখি কী দেয় তোমাকে...
(২)
স্ত্রী: আমাকে খুব মটকু দেখাচ্ছে, তাই না?
স্বামী: কে বলল এমন কথা?
স্ত্রী: কে বলবে আবার, আমি নিজের চোখেই তো দেখছি!
স্বামী: তোমার দৃষ্টিশক্তি একদম ঠিক আছে।
(৩)
৪০তম বিবাহবার্ষিকীর দিন স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া বেঁধে গেল, থামছেই না।
একপর্যায়ে স্বামী চিৎকার করে বলল: তুমি যেদিন মরবে, তোমার কবরে আমি লিখে দিয়ে আসবো- এবার আমার স্ত্রী চিরদিনের তরে শান্ত হলো!
জবাবে স্ত্রী দ্বিগুণ চিৎকারে বলল: তুমি মরলে আমিও লিখে দিয়ে আসবো- আমার স্বামী! শেষপর্যন্ত সোজা আর শক্ত হলো!
(৪)
ডাক্তার: আপনার স্বামীর দরকার টানা বিশ্রাম আর শান্তিপূর্ণ পরিবেশ- তাহলেই তিনি আবার পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবেন।
রোগীর স্ত্রী: ডাক্তার সাহেব কোনো ওষুধ দিলেন না!
ডাক্তার: এই নেন, কয়েক পাতা ঘুমের ওষুধ দিলাম!
রোগীর স্ত্রী: কখন কটা করে খাওয়াতে হবে ওকে?
ডাক্তার: ওষুধগুলো আপনার জন্য!
(৫)
পুত্রবধূ: মা মা, কোনো হেল্প লাগবে?
শাশুড়ি: তুমি আজ পাকঘরে? বৌমা! কী হয়েছে, শরীর না মন খারাপ?
পুত্রবধূ: না মা, এমনিতে। ভাবলাম আপনাকে হেল্প করি...
শাশুড়ি: ও... বুঝেছি। মোবাইলে ইন্টারনেট ডাটা শেষ হয়ে গেছে তোমার!