somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমি কলেজ জীবন যেরকম আশা করেছিলাম, সেটা ঠিক সে রকম হল না ! ২য় পর্ব [প্রজেক্ট আতা : অধ্যায়-৬]

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




বায়োলজি ম্যাডাম আজকে আসেনি, বৃষ্টির কারনে। তাই আরেকটা অফ পিরিয়ড পেয়ে গেছি। ভাবছি চলে যাব। তখনই রুপা আমার সামনে আসল, তার পিছে পিছে বিশিষ্ট কবি আতা।

“চল,” রুপা আমার সামনে এসে বলল।

“কোথায়?”

“পাশের ক্লাসে, সোফিয়াকে দেখতে,” এবার আতা বলে উঠল।

জিজ্ঞেশ করতে যাচ্ছিলাম এই সোফিয়া কে? কিন্তু তখনই আমাথায় আসল এই সোফিয়াই হচ্ছে আমাদের কবির বিশিষ্ট লোক।

আমার আর কি করার থাকে, আতা আর রুপার পিছে পিছে আমিও চলতে লাগলাম। সুমনা ও নুশরাত আমাদের মাঝে এসে যোগ দিল। আমাদের দলে এখন সজল আর নির্জন নেই। সুমনাকে জিজ্ঞেশ করেছিলাম যে নির্জন কোথায়। ‘সে একটা কাজে ব্যাস্ত আছে,’ এটাই সে জবা দিয়েছিল।

কি আর করা আমরা পাচজন মিলে সোফিয়ার ক্লাসের দিকে পা বাড়ালাম। সোফিয়া ক্লাস-C তে পড়ে। সুমনা আর নুশরাত সামনে, রুপা তাদের পিছনে, আতা রুপার সাথেই ছিল কিন্তু কিমনে করে সবার পিছনে থাকা আমার দিকে এসে ফিসফিস করে বলতে লাগল, “দোস্ত, বুকটা কেমন যেন ঢিপঢিপ করছে।”

‘দোস্ত!’ আমি আবার দোস্ত হলাম কবে!

“বুকে কিল মার, দেখবি সব ঠিক,” আমি বললাম।

সে আমার দিকে তাকিয়ে থাকল, বোঝার চেষ্টা করছে ফাজলামি করে বলেছি নাকি সিরিয়াসলি বলেছি।

আমার চেহারার মধ্যে তেমন কিছু দেখতে না পেয়ে সে চুপ করে গেল।

B- সেকশনে দেখলাম আক্কাস স্যার ক্লাস নিচ্ছেন। এত বড় একটা দল উনার নাকে সামনে দিয়ে যাচ্ছে সেটা তিনি দেখবেন না তা কি হয়!

তিনি আমাদের দিকে একটু কিছুক্ষন তাকিয়ে তারপর আবার বোর্ডের দিকে নজর দিলেন। আমরা তেমন কিছু হয়নি মনে করে সামনের দিকে হাটলাম।

অবশেষ এসে পড়লাম সেকশন C তে। সেখানেও ক্লাস হচ্ছে না। সুমনা আর নুশরাত কিছু না বলে ভিতরে ঢুকে গেল, রুপাও গেল তাদের পিছে পিছে। আমি আর আতা বাইরে ডাড়িয়ে রইলাম।

আতা আমার পেটে হালকা এক গুতো মেরে বলল, “ওই দেখ সোফিয়া।”

আমি আতার দৃষ্টি লক্ষ্য করে তাকালাম, একটা মেয়ে কয়েকজনের মাঝখানে দাঁড়িয়ে কথা বলছে। তার আশেপাশের সবার চেহারা দেখে বোঝা যাচ্ছে যে মেয়েটার কথা শুনে তারা অনেক মজা পাচ্ছে।

আমি আতার দিকে তাকালাম, তার চোখে এখন সোফিয়ার দিকে।

আমি সোফিয়ার দিকে আবার তাকালাম। আর সাধারন বাঙ্গালী মেয়েদের রকম বৈশিষ্ট্য থাকার কথা তার পুরো একশ ভাগ এই মেয়ের মধ্যে আছে। সহজে চোখে পড়ে না এই ধরনের মেয়ে কিন্তু সোফিয়ার মাঝে কি যেন আছে যে তাকে অন্যসব সাধারন মেয়েদের থেকে একটা আলাদা লাগছে।

“কেমন দেখলি?” আতা আমার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেশ করল।

আমি এবার আতার দিকে তাকালাম। আতার পাশের সোফিয়াকে আনার চেষ্টা করলাম। তারপর আতার জন্য আমার একটা দুর্লভ সমবেদনা জাগল। আমি তার কাধে হাত দিয়ে বললাম, “তোর কবি মন কি বলে?”

“বন্ধু, বলে সামনে এগিয়ে যাও,” আতা উচ্চাস্বিত গলায় বলল, “সব বাধা পেরিয়ে…”

“আমি বুঝতে পেরেছি,” আমি আতার কথা থাকিয়ে দিয়ে বললাম। ভাব দেখে মনে হচ্ছিল সে আরেকটা মারাত্মক কবিতা বলতে যাচ্ছে।

“একটা জিনিষ বুঝতে পারছি না আমি এখনো,” আতা তার কবিত্বটা থামিয়ে বলল, “কিভাবে আমি তার সামনে যেয়ে কথা বলব।”

“যেভাবে আমাদের সাথে কথা বল শুরু করলি, সুমনার সাথে যেভাবে শুরু করলি ঠিক সেভাবে সোফিয়ার সাথে শুরু কর।”

“হবে না সেভাবে,” আতা বলে উঠল, “সুমনা আর সোফিয়া দুই মেরুর মানুষ। একজন দেয়াল তৈরী করে আছে আরেকজন দেয়াল ছাড়া আছে এবং তার আশেপাশে অনেক মানুষজন আছে।”

এই বলে আতা একটু থামল, তাপর আবার শুরু করল, “আমার সোফিয়ার ব্যাপারে একটা ভয় সেটা হচ্ছে তার আশেপাশে অনেক মানুষ মানে তার ক্লাসমেট। আমি হয়তো বা তাদের সাথে মিশতে পারব কিন্তু আমি তাদের ভিড়ে হারিয়ে যাব, সোফিয়া আমাকে খুজে পাবার আগে। ”

এবার সে আমার দিকে তাকাল, “তাই আমি তোদের হেল্প চাচ্ছি। কারন আমার মনে হয় তোরাই পারবি আমাকে সাহায্য করতে, শুধু তার চোখে অন্যভাবে দেখার সাহায্য, শুধু এই আর কিছু লাগবে না আমার।”

আমি কিছু বললাম না। আমি আমাদের দলের বাকী সদস্যদের খুজছিলাম। দেখলাম নুশরাত একটা চশমা পড়া মেয়ের সাথে কথা বলছে। মেয়েটা আমাদের দিকে একবার তাকাল। সুমনা আর নুশরাত ওই মেয়েটাকে বাই বাই বলে মনে হয় বের হয়ে আসল। রুপাও তাদের পিছে পিছে চলে আসল।

আমদের সামনে এসে রুপা একটা বড়সড় শ্বাস ফেলে বলে উঠল, “বাপরে মেয়েটা একটা চীজ, কথা তো না, মনে হয় মুখ থেকে ব্লেড ছুড়ে মারে, আসলেই মেয়েটা নুশরাতের ভালো ফ্রেন্ড হবার যোগ্যতা রাখে।”

আমি প্রশ্নের দৃষ্টিতে সুমনার দিকে তাকালাম। তখন সে বলে উঠল, “নুশরাত আর আফসানা, ওরা দুজন একই স্কুলে পড়েছে আর তারা ছোটকাল থেকে একসাথে আছে।”

“কি কথা হল?”

“এই হালকা পাতলা কথা হ্ল, হাই-হ্যালো ছাড়া তেমন কিছু হয় নি।”

সুমনা আমার প্রশ্নের জবাব দিল।

“সোফিয়ার কথা জিজ্ঞেশ করো নাই তোমরা?” আতা জিজ্ঞেশ করে উঠল।

“সেটা নিয়ে আমরা ডিটেইলস আলোচনা করব, আগে সাবি আসুক তারপর,” নুশরাত এবার বলে উঠল।

এটা বলার পর মেয়েরা সামনে হাটা শুরু করল। আমাদের কিছু করার ছিল না, বিশেষ করে আমার। তাই বলতে যাচ্ছিলাম, লাইব্রেরীতে যাচ্ছি। সেটা বলার আগেই আতা আমার হাত ধরে টেনে তাদের পিছন পিছন নিয়ে চলল।





পরের দিন, টিফিন পিরিয়ড।

আমাদের দলে সবাই এখন উপস্থিত। একজন এক্সট্রা, সে আমাদের আতা।

গতকালের বৃষ্টির ফলে এখনো মাঠ কিছুটা ভেজা। তাই আমরা সবাই দাঁড়িয়ে আছি। সজলের দিকে তাকালাম। মনে হচ্ছে বিরহে সে কিছুটা শুকিয়ে গেছে। নির্জন আগের মতই আছে। আমাদের ছেলেদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী উত্তেজিত হয়ে আছে রাতুল। সে বারবার এদিক ওদিক তাকাচ্ছে।

সুমনা গলা খাকারি দিয়ে বলে উঠল, “আজকে আমরা সোফিয়াকে নিয়ে আলচোনা করব,” তারপর সে নুশরাতের দিকে তাকিয়ে বলল, “নুশরাত সোফিয়াকে ভালোভাবে চিনে কারন তারা একই স্কুল থেকে পাশ করে এসেছে।”

“তাই নাকি?” আতা জিজ্ঞেশ করে উঠল, “আমাকে সেটা আগে জানানো হয়নি কেন?”

সুমনা আতার দিকে একবার তাকিয়ে তারপর আবার নুশরাতের দিকে তাকাল, “আমরা নুশরাতের কাছে এখন সব শুনব। তারপর আমরা সিদ্ধান্ত নিব কিভাবে আতা সফিয়ার চোখে পড়ে।”

“আমার মতে উনাকে একটা সুপারি গাছে লটকে দিই তারপর এমনিতেই তিনি সবার চোখে পড়ে যাবেন।”

হৃদির এই কথা শুনে আতা কড়া চোখে তার দিকে তাকাল বলল, “খুকী, বড়দের সাথে এভাবে কথা বলতে হয় না।”

‘খুকী’ ডাকটা মনে হয় পছন্দ হলনা হৃদির। সে কিছু বলতে যাচ্ছিল তখন রুপা বলে উঠল, “স্টপ, এখন গুরুত্বপূর্ন একটা আলোচোনা হচ্ছে যদিও আমার হৃদির আইডিয়া পছন্দ হয়েছে…”

রুপা বুঝতে পারল সুমনা তার দিকে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছে, তাই সে থেমে গেল।

আমি মনে মনে চিন্তা করতে লাগলাম, কি কারনে হৃদি আতাকে সহ্য করতে পাচ্ছে না।

“হ্যা কোথায় যেন ছিলাম আমি?” সুমনা বলে উঠল।

“এইতো সোফিয়া আপুর অতীত নিয়ে কথা হচ্ছিল,” রাতুল বলে উঠল। সুমনা খুশী হয়ে রাতুলের দিকে তাকাল।

“কারেক্ট,” সুমনা বলে উঠল, “নুশরাত আর সোফিয়া একই স্কুলে পড়েছে, তাই নুশরাতের মোটামুটি ধারনা আছে।”

“মোটামুটি নয় ভালোভাবে ধারনা আছে,” নুশরাত বলে উঠল, “সে সবার সাথে মিশুক, ভালো ব্যাবহার করে, রেজাল্ট ভালো টিচাররাও তাকে খুব পছন্দ করে।”

“তাহলে তো সেটা খুব ভালো জিনিষ,” আতা খুশি হয়ে বলল।

“এটা তার বাইরের রুপ।”

নুশরাতের এই কথা শুনে আতার চেহারা ফিউজ খাওয়া লাইটের মত হয়ে গেল।

“বাস্তবিক ভাবে সে নাকউঁচু অহংকারী একটা মেয়ে, সে নিজের কাজ অন্যেকে দিয়ে করায়। নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরানো তার অন্যতম একটা শখ। স্যাডিস্ট টাইপ, বিশেষ করে ছেলেদের বেলায়। সে…”

“হইছে হইছে, ব্রেক দাও,” আতা নুশরাতকে থামিয়ে বলল।

কিন্তু নুশরাতের মনে হয় থামার ইচ্ছা ছিল না, সে বলতে লাগল, “তাকে তেইশ জনের মত অফার করেছে সে প্রত্যেককেই মিষ্টি ভাষায় না করেছে।”

আতা এটা শুনে চোখ বড় করেও উঠলেও, সে একটু খুশী গলায় বলল, “যাক সবাইরে তো না বলছে।”

“তার এই না শুনে অনেকেই কেদে ফেলছে, তারপর একজন তো স্কুলে আসাই বন্ধ করে দিয়েছিল।”

এতক্ষনে আমার কি কৌতুহল হল, “আচ্ছা কি বলেছে শোনা যায়?”

“শুনতে চাও?” নুশরাত বলে উঠল।

নুশরাত আমার দিকে গভীর দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকল। তার চোখ যেন বলছে, শুনতে চাও তো বলতে পারি, তবে শোনার পর আক্ষেপ করলে আমার কোনো দোষ নাই।

“থাক, আসল কথাতেই আসো,” আমি বলে উঠলাম।

“হুম,” এই বলে সবার দিকে তাকাল সে, “তার নাম সোফিয়া না, সুফিয়া। সে নাম চেঞ্জ করে ফেলেছে।”

“আল্লাহ-মাবুদ,” আমার পাশে আতা দাড়িয়ে থাকা আতা বিড়বিড় করে বলে উঠল।

“আর তার একটাই দূর্বলতা, সেটা হচ্ছে প্রিন্সেস।”

“প্রিন্সেস?” সবাই বলে উঠল।

“হ্যা তাকে ‘প্রিন্সেস’ বলে ডাকলে সে অনেক খুশী হয়। আর এটাই তার একমাত্র দূর্বলতা।”

“তাহলে তার এই দূর্বলতাকে কাজে লাগাতে হবে আমাদের,” সুমনা বলে উঠল।

“কিন্তু কিভাবে?” রাতুল এবার জিজ্ঞেশ করল।

“আমার মাথায় অবশ্য একটা প্ল্যান আছে,” নুশরাত বলে উঠল, “যদিও সেটা এখনো পাকাপোক্ত হয় নি।”

“কিসের প্ল্যান ?” আবার আমি জিজ্ঞেশ করলাম।

নুশরাতের এই কথা শুনে আমার তেমন ভালো লাগল না, তাই প্রশ্নটা করলাম।

“সামনে আমাদের নবীন বরণ হবে,” নুশরাত বলে উঠল।

হ্যা, কথা ঠিক, যদিও সেটা আরো আগে হবার কথা ছিল। কিন্তু কিছু সমস্যার কারনে সেটা পিছিয়ে গেছে।

“সেখানা আমরা ফার্ষ্ট ইয়ার একটা মঞ্চ নাটক করব।”

নুশরাতের এই কথা শুনে আমার শিরদাড়া বেয়ে একটা ঠান্ডা স্রোত বয়ে গেল। সে বলতে লাগল, “এখন আমাদের আসল টার্গেট একটা মঞ্চ নাটক বানানো, সেখানে সোফিয়া থাকবে নায়িকা আর আতা থাকবে নায়ক।”

“কিন্তু কিভাবে করব এই আয়োজন?” সুমনা জিজ্ঞেশ করে উঠল।

“আমার বান্ধবী মৌ, সে সাহায্য করবে। সে মিজান স্যারের সাথে কথা বলেছে, স্যার বলেছে উনি বলেছেন দেখবেন ব্যাপারটা।”

“হুম, তাহলে আমরা এই প্ল্যানটাকে আরেকটু গুছাই, তা প্ল্যানে করার দ্বায়িত্ব নিবে কে?” এবার রুপা বলে উঠল।

“আমার মাথায় কিছু আইডিয়া এসেছে, দুইদিন সময় দিলে কিছুটা গোছাতে পারব,” সুমনা বলে উঠল।

“তাহলে সেটাই এখন ঠিক হয়ে রইল, সুমনা যখন সব ঠিম করবে তখন আমরা আরেকটা মিটিং এ বসব,” এই বলে নুশরাত সবার দিকে তাকাল তারপর বলে উঠল, “আমি চাই সবাই যেন ঠিক মত কাজ করে করে, যে করতে না চাও সে চলে যাও আমি হাফ সিরিয়াস লোক পছন্দ করি না।”

এইতো সুযোগ। আমি হাত তুলে বললাম, “আমি এই ব্যাপারে হাফ সিরিয়াস। আমাকে কি বাদ দেয়া যায়?”

“রানা বাদে আর কেউ আছে?”

নুশরাত এমনভাবে বলল যেন আমার কথা সে শুনতে পায় নি।

“ওই আমার কথা কানে যায়নি।”

“মি. রানা আপনাকে আমাদের একটু বেশি দরকার কারন লায়লা ম্যাডামের সাথে আপনার ভালো একটা খাতির আছে।”

“এখনে লায়লা আ… ম্যাডামের কি সম্পর্ক?”

নুশরাতের এই কথা আমি ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেশ করলাম।

“আছে পরে জানতে পারবে।”

“না, সবাই রাজী,” এবার রাতুল বলে উঠল, “কেউ এখন ‘অরাজী’ না।”

‘অরাজী’ এটা আবার কি ধরনের শব্দ!

ঘন্টা পড়ার আওয়াজ পাওয়া গেল। টিফিন পিরিয়ড শেষ। নুশরাত সবার দিকে তাকিয়ে বলল, “তাহলে আজকে আমাদের মিটিং এখানে শেষ।”

এই বলে মেয়েরা চলে গেল। রাতুল হৃদির পিছে পিছে গেল। দাঁড়িয়ে আছি আমি, আতা আর সজল। আতা এখনো ঠায় হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সজল তার এই অবস্থা দেখে বলে ফেলল, “কিরে প্রেম করার আগেই ছ্যাক খেয়ে গেলি নাকি?”

এই কথা শুনে আতার চমক ভাঙল। সে বলে উঠল, “আমি নায়ক, আর সোফিয়া নায়িকা?”

“আসল নামতো সুফিয়া,” সজল ভুলটা ধরিয়ে দিল।

“যাই হোক, কিন্তু ও নায়িকা আর আমি নায়ক, ভাবতে গিয়েই তো আমার সারা শরীরের লোম খাড়া হয়ে যাচ্ছে, ” আতা উত্তেজিত হয়ে বলল, “খুশীতে একটা কবিতা বানিয়ে ফেললাম।”

“ওই রানা চল ক্লাসের সময় হয়ে যাচ্ছে।”

সজল আমার দিকে তাকিয়ে বলল। আমিও কিছু না বলে সজলের সাথে গেলাম। আতাও আমাদের পিছে পিছে আসতে লাগল।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩৯
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারতে পচা রুটি ভাত ও কাঠের গুঁড়ায় তৈরি হচ্ছে মসলা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩০

আমরা প্রচুর পরিমানে ভারতীয় রান্নার মশলা কিনি এবং নিত্য রান্নায় যোগ করে খাই । কিন্তু আমাদের জানা নেই কি অখাদ্য কুখাদ্য খাচ্ছি দিন কে দিন । এর কিছু বিবরন নিচে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মন যদি চায়, তবে হাতটি ধরো

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৩

মন যদি চায়, তবে হাতটি ধরো
অজানার পথে আজ হারিয়ে যাব
কতদিন চলে গেছে তুমি আসো নি
হয়ত-বা ভুলে ছিলে, ভালোবাসো নি
কীভাবে এমন করে থাকতে পারো
বলো আমাকে
আমাকে বলো

চলো আজ ফিরে যাই কিশোর বেলায়
আড়িয়াল... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাকরি বয়সসীমা ৩৫ বৃদ্ধি কেনো নয়?

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪২



চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধি এটা ছাত্র ছাত্রীদের/ চাকরি প্রার্থীদের অধিকার তবুও দেওয়া হচ্ছে না। সরকার ভোটের সময় ঠিকই এই ছাত্র ছাত্রীদের থেকে ভোটের অধিকার নিয়ে সরকার গঠন করে। ছাত্র ছাত্রীদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঁচতে হয় নিজের কাছে!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু।  লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×